কবীর চৌধুরী তন্ময় : বিষয়টা এমন দাঁড়িয়েছে-আওয়ামী লীগের এমন কিছু সিদ্ধান্তের সঙ্গে এমন কিছু ব্যক্তি জড়িত যারা কখনোই ছাত্রলীগ কিংবা বঙ্গবন্ধুর আদর্শ তো দূরের কথা, একটা সময় বঙ্গবন্ধুর চৌদ্দগোষ্ঠী উদ্ধারে নেমে পড়েছিলো। এখনো সুযোগ পেলে শেখ হাসিনার চৌদ্দগোষ্ঠী উদ্ধার করে। আবার এমন কিছু ব্যক্তিও আজ বঙ্গবন্ধুর জন্মশতবার্ষিকীর কমিটি বা উপ-কমিটিতে বসার চেয়ার পেয়েছেন যারা একটা সময় কুখ্যাত রাজাকার গোলাম আযমকে স্বাধীন সার্বভৌম বাংলাদেশে রাজনৈতিকভাবে প্রতিষ্ঠা করার লড়াইয়ের অগ্রভাবে ছিলেন। রাজাকারের পৃষ্ঠপোষক-এমন অনেকের নাম তালিকায় স্থান; সত্যিই আমাকে বিশেষভাবে মর্মাহত করেছে। বঙ্গবন্ধুর আদর্শ ধারণ করে, বঙ্গবন্ধুকে সত্যিকার অর্থে মন থেকে শ্রদ্ধা করে-এমন মানুষের এতোই অভাব? আমরা অনেকে সমালোচনা করি, জিয়াউর রহমান বঙ্গবন্ধুর খুনিদের বিদেশ পাঠিয়ে পুরস্কৃত করেছেন আর স্বৈরশাসক এরশাদ বঙ্গবন্ধুর খুনিদের এদেশে ফিরিয়ে এনে রাষ্ট্রীয় ক্ষমতায় অধিষ্ঠিত করেছে।
আর বর্তমানে কতিপয় ‘আওয়ামী লীগ করা’ তথাকথিত নেতারা কী করেছে? যারা কখনো ছাত্রলীগের রাজনীতির সঙ্গে সম্পৃক্ত ছিলো না, যারা কখনো বঙ্গবন্ধুর আদর্শ ধারণ করেনি, তারাও আজ সময়ের কারণে আওয়ামী লীগ করে। অনেকে এখন সিদ্ধান্ত দেন, কোন কোন সাংবাদিক কোন কোন সংগঠনের নেতা হবেন, কে কে গণভবনের পাস পাবেন, কে কে শেখ হাসিনার সফরসঙ্গী হবেন, আরও কে কে, কী কী হবেন। সত্যিই অদ্ভুত। খুব ভেতর থেকে ঘুণে খাওয়া নড়বড়ে করার ষড়যন্ত্র এখনই রুখতে না পারলে তথ্য-উপাত্ত বলে ভয়ঙ্কর পরিস্থিতি অপেক্ষা করছে। আমি ‘আওয়ামী লীগ করি’ লোকদের ১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্টই এ জাতি ভালো করে চিনতে ও জানতে পেরেছে। বাস্তব পরিস্থিতির শিক্ষায় শিক্ষিত হতে না পারলে শিক্ষক কিংবা শিক্ষালয়ের দোষ খোঁজা নিজের অপরিপক্কতার বহিঃপ্রকাশ। ফেসবুক থেকে
আপনার মতামত লিখুন :