ইসরাত জাহান উর্মি : সাত-আট বছর আগে হবে। সড়ক দুর্ঘটনা নিয়েই একটা ইন্টারভিউ করতে গিয়েছিলাম ইলিয়াস কাঞ্চনের। শেষ করে ইনফর্মাল কথাবার্তা বলছি। একটা ঘটনা বললেন। স্ত্রী কিছুদিন আগে মারা গেছেন। একদিন সকালে কাজে যাওয়ার আগে দেখেন ছোট মেয়ে চুপ করে বসে আছে। তিনি বললেন, মা স্কুলে যাবে না? মেয়ে ইতস্তত করে বললো, বাবা, স্কুলে বেনী করে না গেলে টিচার বকে, মা তো নেই, আজ কাজের বুয়া আসেনি, আমার বেনী করে দেয়ার কেউ নেই, তাই... ‘বাচ্চার মা মারা না গেলে বাবারা মা হয়ে ওঠে না, আমি সেইদিন মেয়ের বেনী বাঁধা শিখতে চাইলাম...’ বলতে বলতে ঢাকাই সিনেমার নায়ক যারে আমরা ইয়ার্কি করে সিরিয়াস কাঞ্চন বলি- তিনি কাঁদলেন। এতো বছর ধরে এই লোকটা ব্যক্তিক বেদনা থেকেই ‘নিরাপদ সড়ক চাই’ আন্দোলন করে যাচ্ছেন।
আপনারা যারা ফেসবুকে চিরিক করে ‘ইলিয়াস কাঞ্চন কই’ বলে ফাত্রামি মারতেছেন, তারা প্লিজ একটু মানবিক হোন। তিনি তবুও আন্দোলনটা করেছেন, পরিবহন শ্রমিকরা তারে থ্রেট করেছে, তিনি এগুলো নিয়েছেন, আপনারা ফেসবুকের বিবেকরা কি ফালাইছেন বলেন। (এটা গতবছর আগস্টে কিশোরদের ‘নিরাপদ সড়ক চাই’ আন্দোলনের সময় লেখা। ভালো লাগছে এটা ভেবে যে, এখন অন্তত আর কেউ চিরিক করে লাফ মারছেন না, সবাই তার পাশে দাঁড়ানোর কথা বলছেন।)। ফেসবুক থেকে
আপনার মতামত লিখুন :