আক্তারুজ্জামান : গোলাপি বলের টেস্টেও সেই বিবর্ণ বাংলাদেশ। কলকাতার ইডেন গার্ডেন্সে প্রথমবার দিবা-রাত্রির টেস্ট খেলতে নেমে একেবারে লেজেগোবরে অবস্থা বাংলাদেশের। ভারতের বিরুদ্ধে নিজেদের প্রথম ইনিংসে মাত্র ৩০.৩ ওভার ব্যাটিং করে ১০৬ রানেই শেষ হয়েছে সবকটি উইকেট। শুরুতে ব্যাটিং করলেও দিনের বেশি সময় ধরে বোলিং করতে হয়েছে বাংলাদেশকে। প্রথমদিন শেষে ৩ উইকেট হারিয়ে ১৭৪ রান তুলেছে স্বাগতিক ভারত। ৬৮ রানে এগিয়ে থেকে দ্বিতীয়দিনের খেলা শুরু করবেন কোহলি (৫৯) ও রাহানে (২৩)।
প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে শুভেচ্ছা বিনিময়ের পর মাঠে নেমেও এমন মলিন বাংলাদেশকে দেখতে হবে এটা বোধহয় কেউ স্বপ্নেও ভাবেনি। ইমরুল কায়েস (৪) ও সাদমান ইসলাম (২৯) ওপেনিং জুটিতে নেমে কালও ব্যর্থ হন। আর উপমহাদেশের প্রথম গোলাপি বলের টেস্টে ৩, ৪ ও ৫ নম্বরে খেলতে নামা তিনজনই শূন্য রানে আউট হন। যা উপমহাদেশের ইতিহাসে প্রথম। যে তিনজন ছিলেন মুশফিক, মুমিনুল ও মিঠুন। পরে লিটন দাস একটু প্রতিরোধ গড়ার চেষ্টা করলেও মোহাম্মদ শামির বাউন্সারে থেমে যেতে হয় থাকে। মাথায় বল লেগে আহত হয়ে মাঠ থেকে চলে যান হাসপাতালে। যাওয়ার আগে ৩৭ বলে ২৪ রানের সাহসী ইনিংস খেলেন।
লিটন চলে যাওয়ার পর আইসিসির নতুন নিয়মে মাঠে নেমে ইতিহাস গড়েন মেহেদি হাসান মিরাজ। স্মিথের পরিবর্তে লাবুশ্চানে নেমেছিলেন বিশ্বের প্রথম বদলী ক্রিকেটার হিসেবে। আর মিরাজ হলেন দ্বিতীয়। তবে মিরাজও (৮) বেশিদূর এগোতে পারেননি। নাঈম হাসান একটু লড়ে ১৯ রান করেন। তার আগে মাহমুদউল্লাহ ব্যর্থতার ষোলোকলা পূর্ণ করে সাজঘরে যান মাত্র ৬ রানে।
বাংলাদেশের ইনিংসে মেরুদণ্ড ভেঙ্গে দেন ইশান্ত শর্মা। প্রথম ভারতীয় ক্রিকেটার হিসেবে ৫ উইকেট শিকারের গৌরব অর্জন করেন ইশান্ত। বাকি ৫টির মধ্যে উমেশ যাদব ৩টি ও মোহাম্মদ শামি ২টি নেন।
বিবর্ণ ব্যাটিংয়ের পর বল হাতে নেয়ার একটু পরই সফলতা পায় বাংলাদেশ। ইনিংসের পঞ্চম ওভারেই আগের ম্যাচের ডাবল সেঞ্চুরিয়ান মায়াঙ্ক আগারওয়ালকে শিকার করেন আল আমিন। ১৩তম ওভারে রোহিতের উইকেট শিকার করেন এবাদত। এরপর জুটি গড়েন পূজারা ও কোহলি।
অধিনায়ক হিসেবে দ্রুততম ৫ হাজার রানের মাইলফলক ছুঁয়ে কোহলি ৫৯ রানে অপরাজিত আছেন। ৯৪ রানের জুটি গড়ে ব্যক্তিগত ৫৫ রানে এবাদতের দ্বিতীয় শিকারে ফেরেন পূজারা। আজিঙ্কা রাহানের সঙ্গে ৩৭ রানের জুটি গড়ে প্রথমদিন শেষ করেছে ভারত।
আপনার মতামত লিখুন :