আসিফুজ্জামান পৃথিল, শাহনাজ বেগম : আগামী সপ্তাহেই দেশটির পার্লামেন্টে উঠবে এই বিল। এই বিলে বলা হয়েছে, আফগানিস্তান পাকিস্তান, বাংলাদেশ থেকে ধর্মীয় পীড়নের কারণে ভারতে শরণার্থী হিসেবে আশ্রয় নিতে বাধ্য হয়েছে যে হিন্দু, পার্সি, শিখ, খ্রিস্টানরা, তাদের নাগরিকত্ব দেবে সরকার। যদিও বিলে প্রতিবেশী দেশ থেকে আসা মুসলিমদের বিষয়ে কোনও উল্লেখ নেই। ধর্মের ভিত্তিতে কেনো এই ভেদাভেদ, তা নিয়ে ইতোমধ্যেই আপত্তি জানিয়েছে অধিকাংশ বিরোধী দল। এনডিটিভি, আনন্দবাজার
ধর্মের ভিত্তিতে শরণার্থীদের আশ্রয় দেওয়ার নীতির বিরোধিতা করেছে কংগ্রেস, তৃণম‚ল, সিপিআইএম-সহ আরও বেশ কয়েকটি দল। সংসদের শীতকালীন অধিবেশনে নাগরিকত্ব বিলটি আসতে চলেছে তা অনুমান করে অনেক আগে থেকেই গুয়াহাটিসহ উত্তর-পূর্ব ভারতের সব রাজ্যেই প্রতিবাদ শুরু হয়ে গিয়েছিলো। গত লোকসভায় বিলটি পাশ হলেও রাজ্যসভায় সরকার পক্ষের সংখ্যাগরিষ্ঠতা না থাকায় বিলটি পেশই করা হয়নি। ফলে লোকসভা মেয়াদ শেষ হওয়ার সঙ্গে সঙ্গেই বিলটি খারিজ হয়ে যায়। সে সময় আসামে বিরোধীরা তো বটেই, বিজেপির জোট শরিক এনপিপি প্রধান তথা মেঘালয়ের মুখ্যমন্ত্রী কনরাড সাংমার নেতৃত্বে নেডা জোটের অন্য দলগুলিও বিলের বিরোধিতায় নামে।
বিভিন্ন দেশ থেকে আসা হিন্দু, বৌদ্ধ, খ্রিস্টান, শিখ, জৈন ও পারসিকরা পাবেন নাগরিকত্ব। ২০১৪ সালের আগে ভারতে এসেছেন, অথচ কোনও বৈধ কাগজ নেই, তারাই পাবেন নাগরিকত্ব। বিশ্লেষকদের মতে মুসলিমদের এতে অন্তর্ভুক্ত না করায় তা হবে ভারতীয় সংবিধানের ১৪ নম্বর অনুচ্ছেদের লঙ্ঘন। বিভিন্ন প্রতিবেদন অনুসারে এই আইন ব্যবহার করেই পুরো ভারতে করা হতে পারে জাতীয় নাগরিকত্বের পুঞ্জি বা এনআরসি। জানা গেছে এই আইন অনুসারে মাত্র ১০০ রুপিতেই মুসলিম বাদে অন্য ধর্মের মানুষরা নাগরিকত্বের আবেদন করতে পারবেন। সম্পাদনা : ইকবাল খান
আপনার মতামত লিখুন :