শিরোনাম
◈ ভবিষ্যৎ বাংলাদেশ গড়ার কাজ শুরু করেছেন প্রধানমন্ত্রী: ওয়াশিংটনে অর্থমন্ত্রী ◈ দাম বেড়েছে আলু, ডিম, আদা ও রসুনের, কমেছে মুরগির  ◈ ২০২৫ সালের মধ্যে ৪৮টি কূপ খনন শেষ করতে চায় পেট্রোবাংলা ◈ ভিত্তিহীন মামলায় বিরোধী নেতাকর্মীদের নাজেহাল করা হচ্ছে: মির্জা ফখরুল ◈ বিনা কারণে কারাগার এখন বিএনপির নেতাকর্মীদের স্থায়ী ঠিকানা: রিজভী ◈ অপরাধের কারণেই বিএনপি নেতা-কর্মীদের  বিরুদ্ধে মামলা হয়েছে: প্রধানমন্ত্রী  ◈ অ্যাননটেক্সকে জনতা ব্যাংকের সুদ মওকুফ সুবিধা বাতিলের নির্দেশ বাংলাদেশ ব্যাংকের ◈ চুয়াডাঙ্গায় তাপমাত্রা ৪১ দশমিক ৩ ডিগ্রি, হিট এলার্ট জারি  ◈ ঢাকা শিশু হাসপাতালের আগুন নিয়ন্ত্রণে ◈ ইরানে ইসরায়েলের হামলার খবরে বিশ্বজুড়ে উত্তেজনা, তৃতীয় বিশ্বযুদ্ধের আতঙ্ক

প্রকাশিত : ২৩ নভেম্বর, ২০১৯, ১২:০২ দুপুর
আপডেট : ২৩ নভেম্বর, ২০১৯, ১২:০২ দুপুর

প্রতিবেদক : নিউজ ডেস্ক

টাওয়ার শেয়ারিংয়ে ব্যর্থ ৪ টেলিকম কোম্পানি

ম. সিদ্দিকা : মোবাইল ফোন অপারেটরগুলোর নেটওয়ার্ক টাওয়ার স্থাপন ও রক্ষণাবেক্ষণের জন্য চারটি প্রতিষ্ঠানকে টাওয়ার শেয়ারিং লাইসেন্স প্রদান করা হয়েছে। কিন্তু এক বছর পেরিয়ে গেলেও কার্যক্রম শুরু করতে পারেনি কোম্পানিগুলো। এতে নিজেদের মধ্যে চুক্তি সম্পাদনের পরও কোনো সেবা পাচ্ছেন না গ্রাহকরা। নেটওয়ার্ক সক্ষমতা বাড়াতে না পাড়ায় ভোগান্তিতে পড়ছেন গ্রাহকরা। শেয়ারবিজ

গত বছর নভেম্বরে টাওয়ার শেয়ারিং লাইসেন্স পাওয়া প্রতিষ্ঠান চারটি হলো ইডটকো বাংলাদেশ কোম্পানি লিমিডেট, সামিট পাওয়ার লিমিটেড, কীর্তনখোলা টাওয়ার বাংলাদেশ লিমিটেড ও এবি হাইটেক কনসোর্টিয়াম লিমিটেড। মোবাইল নেটওয়ার্ক টাওয়ার স্থাপন, রক্ষণাবেক্ষণের অবকাঠামো উন্নয়ন, ব্যবস্থাপনায় বিপুল ব্যয়ের পাশাপাশি টাওয়ারের সংখ্যা নিয়ন্ত্রণ এবং ভূমি ও বিদ্যুতের সংকট ছাড়াও পরিবেশের ওপর বিরূপ প্রভাবের বিভিন্ন দিক বিবেচনায় মানসম্মত টেলিযোগাযোগ সেবা দেওয়ার লক্ষ্য নিয়ে এ লাইসেন্স দেওয়া হয়।

টাওয়ার শেয়ার নীতিমালা অনুযায়ী, এ সংক্রান্ত লাইসেন্স প্রদানের ফলে মোবাইল টাওয়ার লাইসেন্স রোল আউটের ওপর ভিত্তি করে মোবাইল ফোন অপারেটরগুলো কোনো নতুন টাওয়ার স্থাপন করতে পারবে না। এছাড়া এক অপারেটর আরেক অপারেটরের কাছে আর টাওয়ার ভাড়া দিতে পারবে না। তবে লাইসেন্স পাওয়া টাওয়ার কোম্পানির কাছে অপারেটরগুলো তাদের টাওয়ার বিক্রি করতে পারবে।

টাওয়ার শেয়ারিং প্রতিষ্ঠানগুলো লাইসেন্স পাওয়ার প্রথম বছরে প্রতিষ্ঠানগুলোকে দেশের সব বিভাগীয় শহরে সেবা স¤প্রসারণ করতে হবে। যদিও বাংলাদেশ টেলিযোগাযোগ নিয়ন্ত্রণ কমিশনের (বিটিআরসি) অনুমোদন না পাওয়ার পর গত এক বছরে নতুন কোনো মোবাইল টাওয়ার স্থাপন করতে পারেনি কোম্পানিগুলো। অথচ এ সময় পুরোনো টাওয়ারগুলোও মেরামত করতে পারেনি অপারেটররা। এ নিয়ে জটিলতা বাড়ছে।

এছাড়া দ্বিতীয় বছর জেলা শহর, তৃতীয় বছর ৩০ শতাংশ উপজেলা, চতুর্থ বছর ৬০ শতাংশ উপজেলা ও পঞ্চম বছর দেশের সব উপজেলায় টাওয়ার সেবা দিতে হবে। টাওয়ার শেয়ারিং লাইসেন্সের জন্য লাইসেন্স ফি ২৫ কোটি টাকা, বার্ষিক নবায়ন ফি পাঁচ কোটি টাকা এবং দ্বিতীয় বছর থেকে বিটিআরসির সঙ্গে রাজস্ব ভাগাভাগি হবে পাঁচ দশমিক পাঁচ শতাংশ হারে। এছাড়া সামাজিক দায়বদ্ধতা তহবিলে জমা দিতে হবে এক শতাংশ হারে। লাইসেন্সের মেয়াদকাল ১৫ বছর, যদিও টাওয়ার শেয়ারিং প্রতিষ্ঠানগুলো লাইসেন্সপ্রাপ্তির এক বছরেও কোনো কার্যক্রম শুরু করতে পারেনি।
নেটওয়ার্ক স¤প্রসারণে টাওয়ার শেয়ারিংয়ের চুক্তি অনুমোদন নিয়ে মোবাইল ফোন অপারেটর ও বিটিআরসির টানাপড়েনে গ্রাহকসেবা হুমকির মুখে পড়ছে বলে জানায় মোবাইল ফোন অপারেটরগুলো।

অপারেটরগুলো জানায়, কয়েকটি টাওয়ার শেয়ারিং প্রতিষ্ঠানের সঙ্গে চুক্তি করলেও নতুন টাওয়ার ভাড়া নেওয়ার জন্য বিটিআরসির অনুমোদন মেলেনি। নীতিমালা অনুযায়ী মোবাইল অপারেটর ও টাওয়ার শেয়ারিং প্রতিষ্ঠান নিজেদের আলোচনার ভিত্তিতে ব্যবসায়িক চুক্তি করবে। কিন্তু বিটিআরসি দ্বিপক্ষীয় চুক্তি অনুমোদন না দিয়ে নিজেরাই একটি সাধারণ চুক্তি বানিয়ে তা চাপিয়ে দেওয়ার চেষ্টা করছে বলে অভিযোগ অপারেটরদের।
অপারেটররা বলছে, এ ধরনের হস্তক্ষেপ করে বিটিআরসি নিজেই টাওয়ার শেয়ারিং নীতিমালার ১৪ দশমিক শূন্য ৩ ও ১৪ দশমিক ৪ ধারা অমান্য করছে। এসব ধারায় মোবাইল ফোন অপারেটর ও টাওয়ার শেয়ারিং প্রতিষ্ঠানগুলোর দ্বিপক্ষীয় চুক্তির কথা বাধ্যতামূলক বলে উল্লেখ রয়েছে।
অ্যাসোসিয়েশন অব মোবাইল টেলিকমিউনিকেশন অপারেটরস অব বাংলাদেশের (এমটব) মহাসচিব ব্রিগেডিয়ার জেনারেল (অব.) এসএম ফরহাদ বলেন, মোবাইল অপারেটরগুলো তাদের নেটওয়ার্ক স¤প্রসারণ ও গ্রাহকসেবা প্রদানের জন্য বিটিআরসির অনুমোদন নিয়ে নিজেদের অর্থ বিনিয়োগ করে টাওয়ার নির্মাণ করেছে। টাওয়ার শেয়ারিং গাইডলাইন অনুযায়ী এখন এই টাওয়ারগুলো টাওয়ার কোম্পানির কাছে হস্তান্তর করতে হবে এবং প্রয়োজনীয় সেবা তাদের কাছে থেকে নিতে হবে। আর এর ওপরেই নির্ভর করবে অপারেটরদের সব ধরনের সেবা ও সেবার মান।

তিনি আরও বলেন, বাজার প্রতিযোগিতার কথা বিবেচনা করে টাওয়ার কোম্পানি ও মোবাইল অপারেটরদের মধ্যে রক্ষণাবেক্ষণ সংক্রান্ত চুক্তি বা এসএলএ (সার্ভিস লেবেল এগ্রিমেন্ট) এবং বাণিজ্যিক বা কমার্শিয়াল চুক্তি এ দুই ধরনের চুক্তি দ্বিপক্ষীয় ভিত্তিতে হওয়া বাঞ্ছনীয়। কিন্তু বিটিআরসি দুটো চুক্তিকে এক করে একটি খসড়া তৈরি করেছে। আমরা নিয়ন্ত্রক সংস্থাকে আলাদা আলাদা চুক্তির বিষয়টি বিবেচনার জন্য বলেছি। কারণ এটা করা না হলে প্রতিযোগিতার পরিবেশ ব্যাহত হবে এবং গ্রাহকেরা মানসম্মত সেবা থেকে বঞ্চিত হবেন। বিটিআরসির সঙ্গে এ বিষয়ে আলাপ-আলোচনা চলছে এবং আশা করছি, শিগগিরই একটি সমাধানে পৌঁছাতে পারব। সম্পাদনা : আসিফুজ্জামান পৃথিল

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়