শিরোনাম
◈ সরকারি দপ্তরগুলোতে গাড়ি কেনা ও বিদেশ সফরে কড়াকড়ি: কৃচ্ছ্রনীতির অংশ হিসেবে অর্থ মন্ত্রণালয়ের নতুন নির্দেশনা ◈ ২১ বছর বয়স হলেই স্টার্ট-আপ লোনের সুযোগ, সুদ মাত্র ৪%: বাংলাদেশ ব্যাংকের নতুন নির্দেশনা ◈ ঢাকায় একটি চায়না টাউন প্রতিষ্ঠা করা যেতে পারে: আশিক চৌধুরী ◈ তিন বোর্ডে বৃহস্পতিবারের এইচএসসি ও সমমানের পরীক্ষা স্থগিত ◈ এসএসসির ফল নিয়ে যে বার্তা দিলেন শিক্ষা উপদেষ্টা ◈ সৈক‌তের কা‌ছে দু:খ প্রকাশ ক‌রে‌ছেন ‌বি‌সি‌বির প্রধান নির্বাচক  ◈ ভারত সরকারকে আম উপহার পাঠাল বাংলাদেশ ◈ পুলিশের ঊর্ধ্বতন ১৬ কর্মকর্তা বদলি ◈ কল রেকর্ড ট্রেলার মাত্র, অনেক কিছু এখনো বাকি, অপেক্ষায় থাকুন: তাজুল ইসলাম ◈ জাতীয় নির্বাচনের সব প্রস্তুতি ডিসেম্বরের মধ্যে সম্পন্ন করার নির্দেশ দিয়েছেন প্রধান উপদেষ্টা : প্রেস সচিব

প্রকাশিত : ০৫ ডিসেম্বর, ২০১৯, ০৫:৫৬ সকাল
আপডেট : ০৫ ডিসেম্বর, ২০১৯, ০৫:৫৬ সকাল

প্রতিবেদক : নিউজ ডেস্ক

ভারতীয় জলসীমায় চীনের আগ্রাসন, উত্তপ্ত লোকসভা

যুগান্তর : ভারতের জলসীমায় চীনের ‘আগ্রাসন’ নিয়ে সংসদ উত্তপ্ত হয়েছে। এ নিয়ে দেশটির প্রতিরক্ষামন্ত্রী রাজনাথ সিং কংগ্রেসের লোকসভা দলনেতা অধীর চৌধুরীর তোপের মুখে পড়েন। খবর কলকাতার প্রভাবশালী গণমাধ্যম আনন্দবাজার পত্রিকার।

বুধবার অধীর সংসদে অভিযোগ করেন, পাকিস্তানের বিরুদ্ধে কড়া মনোভাব থাকলেও চীনের প্রতি কেন্দ্র নমনীয়-এমন প্রশ্নে প্রতিরক্ষামন্ত্রী রাজনাথ সিং বলেন, দেশের নিরপত্তা বাহিনীর জওয়ানরা সর্বদা কড়া নজর রাখেন। এ নিয়ে কোনো সন্দেহ নেই। তবে প্রতিরক্ষামন্ত্রী যুক্তি দেখিয়ে বলেন, বহু জায়গায় চীনের সঙ্গে ভারতের সীমান্ত নির্দিষ্ট না থাকাতেও অনেক সময় এ সমস্যা হয়।

এর আগে মঙ্গলবার নৌসেনা প্রধান অ্যাডমিরাল করমবীর সিং বলেছেন, দিল্লির অনুমতি না নিয়ে সম্প্রতি ভারত মহাসাগরে ভারতীয় জলসীমায় ঢুকে পড়েছিল ‘শি ইয়ান ১’ নামে একটি চীনা জাহাজ। পরে সেটিকে তাড়া করে নৌবাহিনী ভারতীয় জলসীমার বাইরে পাঠিয়ে দিয়েছে। শুধু এটিই নয়, মাঝেমধ্যেই এই রকম চীনা জাহাজ ঢুকে পড়ে বলেও জানিয়েছেন নৌসেনা প্রধান।

এ দিন সংসদে এই নিয়ে প্রশ্ন তোলেন অধীর চৌধুরী। তিনি বলেন, পাকিস্তান জঙ্গিদের আশ্রয় দেয়, আর চীন দেয় পাকিস্তানকে। আন্দামান-নিকোবর অঞ্চলে জাহাজ পাঠাচ্ছে চীন। যখন পাকিস্তানের প্রশ্ন ওঠে, তখন আমরা কড়া অবস্থান নেই। কিন্তু চীনের ক্ষেত্রে অনেক নমনীয় অবস্থান নেওয়া হয় কেন? জাহাজ ঢুকে পড়ার ঘটনাকে ‘দেশের নিরাপত্তার প্রশ্নে অত্যন্ত গুরুতর’ বিষয় বলেও মন্তব্য করেন বহরমপুরের এ সাংসদ।

জবাবে রাজনাথ সিং বলেন, ভারত-চীনের মধ্যে পারস্পারিক বোঝাপড়ার ভিত্তিতে কোনো লাইন অব অ্যাকচুয়াল কন্ট্রোল (এলএসি) বা প্রকৃত নিয়ন্ত্রণরেখা নেই। প্রকৃত নিয়ন্ত্রণরেখা নিয়ে মতভেদের জন্যই মাঝেমধ্যে চীনা অনুপ্রবেশ ঘটে। আমি সেটা মানি। কখনও চীনের সেনা ভারতীয় ভূখণ্ডে ঢুকে পড়ে, কখনও বা ভারতীয় বাহিনী চীনের সীমান্ত পার হয়ে যায়। তবে দেশের ঐক্য, নিরাপত্তা ও সার্বভৌমত্ব রক্ষায় ভারত-চীন সীমান্ত এলাকায় রাস্তা, টানেল, রেললাইন, এয়ার বেস তৈরির মতো পরিকাঠামো উন্নয়নের কাজ চলছে।

এর পাশাপাশি প্রতিরক্ষামন্ত্রী বলেন, আমি সংসদকে নিশ্চিত করে বলতে চাই, আমাদের সেনাবাহিনী সবসময় সীমান্ত নিরাপত্তায় তৎপর। আমাদের বাহিনী যে কোনো সময় যে কোনো পরিস্থিতির মোকাবেলায় তৈরি। তা নিয়ে কারো কোনো সন্দেহ থাকা উচিত নয়।

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়