মাসুদ আলম: অনৈতিক কাজ শেষে বৃদ্ধা রহিমা বেগম ও সুমী আক্তার চাহিদা ছিলো ছয় হাজার টাকা।কিন্তু আসামিদের কাছে ছিলো তিন হাজার টাকা।পুরো টাকা না দিতে পারলে তাদের বের হতে দেবে না বলে মৃত্যু ভয় দেখানো হয়।পরে পালিয়ে যাওয়ার জন্যই গ্রেপ্তারকৃতরা ওই দুইজনকে হত্যা করে বলে স্বীকার করেছেন।
বৃহস্পতিবার ডিএমপি মিডিয়া সেন্টারে এক সংবাদ সম্মেলনে এসব কথা বলেন অতিরিক্ত পুলিশ কমিশনার (ডিবি) আব্দুল বাতেন।
তিনি বলেন, বুধবার সন্ধ্যায় রাজধানীর সদরঘাট এলাকা থেকে মো. ইউসুফ খান ও রমজানকে গ্রেপ্তার করে ঢাকা মহানগর পশ্চিম গোয়েন্দা (ডিবি) পুলিশ। মঙ্গলবার রাতে মিরপুর সেকশন ২ এর একটি বাড়ির ৪র্থ তলার ফ্ল্যাটে রহিমা বেগম ও সুমী নামের দুইজনের মরদেহ উদ্ধার করে থানা পুলিশ। ওই বাসায় ইউসুফ সারা রাত সুমির সঙ্গে এক রুমে ছিলেন। আর রমজান ছিলেন বারান্দায়।সকালে টাকা নিয়ে ঝামেলা ও তাদেরকে মারধর করতে পারে এই ভেবে সুমীকে গলা চেয়ে ধরে একজন।গলা চেপে ধরার এক পর্যায়ে সুমীর মৃত্যু হয়।পরে গ্রেপ্তারকৃতদের একজন রহিমা বেগমকে ফোন করে বলে সুমী অজ্ঞান হয়ে গেছে আপনি রুমের বাহিরে আসুন।তাদের ডাকে রহিমা বেগম রুমের বাহিরে আসলে তাকেও গলা চেপে হত্যা করে তারা। পালিয়ে যাওয়ার সময় মোবাইল, ১৪ হাজার টাকা, সোনা ভেবে ইমিটেশনের ৩টি চেইন ও ১টি কানের দুল নিয়ে যায়। এগুলো তাদের কাছ থেকে উদ্ধার করা হয়। তারা পেশায় দুইজনই রাজমিস্ত্রি।
আব্দুল বাতেন বলেন, জিজ্ঞাসাবাদে গ্রেপ্তারকৃতরা জানান, বাবুল নামে এক ব্যক্তি গত সোমবার তাদের ওই দুই নারীর কাছে পাঠায়। বাবুল নামের ওই ব্যক্তিকে আটকের চেষ্টা চলছে।
আপনার মতামত লিখুন :