শিরোনাম
◈ ইফতার পার্টিতে আওয়ামী লীগের চরিত্রহনন করছে বিএনপি: কাদের ◈ বাংলাদেশে কারাবন্দী পোশাক শ্রমিকদের মুক্তির আহ্বান যুক্তরাষ্ট্রের ফ্যাশন লবি’র ◈ দক্ষিণ আফ্রিকায় সেতু থেকে তীর্থ যাত্রীবাহী বাস খাদে, নিহত ৪৫ ◈ ভারত থেকে ১৬৫০ টন পেঁয়াজ আসছে আজ! ◈ ২২ এপ্রিল ঢাকায় আসছেন কাতারের আমির, ১০ চুক্তির সম্ভাবনা ◈ ইর্ন্টান চিকিৎসকদের দাবি নিয়ে প্রধানমন্ত্রী’র সঙ্গে কথা বলেছি: স্বাস্থ্যমন্ত্রী ◈ উন্নয়ন সহযোগীদের একক প্ল্যাটফর্মে আসা প্রয়োজন: পরিবেশমন্ত্রী ◈ ড. ইউনূসের পুরস্কার নিয়ে ভুলভ্রান্তি হতে পারে: আইনজীবী  ◈ ত্রিশালে বাসের ধাক্কায় বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রসহ অটোরিকশার ৩ যাত্রী নিহত ◈ এসএসসি পরীক্ষায় আমূল পরিবর্তন, বদলে যেতে পারে পরীক্ষার নামও

প্রকাশিত : ০৬ ডিসেম্বর, ২০১৯, ১২:০৫ দুপুর
আপডেট : ০৬ ডিসেম্বর, ২০১৯, ১২:০৫ দুপুর

প্রতিবেদক : নিউজ ডেস্ক

নিত্যপণ্যের চড়া দামে দিশেহারা ভোক্তারা

ইয়াসিন আরাফাত : গত আড়াই মাস ধরে লাগামহীনভাবে বেড়েছেপেঁয়াজের দাম । বর্তমানে বাজারে চাল, ডাল, তেল থেকে শুরু করে সবধরণের সবজির দামও আকাশচুম্বী। এরপর হঠাৎ করেই বেড়েছে আদা, রসুন ও শুকনা মরিচসহ আটা-ময়দার দাম। নিত্যপণ্যের চড়া দামে রীতিমতো হিমশিম খাচ্ছেন সাধারণ ক্রেতারা।

রাজধানীর বিভিন্ন খুচরা ও পাইকারি বাজার ঘুরে দেখা যায়, প্রতিকেজি দেশি পেঁয়াজ বিক্রি হয়েছে ২৪০ থেকে ২৫০ টাকায়। প্রতিকেজি মুড়িকাটা দেশি নতুন পেঁয়াজ বিক্রি হচ্ছে ১৫০ টাকায়। মিয়ানমারের পেঁয়াজ বিক্রি হচ্ছে ২০০ থেকে ২১০ টাকায়। এছাড়া মিসরের পেঁয়াজ বিক্রি হচ্ছে ১৫০ থেকে ১৬০ টাকা কেজিতে । পাশাপাশি চীন থেকে আমদানি করা পেঁয়াজ ১৩০ এবং পেঁয়াজ পাতা বিক্রি হচ্ছে প্রতিকেজি ১০০ টাকা।
চালের বাজার ঘুরে দেখা যায়, প্রতিকেজি মিনিকেট চাল বিক্রি হয়েছে ৪৮ থেকে ৫০ টাকা। অথচ, কিছু দিন আগেও এর দাম ছিলো ৪২ থেকে ৪৪ টাকা কেজি। নাজিরশাল চাল বিক্রি হচ্ছে ৫৫ থেকে ৫৮ টাকায়। যা আগে কেজি প্রতি ৪৪ থেকে ৪৮ টাকা ছিলো। এছাড়া বিআর-২৮ বিক্রি হচ্ছে ৩৮ থেকে ৪০ টাকায়। যা আগে ছিলো কেজি প্রতি ৩৪ থেকে ৩৫ টাকা। পাশাপাশি মোটা চালের মধ্যে স্বর্ণা বিক্রি হচ্ছে ৩৮ টাকায়। যা আগে বিক্রি হয়েছে প্রতিকেজি ৩২ থেকে ৩৩ টাকায়।

অন্যদিকে, খোলা সয়াবিন প্রতি লিটার বিক্রি হচ্ছে ৮৫ থেকে ৯০ টাকায়। অথচ এক মাস আগেও এর দাম ছিলো ৭৮ থেকে ৮০ টাকা। পাম অয়েল লিটারে ৫ টাকা বেড়ে বিক্রি হচ্ছে ৭০ টাকায়।

এদিকে, শীত মৌসুমে বাজারে সবজির সরবরাহ বাড়লেও দামের দিক থেকে স্বস্তিতে নেই ক্রেতারা। বাজারে প্রতিকেজি বেগুন বিক্রি হচ্ছে ৬০ থেকে ৮০ টাকায়। করলা প্রতিকেজি ১২০ টাকা, আধাপাকা টমেটোর কেজি ১২০ টাকা, কাঁচা টমেটো ৮০ টাকা, শিম ৬০ থেকে ৮০ টাকা, ফুলকপি ৩০ থেকে ৬০ টাকা, পাতাকপি ৪০ থেকে ৬০ টাকা, নতুন আলুর কেজি ৮০ থেকে ১০০ টাকা, ধনেপাতা ১৮০ থেকে ২০০ টাকা, মুলার কেজি ৬০ টাকা, গাজর ৮০ থেকে ১০০ টাকা, শালগম ৭০ থেকে ৮০ টাকা, সবুজ বরবটি ৬০ টাকায়, লাল বরবটি ৯০ টাকা কেজিতে বিক্রি হয়েছে। এছাড়া প্রতি পিস লাউ বিক্রি হয়েছে ৬০ থেকে ৮০ টাকা, চিচিঙ্গা ৮০ টাকা কেজি, ঢেঁড়স ৬০ টাকা কেজি, কচুরলতি ৬০ টাকা ও ধুন্দল ৬০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হয়েছে। আর এসব পণ্য কিনতে রীতিমতো কোণঠাসা অবস্থায় ভোক্তারা।

এসময় কথা হয় রাজধানীর কারওয়ান বাজারে দৈনন্দিন নিত্যপণ্য কিনতে আসা মো. আজিজুল হুদার সঙ্গে। তিনি বলেন, বাজারে নিত্য প্রয়োজনীয় প্রতিটি পণ্যের দাম তুলনামূলক হারে বেড়েছে। কোন পণ্যের মূল্যই স্বাভাবিক নাই। এ অবস্থায় সংসার চালাতে কষ্ট হচ্ছে। তার অভিযোগ বাজার নিয়ন্ত্রণে সরকারের একাধিক সংস্থা থাকলেও তা কার্যকর ভূমিকা পালন করছে না। ফলে ব্যবসায়ীরা নিজেদের ইচ্ছা মতো নিত্যপণ্যের দাম বাড়াচ্ছে। এর জন্য সরকারের স্বদিচ্ছার অভাবকে দায়ী করেন তিনি।

শান্তিনগর থেকে বাজার করা সাইফুল ইসলাম বলেন, প্রতিনিয়তই কোনো না কোনো পণ্যের দাম বাড়ছে। তাই হঠাৎ কোনো কিছুর দাম বাড়লে কেউ আর উচ্চবাচ্য করে না। এখন ২৫০ টাকা কেজিতে পেঁয়াজ কিনে খাচ্ছি। কেউ তো পেঁয়াজ কেনা বন্ধ করছে না। প্রায় সবজির কেজি ১০০ টাকা। তা নিয়েও দেখেন কারও কোনো আপত্তি নেই। আসলে সবকিছুই আমাদের সয়ে গেছে।

রায়ের বাজারে কথা হয় গার্মেন্টস কর্মী ২বোন সালমা ও তানিয়ার সঙ্গে। তারা বলেন, আগে গ্রামে ছিলাম ভালোই ছিলাম। সন্তানদের নিয়ে ঢাকা শহর এসেছিলাম ভালো জীবন যাপনের আশায়। কিন্তু ঢাকা শহরে থাকা এখন অসম্ভব হয়ে উঠেছে। যেই হারে দ্রব্যমূল্যের দাম বাড়ছে তাতে সন্তানদের পড়ালেখা করানোতো দূরের কথা দুই বেলা ঠিক মতো খাওয়াও সম্ভব হচ্ছে না। তাই ভাবছি আবার গ্রামে ফিরে যাবো। সেখানে নিজেরাই চাষ করবো নিজেরাই খাবো। সম্পাদনা : মাজহারুল ইসলাম

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়