শিরোনাম
◈ গাজায় মানবসৃষ্ট দুর্ভিক্ষ চলছে, দায়ী ইসরায়েল: ইইউ ◈ রাখাইনে আরো একটি শহর দখল করেছে আরাকান আর্মি ◈ পঞ্চগড় এক্স‌প্রেস ট্রেনের ব‌গি চার ঘণ্টা পর উদ্ধার, ট্রেন চলাচল স্বাভা‌বিক ◈ বাড়ি থেকে ডেকে নিয়ে ছাত্রলীগ নেতাকে কুপিয়ে হত্যা ◈ সীমান্তে হত্যাকাণ্ড নিয়ে সরকার টু শব্দ করার সাহস পাচ্ছে না: বিএনপি ◈ এমভি আবদুল্লাহ জাহাজে অভিযানের প্রস্তুতি নিচ্ছে সোমালিয় পুলিশ ও বহুজাতিক নৌবাহিনী ◈ জীবনের নিরাপত্তা চেয়ে ডিবিতে অভিযোগ করলেন জবি ছাত্রী ◈ ঈদের পর কাওরান বাজার যাবে গাবতলীতে: মেয়র আতিক ◈ আবদুল্লাহ জাহাজে থাকা কয়লায় দুর্ঘটনার ঝুঁকি নেই: এস আর শিপিং ◈ পাপেট সরকার ক্ষমতায় না আসা পর্যন্ত সব নির্বাচন ত্রুটিপূর্ণ বলবে যুক্তরাষ্ট্র: জয় 

প্রকাশিত : ২৩ নভেম্বর, ২০১৯, ০৫:৩১ সকাল
আপডেট : ২৩ নভেম্বর, ২০১৯, ০৫:৩১ সকাল

প্রতিবেদক : নিউজ ডেস্ক

মহেশপুরে আমা ইটের খোয়া দিয়ে জোরপুর্বক রাস্তা নির্মাণের অভিযোগ

মাহফুজুর রহমান, ঝিনাইদহ : ৬০ লাখ টাকার রাস্তায় আমা ইটের খোয়া ব্যবহার করছেন ঠিকাদার। খবর পেয়ে নিম্নমানের মালামাল ব্যবহারের অভিযোগে এলজিইডি কর্তৃপক্ষ কাজ বন্ধ করে দিয়েছেন। তারপরও জোর করে ঠিকাদার রাস্তা করছেন। ঝিনাইদহের মহেশপুর উপজেলার হুসোরখালী থেকে ইসলামপুর হুদাপাড়া পর্যন্ত সড়ক উন্নয়ন কাজে এই অনিয়মের অভিযোগ উঠেছে।

গ্রামবাসি জানান, তাদের দীর্ঘদিনের দাবির প্রেক্ষিতে এলজিইডি কর্তৃপক্ষ রাস্তাটি পাঁকা করার উদ্যোগ নেন। কিন্তু শুরুতেই দুর্নীতির আশ্রয় নেওয়ার কারণে এক কিলোমিটার দৈর্ঘ্য রাস্তাটির নির্মাণ কাজ বন্ধ হয়ে গেছে।

সরেজমিনে দেখা গেছে, ঝিনাইদহের মহেশপুর উপজেলার হুসোরখালী পাঁকা রাস্তা থেকে ইসলামপুর হুদাপাড়া অভিমূখে একটি কাঁচা রাস্তা। যে রাস্তাটি দিয়ে পাশ্ববর্তী কয়েকটি গ্রামের মানুষ চলাচল করেন। রাস্তাটি নির্মাণ করতে মহেশপুর এলজিইডি উদ্যোগ নেয় এবং ৬০ লাখ ৭৭ হাজার ৯১১ টাকার টেন্ডার আহবান করে। কাজটি পান ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠান মেসার্স জাকাউল্লাহ এন্ড ব্রাদার্স।

এলজিইডি মহেশপুর শাখার এক কর্মকর্তা নাম প্রকাশ না করে জানান, এই কাজে বেড তৈরির পর ১০ ইঞ্চি বালি, ৬ ইঞ্চি খোয়া মিশ্রিত বালি, ৬ ইঞ্চি খোয়া ও ২৫ মিলি কার্পেটিং করার বিধান রয়েছে। কিন্তু ঠিকাদার প্রথমেই নিম্নমানের বালি দিয়েছেন। মাটি মিশ্রিত এই বালি ব্যবহার না করার জন্য বলা হলেও তিনি কথা শোনেননি।

এরপর খোয়ার সঙ্গে বালি মিশ্রিত করতে গিয়ে নামমাত্র খোয়া দিয়েছেন। বেশির ভাগ বালির ব্যবহার করেছেন। সেটাতেও কর্তৃপক্ষ আপত্তি দিলেও ঠিকাদার শোনেননি। ৬ ইঞ্চি খোয়া বিছিয়ে রোলার করার সময় আমা ইটের খোয়া ব্যবহার করেছেন। এইসব কারণে সংশ্লিষ্ট অফিসের পক্ষ থেকে কাজটি বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে।

এ বিষয়ে স্থানীয়রা জানান, তারা যখনই দেখেছেন কাজের মান খারাপ হচ্ছে তখনই কর্তৃপক্ষকে অবহিত করেছেন। এই কাজে নিম্নমানের বালি আর ইটের ব্যবহার দৃশ্যমান ছিলো। এলাকার মানুষ প্রতিবাদ করেছেন, কিন্তু ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠানের লোকজন প্রভাবশালী হওয়ায় কোনো কথা না শুনে কাজটি করে গেছেন। ফলে কাজটি খুবই নিম্নমানের হয়েছে। বর্তমানে কাজটি বন্ধ থাকলেও ঠিকাদারের লোকজন জোর করেই অনেকটা কাজ সম্পন্ন করেছেন।

 

এ বিষয়ে এলজিইডি মহেশপুর উপজেলা প্রকৌশলী মো. সেলিম হোসেন জানান, তারা বিষয়টি নিয়ে খুবই সমস্যায় আছেন। ঠিকাদারকে কাজের মান বাড়ানোর জন্য বলা হলেও বিষয়টির তিনি গুরুত্ব দিতে চাননি। এরপর তারা বাধ্য হয়ে কাজটি বন্ধ রাখতে নির্দেশ দেন। সেটাও যখন করেছেন ততক্ষনে অনেকটা কাজ শেষ করেছেন। তবে বর্তমানে কাজটি বন্ধ আছে বলে জানান।

 

তিনি বলেন, কাজের মান ভালো করতেই হবে, অন্যথায় তারা আইনগত ব্যবস্থা নিবেন বলে জানান। এ ব্যাপারে ঠিকাদার জাকাউল্লাহ এন্ড ব্রাদার্সের মালিক মো. জাকাউল্লাহ জানান, নিম্ন মানের মালামাল ব্যবহার কথাটি সঠিক নয়। তবে অফিসের পক্ষ থেকে খোয়া নিয়ে আপত্তি করা হয়েছে। খোয়ার সাইজ বড় হওয়ায় তারা কাজ বন্ধ করতে বলেছেন। এরপর তারা খোয়া ছোট করে আবার কাজ শুরু করেছেন। সম্পাদনা: জেরিন মাশফিক

 

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়