মোহাম্মদ আলী বোখারী, টরন্টো থেকে : বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা পরিচালিত এক গবেষণায় দেখা গেছে, বিশ্বব্যাপি অধিকাংশ কিশোর-কিশোরী শারীরিকভাবে কর্মতৎপরহীন হওয়ায় স্বাস্থ্য ঝুঁকিতে থাকলেও বাংলাদেশ, ভারত ও যুক্তরাষ্ট্রের কিশোর-কিশোরী যথেষ্ট কর্মক্ষম। গত ২২ নভেম্বর সুইজারল্যান্ডের রাজধানী জেনেভায় অবস্থিত ওই সংস্থার সদর দপ্তর থেকে প্রচারিত এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়েছে।
এতে ১৪৬টি দেশের ১১ থেকে ১৭ বছর বয়সী ১০ লাখ ৬০ হাজার কিশোর-কিশোরীর উপর ২০০১ থেকে ২০১৬ সালে পরিচালিত গবেষণায় দেখা গেছে, কিশোরদের তুলনায় কিশোরীরা একমাত্র টোঙ্গা, সামোয়া, আফগানিস্থান ও জাম্বিয়া বাদে সব দেশেই স্বল্প কর্মতৎপর। এছাড়াও বিশ্বব্যাপি ৮০ শতাংশ স্কুলগামী কিশোর-কিশোরীই প্রাত্যহিক অনুমোদিত এক ঘন্টার শারীরিক কসরত বিমুখ, যার মাঝে ৮৫ শতাংশ কিশোরী ও ৭৮ শতাংশ কিশোর অর্ন্তভুক্ত।
তথাপি ওই কর্মতৎপরহীন ধারাটি সর্বত্র বিরাজমান থাকলেও কিশোরদের ক্ষেত্রে বাংলাদেশ ৭৩ থেকে ৬৩ শতাংশ, সিঙ্গাপুর ৭৮ থেকে ৭০ শতাংশ, থাইল্যান্ড ৭৮ থেকে ৭০ শতাংশ, বেনিন ৭৯ থেকে ৭১ শতাংশ, আয়ারল্যান্ড ৭১ থেকে ৬৪ শতাংশ এবং যুক্তরাষ্ট্র ৭১ থেকে ৬৪ শতাংশে নেমে এসেছে। পক্ষান্তরে, কিশোরীদের ক্ষেত্রে ওই পরিবর্তন সামান্য নামা কিংবা উঠেছে; যেমন- সিঙ্গাপুরে ৮৫ থেকে ৮৩ শতাংশে নামলেও আফগানিস্থানে ৮৭ থেকে ৮৮ শতাংশে উঠেছে। আর ২০১৬ সালের হিসাবে, বাংলাদেশ ও ভারতের কিশোরদের মাঝে কর্মতৎপর হওয়ার প্রবণতা যথাক্রেমে ৬৩ ও ৭২ শতাংশ, যার প্রধানতম কারণ জাতীয় খেলা ক্রিকেটের প্রতি সচেষ্ট হয়ে ওঠা। অন্যদিকে, যুক্তরাষ্ট্রে ৬৪ শতাংশ কর্মতৎপর হওয়ার কারণ স্কুলে উত্তম শারীরিক শিক্ষা ও মিডিয়ায় খেলার ভালো দিক তুলে ধরাসহ যথেষ্ট আইস-হকি, আমেরিকান ফুটবল, বাস্কেটবল ও বেসবল খেলার ক্লাব থাকাটি বিবেচ্য। তদুপরি, বাংলাদেশ ও ভারতে কিশোরীদের মাঝে কর্মতৎপর হওয়ার কারণ সামাজিক বিষয়াবলি, যেমন-গেরস্থালি কাজকর্ম।
আপনার মতামত লিখুন :