রাশিদ রিয়াজ : সাম্প্রতিক বছরগুলোতে ভারতের বানরের আক্রমণ ব্যাপকভাবে বেড়ে যাওয়ায় কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা প্রযুক্তি ব্যবহারের সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে। ঘরে ঢুকে খাবার চুরি, দুধে চুমুক, জিনিস বিনষ্ট, টাকা চুরি করে গাছ থেকে তা পথচারীদের প্রতি লক্ষ্য করে ছুড়ে দেয়ার মত বিবিধ যন্ত্রণায় ত্যক্ত বিরক্ত ভারতের অনেক নাগরিক। এখন বানরের আগ্রাসী মনোভাব রোধ করা সম্ভব না হলেও নতুন দিল্লিতে ইন্দ্রপ্রস্থ ইনস্টিটিউট অব ইনফরমেশন টেকনোলজির একদল বিজ্ঞানী বিষয়টি নিয়ে মাইক্রোসফট এআই ফর আর্থ’এর সঙ্গে কাজ শুরু করেছেন। বানরের যাতায়াত ও গতিবিধি পর্যবেক্ষণ করে প্রাণিগুলো কিভাবে মানুষের ওপর আক্রমণ করে তারও নজরদারি চলছে। এসব তথ্য উপাত্ত সংগ্রহ করে প্রাণি নিয়ন্ত্রণ কর্মকর্তাদের পাঠানো হবে এবং তারা নির্ধারণ করবেন কোন এলাকার বানরগুলোকে জীবাণুমুক্ত করা হবে। স্পুটনিক ইন্টারন্যাশনাল
নয়াদিল্লি ছাড়াও ভারতের অন্যান্য স্থানে বানরের উপদ্রপে অতীষ্ট রয়েছে মানুষ। দিনে ভারতে অন্তত হাজার খানেক মানুষ বানরের কামড়ে আক্রান্ত হন। হাতে কলমে বানরের চেহারা সনাক্ত করে প্রাণিগুলোর প্রতি লক্ষ্য রেখে গতিবিধি পর্যবেক্ষণ করা হয়। গবেষকরা ৯৩টি বানরের ৪ হাজারটি ছবি সংগ্রহ করে একটি ডাটাবেস তৈরি করেছেন। এখন এই কাজটি কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা প্রযুক্তির সাহায্যে করা হবে। এজন্যে একটি অ্যাপ তৈরি করা হচ্ছে। কেউ এই অ্যাপে আগ্রাসী বানরের ছবি তুলে পাঠাতে পারবেন। এ ধরনের প্রকল্প নিয়ে কাজ করছেন যেসব বিজ্ঞানী তাদের একজন বলেন, ভারতের শহুরে বানরগুলো সহজেই খাবার চুরি করতে পারে বলে তাদের বংশবৃদ্ধি দ্রুত বাড়ছে। ফলে তাদের হয়রানিও বাড়ছে। এরফলে মানুষের সঙ্গে এই প্রাণির একটা দ্বন্দ্বের সৃষ্টি হচ্ছে। এটি কমাতেই কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা ব্যবহার করে আগ্রাসী বানরের সংখ্যা, গতিবিধি ও তাদের আবাসস্থল চিহ্নিত করে পরবর্তী ব্যবস্থা নেয়া হবে।
আপনার মতামত লিখুন :