শিরোনাম
◈ ইফতার পার্টিতে আওয়ামী লীগের চরিত্রহনন করছে বিএনপি: কাদের ◈ বাংলাদেশে কারাবন্দী পোশাক শ্রমিকদের মুক্তির আহ্বান যুক্তরাষ্ট্রের ফ্যাশন লবি’র ◈ দক্ষিণ আফ্রিকায় সেতু থেকে তীর্থ যাত্রীবাহী বাস খাদে, নিহত ৪৫ ◈ ভারত থেকে ১৬৫০ টন পেঁয়াজ আসছে আজ! ◈ ২২ এপ্রিল ঢাকায় আসছেন কাতারের আমির, ১০ চুক্তির সম্ভাবনা ◈ ইর্ন্টান চিকিৎসকদের দাবি নিয়ে প্রধানমন্ত্রী’র সঙ্গে কথা বলেছি: স্বাস্থ্যমন্ত্রী ◈ উন্নয়ন সহযোগীদের একক প্ল্যাটফর্মে আসা প্রয়োজন: পরিবেশমন্ত্রী ◈ ড. ইউনূসের পুরস্কার নিয়ে ভুলভ্রান্তি হতে পারে: আইনজীবী  ◈ ত্রিশালে বাসের ধাক্কায় বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রসহ অটোরিকশার ৩ যাত্রী নিহত ◈ এসএসসি পরীক্ষায় আমূল পরিবর্তন, বদলে যেতে পারে পরীক্ষার নামও

প্রকাশিত : ০৫ ডিসেম্বর, ২০১৯, ০৪:৩০ সকাল
আপডেট : ০৫ ডিসেম্বর, ২০১৯, ০৪:৩০ সকাল

প্রতিবেদক : নিউজ ডেস্ক

মুসলিমদের তাহলে দেশ নেই, প্রশ্ন মেহবুবার

যুগান্তর ডেস্ক : ভারতে মুসলিম ছাড়া অন্য শরণার্থীদের নাগরিকত্ব দিতে আনা বিলে অনুমোদন নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন জম্মু-কাশ্মীরের সাবেক মুখ্যমন্ত্রী মেহবুবা মুফতি। বুধবার সকালে ওই বিলে চূড়ান্ত অনুমোদন দিয়েছে মোদির মন্ত্রিসভা। তারপরই দুপুরে তা নিয়ে শুরু হয় রাজনৈতিক নানান কথা।

নাগরিকত্ব সংশোধন বিলে বলা হয়েছে- পাকিস্তান, আফগানিস্তানসহ প্রতিবেশী রাষ্ট্র থেকে আসা হিন্দু, বৌদ্ধ, খ্রিস্টান, জৈন, পারসি ও শিখ শরণার্থীদের নাগরিকত্ব দেয়া হবে।

এ নিয়েই প্রশ্ন তুলেছেন জম্মু ও কাশ্মীরের সাবেক মুখ্যমন্ত্রী তথা পিডিপি নেত্রী মেহবুবা মুফতি। জম্মু ও কাশ্মীর থেকে ৩৭০ ধারা প্রত্যাহারের পর মেহবুবা এখনও গৃহবন্দি। সেই অবস্থাতেই টুইট করে মেহবুবা বলেছেন- ‘মুসলিমদের তাহলে কোনো দেশ নেই!’

অন্যদিকে সিপিএম সাধারণ সম্পাদক সীতারাম ইয়েচুরি বলেন, সরকার যে সংশোধন বিল সংসদে পেশ করতে চলেছে তাতে ধর্মের ভিত্তিতে নাগরিকত্ব দেয়ার কথা বলা হয়েছে; যা অসাংবিধানিক। সিপিএম এ বিলের বিরোধিতা করবে।

পর্যবেক্ষকদের মতে, এ সংঘাত প্রত্যাশিতই ছিল। কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী তথা বিজেপির সর্বভারতীয় সভাপতি অমিত শাহরাও হয়তো চাইছেন সংঘাত হোক। কারণ বিলকে সামনে রেখে ধর্মীয় মেরুকরণ ঘটানোও বিজেপির বৃহত্তর রাজনৈতিক উদ্দেশ্য।

এ পরিস্থিতিতে কংগ্রেস, তৃণমূলের মতো রাজনৈতিক দলের সামনে সমস্যা কম নয়। প্রস্তাবিত বিলে বিরোধিতা করলে বিজেপি বলবে মুসলিম তোষণ করা হচ্ছে। হিন্দু আবেগকে উস্কে দেয়ার চেষ্টা তখন হতে পারে।

আবার বিল নিয়ে একেবারে চুপ থাকলে সংখ্যালঘুদের একাংশ অখুশি হওয়ার আশঙ্কা রয়েছে। এই সাঁড়াশি প্যাঁচে পড়ে এখন রাস্তা বাকি একটাই। সীতারাম যে পথ নিয়েছেন, সেই পথেই হাঁটা। প্রস্তাবিত সংবিধানের শর্ত লঙ্ঘন করছে অভিযোগ তুলে বিরোধিতা করা।

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়