শিরোনাম

প্রকাশিত : ২৩ নভেম্বর, ২০১৯, ০৫:৪২ সকাল
আপডেট : ২৩ নভেম্বর, ২০১৯, ০৫:৪২ সকাল

প্রতিবেদক : নিউজ ডেস্ক

ফের গাড়ীতে গণ ডাকাতি মারধর করে সবকিছু লুট

মো.জয়নুল আবেদীন,আমতলী : ফের এক মাসের মাথায় আমতলী-পটুয়াখালী মহাসড়কের আমড়াগাছিয়া খানকায়ে ছালেহিয়া কমপ্লেক্সের দক্ষিণ পাশে গাছের গুড়ি ফেলে সড়ক আটকে পিকনিকের গাড়ী, দুইটি পিকআপ ও বিয়ের যাত্রী মাইক্রোবাসসহ তিনটি মাইক্রোবাসে গণ ডাকাতির ঘটনা ঘটেছে। ডাকাতদল অস্ত্র দিয়ে লোকজনকে মারধর করে সর্বস্ব নিয়ে গেছে। ডাকাতের অতর্কিত হামলায় মহিলাসহ অনেক লোকজন আহত হয়েছে বলে জানান প্রত্যক্ষদর্শীরা।

ডাকাতের হামলায় মাইক্রোবাস চালক বিধান চন্দ্র বিশ্বাসকে আমতলী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়েছে।  ঘটনা ঘটেছে বৃহস্পতিবার দিবাগত রাত দেড়টার দিকে। একের পর এক চুরি, ডাকাতি ও ছিনতাইয়ের ঘটনায় আমতলীর আইন শৃংখলার চরম অবনতি হয়েছে বলে জানান সচেতন নাগরিক।

প্রত্যক্ষদর্শী সূত্রে জানা গেছে, আমতলী-পটুয়াখালী মহাসড়কের আমড়াগাছিয়া খানকায়ে ছালেহিয়া কমপ্লেক্সের দক্ষিণ পাশে বৃহস্পতিবার দিবাগত রাত দেড়টার দিকে মুখোশ পরিহিত (গামছা পেচানো) ১৫/১৬ জনের একটি ডাকাত দল গাছের গুড়ি ফেলে রাখে। পরে আমতলী থেকে ছেড়ে যাওয়া একটি মাইক্রোবাস ও একটি মুরগীর বাচ্চার পিকআপ আটকে দেয়। ওই মাইক্রো চালক বিধান চন্দ্র বিশ্বাসকে ধারালো অস্ত্র দিয়ে কুপিয়ে ১০ হাজার টাকা ও দুইটি মোবাইল সেট এবং মুরগীর বাচ্চার পিকআপের চালকে মারধরে করে ৭০ হাজার টাকা নিয়ে গেছে। এর পরপর পটুয়াখালীর দিক থেকে আসা পিকনিকের পরিবহন বাস গাড়ী, একটি মাইক্রোবাস গাড়ীতে বিয়ের যাত্রীসহ তিনটি মাইক্রোবাসে ডাকাতদল হামলা চালায়। তারা ওই গাড়ীর লোকজনকে মারধর করে নগদ টাকা ও মোবাইল ফোন ও অন্যান্য মালামাল নিয়ে গেছে বলে জানান ডাকাতের হামলার শিকার বিধান বিশ্বাস।

ডাকাত দলের মারধরে লোকজনের ডাকচিৎকারে এলাকায় আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ে। পৌনে এক ঘণ্টা তাÐব চালায় ডাকাত দল বলে জানান প্রত্যক্ষদর্শী মাইক্রেবাসা চালক বিধান বিশ্বাস। ডাকাতের হামলায় বহুলোক আহত হয়েছে। ডাকাতির খবর পেয়ে আমতলী-পটুয়াখালী মহাসড়কের মহিষকাটা এলাকা থেকে দ্রুত টহল পুলিশ ঘটনাস্থলে আসে। পুলিশের উপস্থিতি টের পেয়ে ডাকাতদল সড়কের দুই পাশে ধান খেত দিয়ে পালিয়ে গেলে বলে জানান প্রত্যক্ষদর্শীরা। পুলিশ এসে গাছের গুড়ি সরিয়ে দিলে সড়ক স্বাভাবিক হয়।

ডাকাতির ঘটনায় আমতলী থানায় মামলার প্রস্তুতি চলছে।

নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক কয়েকজন বলেন, গভীর রাতে সড়কে ডাকচিৎকারের শব্দ শুনে আমরা হতভম্ব হয়ে যাই কিন্তু ভয়ে নামিনি। তারা আরো বলেন, গাড়ীর মধ্যে অনেক লোকের কান্নাকাটির শব্দ শুনেছি ।

ডাকাতির হামলার শিকার মাইক্রো চালক বিধান বিশ্বাস বলেন, বৃহস্পতিবার রাতে এক যাত্রী আনতে পটুয়াখালী যাচ্ছিলাম। পথিমধ্যে রাত অনুমানিক দেড়টার দিকে সড়কে গাছের গুড়ি ও বøক ফেলা দেখে গাড়ী থামাই। গাড়ী থামানো মাত্রই মুখোশ পরিহিত ৭/৮ জনের ডাকাত দল আমাকে দেশীয় অস্ত্র দিয়ে কুপিয়ে দুটি মোবাইল ফোন ও দশ হাজার টাকা নিয়ে যায় এবং আমাকে অস্ত্র ঠেকিয়ে আটকে রাখে। তিনি আরো বলেন ৭/৮ জনের অপর একটি দল আমার পিছনে একটি মুরগীর পিকআপের চালককে মারধর করে ৭০ হাজার টাকা নিয়ে গেছে। এরপর আমার গাড়ীর সামনে একটি পিকনিকের পরিবহন বাস গাড়ী, একটি বিয়ের মাইক্রোবাসসহ তিনটি মাইক্রোবাস গাড়ীতে হামলা চালিয়েছে। ওই সকল গাড়ীতেও কান্নাকাটির  শব্দ শুনেছি। তিনি আরো বলেন ডাকাতদের হাতে পিস্তল, চাপাতি, ছুরি, রামদা ও বগি ছিলো।

বরগুনা জেলা সহকারী পুলিশ সুপার (আমতলী সার্কেল) সৈয়দ রবিউল ইসলাম বলেন, ঘটনার রাতেই আমি প্রেট্রোল ডিউটিতে শাখারিয়া নামক স্থানে ছিলাম। খবর পেয়েই দ্রæত ঘটনাস্থলে এসেছি। তিনি আরো বলন, দুই একটি গাড়ীতে ডাকাত দল হামলা করেছে । এ ঘটনায় মামলার প্রস্তুতি চলছে। সম্পাদনা: জেরিন মাশফিক

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়