শিরোনাম
◈ ২০২৫ সালের মধ্যে ৪৮টি কূপ খনন শেষ করতে চায় পেট্রোবাংলা ◈ ভিত্তিহীন মামলায় বিরোধী নেতাকর্মীদের নাজেহাল করা হচ্ছে: মির্জা ফখরুল ◈ বিনা কারণে কারাগার এখন বিএনপির নেতাকর্মীদের স্থায়ী ঠিকানা: রিজভী ◈ অপরাধের কারণেই বিএনপি নেতা-কর্মীদের  বিরুদ্ধে মামলা হয়েছে: প্রধানমন্ত্রী  ◈ অ্যাননটেক্সকে জনতা ব্যাংকের সুদ মওকুফ সুবিধা বাতিলের নির্দেশ বাংলাদেশ ব্যাংকের ◈ চুয়াডাঙ্গায় তাপমাত্রা ৪১ দশমিক ৩ ডিগ্রি, হিট এলার্ট জারি  ◈ ঢাকা শিশু হাসপাতালের আগুন নিয়ন্ত্রণে ◈ ইরানে ইসরায়েলের হামলার খবরে বিশ্বজুড়ে উত্তেজনা, তৃতীয় বিশ্বযুদ্ধের আতঙ্ক ◈ বিমানবন্দরের থার্ড টার্মিনালের বাউন্ডারি ভেঙে বাস ঢু‌কে প্রকৌশলী নিহত ◈ জাতীয় পতাকার নকশাকার শিব নারায়ণ দাস মারা গেছেন

প্রকাশিত : ০৩ ডিসেম্বর, ২০১৯, ০৩:৫৯ রাত
আপডেট : ০৩ ডিসেম্বর, ২০১৯, ০৩:৫৯ রাত

প্রতিবেদক : নিউজ ডেস্ক

ছাত্র সংগঠনের সাংগঠনিক প্রধান কিভাবে রাজনৈতিক দলের প্রধান হয়, বললেন মেনন

নিউজ ডেস্ক : ছাত্র সংগঠনের সাংগঠনিক প্রধান কিভাবে রাজনৈতিক দলের প্রধান হওয়া নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন ১৪ দলীয় জোটের শরিক ওয়ার্কার্স পার্টির সভাপতি রাশেদ খান মেনন এমপি। ‘বাংলাদেশের ছাত্র রাজনীতি ও প্রাসঙ্গিক ভাবনা’ শীর্ষক এ গোলটেবিল বৈঠকের আয়োজন করে সুশাসনের জন্য নাগরিক-সুজন।

মেনন বলেন, একটি ছাত্র সংগঠনের সাংগঠনিক প্রধান কিভাবে রাজনৈতিক দলের প্রধান হতে পারে? এটা আমার মাথায় আসে না। দলের সাংগঠনিক নিয়ন্ত্রণ থেকে মুক্ত হতে পারলে এ দেশের ছাত্র রাজনীতি এগিয়ে যাবে। সোমবার জাতীয় প্রেস ক্লাবে ছাত্র রাজনীতি নিয়ে আয়োজিত এক গোলটেবিল বৈঠকে তিনি এ সব কথা বলেন।

আ স ম আবদুর রব বলেন, বর্তমান সরকার নিজেদের পাপ আড়াল করতে ছাত্র রাজনীতি নিষিদ্ধ করতে চাচ্ছে। যাতে ছাত্ররা কথা বলতে না পারে। কিন্তু তাদের কথা বলতে হবে। স্বাধীনতা, সার্বভৌমত্বকে রক্ষা করার জন্য দেশে ছাত্র রাজনীতি থাকতে হবে। ছাত্র রাজনীতির মাধ্যমেই এ দেশে স্বাধীনতা এসেছিল। ছাত্র রাজনীতি নিষিদ্ধ করার মতো নিষ্ঠুর ও নির্মম সিদ্ধান্ত নেয়া সরকারকে ক্ষমতাচ্যুৎ করতে হবে।

ডাকসুর সাবেক ভিপি মাহমুদুর রহমান মান্না বলেন, ছাত্র রাজনীতি মানে জাতীয় রাজনীতির বড় জায়গা। সত্যের পক্ষে তারুণ্যকে সব সময় থাকতে হবে। সঠিক কথা বলতে হবে। খালেদা জিয়াকে যেভাবে জেলে রাখা হয়েছে, তা অন্যায়। দেশে একটা অনাচার চলছে। দেশ আজ গভীর সংকটে। এর বিরুদ্ধে কি কথা বলা যাবে না? কথা বলতে হবে।

সিপিবির সভাপতি মুজাহিদুল ইসলাম সেলিম বলেন, ছাত্র রাজনীতিতে এখন কৃষ্ণপক্ষ চলছে। কিন্তু সবকিছু অন্ধকারে হারিয়ে যায়নি। তাহলে গণজাগরণ মঞ্চ, কোটা সংস্কার আন্দোলন, নিরাপদ সড়কের আন্দোলন থেকে শুরু করে হালের আবরার হত্যার বিচারের আন্দোলন হতো না। বুয়েটে ছাত্র রাজনীতি সব সময়ই নিষিদ্ধ ছিল। কিন্তু সেখানে কিভাবে আবরার হত্যাকাণ্ড হল? এটা ছাত্র রাজনীতি না থাকার কারণে হয়েছে। ছাত্র রাজনীতি নিষিদ্ধ করা ঠিক হবে না। অবারিত করে দেয়া দরকার।

তিনি বলেন, আমি একটি আহ্বান জানাতে চাই। ডাকসুর সাবেক ভিপি-জিএসদের এক প্ল্যাটফর্মে আনতে চাই। কাউন্সিল অব এক্স ভিপি-ভিসি অব ডাকসু নামে। এই আমরাই নতুনদের সামনের দিকে পথ দেখাতে পারব সেখান থেকে। সাবেক তথ্য প্রতিমন্ত্রী অধ্যাপক আবু সাইয়িদ বলেন, ছাত্র রাজনীতিকে জাতীয় রাজনীতি থেকে বিযুক্ত করতে হবে। বর্তমানে জাতীয় রাজনীতি লুটেরাদের হাতে চলে গেছে। এ অবস্থা দূর করতে ঐক্যের প্রয়োজন রয়েছে।

ডাকসুর বর্তমান ভিপি নুরুল হক নুরু বলেন, নব্বইয়ের পর এ দেশে ছাত্র রাজনীতিতে কিচ্ছু হয়নি। শুধু দলীয় লেজুড়বৃত্তি ছাড়া। আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় থাকার কারণে ছাত্রলীগ লাগামহীন হয়ে পড়েছে। বিএনপি ক্ষমতায় থাকলে হয়ত ছাত্রদলও এমন লাগামহীন হয়ে পড়ত।

সভাপতির বক্তব্যে সুজনের নির্বাহী সদস্য ও সাবেক মন্ত্রিপরিষদ সচিব আলী ইমাম মজুমদার বলেন, শিক্ষার গুণগতমান বৃদ্ধি পেলে, ছাত্র রাজনীতি এই কলুষতা থেকে মুক্তি পাবে।

গোলটেবিল বৈঠকে আরও বক্তব্য রাখেন ছাত্র ইউনিয়নের সাবেক সাধারণ সম্পাদক রুহিন হোসেন প্রিন্স, সাংবাদিক অজয় দাশগুপ্ত ও আবু সাঈদ খান, শিক্ষাবার্তা সম্পাদক এ এন রাশেদা প্রমুখ। সুজন’র সাধারণ সম্পাদক বদিউল আলম মজুমদারের সঞ্চালনায় ‘বাংলাদেশের ছাত্র রাজনীতি ও প্রাসঙ্গিক ভাবনা’ শীর্ষক প্রবন্ধ পাঠ করেন সুজন’র সমন্বয়কারী দিলীপ কুমার শর্মা। যুগান্তর

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়