ফিরোজ আহমেদ : জনগণের ভোগান্তি দূর করার দায়িত্বে থাকা লোকজন যখন দুর্নীতির পৃষ্ঠপোষক হয়, একরকম ক্রোধ হয়। আর তারা যখন এই পৃষ্ঠপোষকতার সাফাই গায় আজগুবি সব যুক্তি দিয়ে, সত্যি যে অনুভূতিটা হয়, সেটা এখানে লেখা সম্ভব নয়। যেমন : প্রথম মন্তব্যের ঘরে দেয়া প্রতিবেদনে তোফায়েল আহমেদের মতামত দেখুন, পেঁয়াজের দাম বিষয়ে এবং টিপু মুনশির বক্তব্যও দেখুন, পেঁয়াজের সংকট কাটানো বিষয়ে। তোফায়েল সাহেবের মতো প্রবীণ একজন যদি এমন মত দেন যে, ‘পণ্যের দাম বাড়লেও দোষ, কমলেও দোষ। বাড়লে লেখালেখি হয়। আর কমলে লেখা হয় কৃষক দাম পাচ্ছেন না।
’ তোফায়েল আহমেদের মতো এই বয়োবৃদ্ধ মানুষটাকে আর কবে কেউ বোঝাবে যে, বেশি এবং কমের বাইরে আর একটা বিষয় আছে, সেটাকে বলে ভারসাম্য। যেটাতে কৃষক লাভবান হবে, কিন্তু মানুষও ন্যায্য দামে পণ্যটা কিনবে এবং বর্তমান আকাশছোঁয়া দামের বছরে কৃষক কেজিপ্রতি পেঁয়াজ ২০ টাকারও কম দামে বিক্রি করেছিলো। ওদিকে মন্ত্রীজিরও একই কথা, দেশে উৎপাদন বৃদ্ধিই সংকটের একমাত্র সমাধান। অথচ ওদিকে সরকারি হিসাবই বলছে, চাহিদার প্রায় পুরোটা দেশে উৎপাদিত হয়েছে। তাহলে এসব হাস্যকর দায়িত্ব পালনের দক্ষতার জন্য জনগণ তাদের বেতন দেয় এবং সব সমস্যার সমাধান হলো শীত আসলে আর জলাবদ্ধতা থাকবে না। বর্ষা এলে আর ধুলা থাকবে না। পুরো খবরটা যদি পড়েন, দেখবেন এই পুরো মূল্য বৃদ্ধির কারবারে তারা আসলেই ক্ষতিকর কিছু দেখতে পাননি। ঠিক এই মানসিকতার বাড়াবাড়িই ডেকে এনেছিলো ৭৪-এর একটা ভয়াবহ দুর্ভিক্ষ। ভোট দেয়ার অধিকার প্রতিষ্ঠা না করতে পারলে এ ধরনের প্রলাপই নাগরিকদের সহ্য করতে হবে। ফেসবুক থেকে
আপনার মতামত লিখুন :