শিমুল মাহমুদ : শুক্রবার বাংলা একাডেমিতেগণহত্যা বিষয়ক আন্তর্জাতিক সম্মেলনের এক অধিবেশনে তিনি এ মন্তব্য করেন।
সাংবাদিক ওমানবাধিকারকর্মী শাহরিয়ার কবির বলেন, মুক্তিযুদ্ধের সময় পাকিস্তান গণহত্যা চালাতে গিয়েইসলামকে যেভাবে ব্যবহার করেছে, ঠিক তেমনি বৌদ্ধধর্মকে ব্যবহার করেছে মিয়ানমার। তাদেরকাছে ধর্ম এখন দাঙ্গা-হাঙ্গামা, মৌলবাদের মতো বিষয়। আর এজন্যই রোহিঙ্গাদের সমস্যা প্রকটআকার ধারণ করেছে এবং তা সমাধান না করলে বাংলাদেশেও এর গুরুতর প্রভাব পড়বে।
তিনি বলেন, মিয়ানমারের বৌদ্ধদের কাছেতাদের ধর্ম অত্যন্ত মানবতার। কিন্তু অধিকাংশ বৌদ্ধ মন্দির এখন জিহাদি মন্দিরে পরিণত হয়েছে।ফলে আমরা মিয়ানমারের গণহত্যার স্বরূপ দেখতে পাই।
শাহরিয়ার কবির বলেন, মুক্তিযুদ্ধের সময়বাংলাদেশের অসংখ্য মানুষ ভারতে রিফিউজি হিসেবে আশ্রয় নিলেও যুদ্ধ শেষে তারা পুনরায়দেশে ফিরে এসেছে এবং সরকার তাদের জন্য যথাযথ পদক্ষেপ নিয়েছে। কিন্তু মিয়ানমারেররোহিঙ্গারা এখন আমাদের জন্য একটি বোঝার মতো হয়ে উঠেছে। তাদের জন্য আমাদের একারপক্ষে জায়গা দেওয়া সম্ভব না। এটি অনেকটা ‘থার্ড কার্ন্টি পজিশন’ এর মতো হয়ে উঠেছে।পার্শ্ববর্তী দেশগুলোতে হলেও আমাদের তাদের পাঠানো উচিত।
দুই দিনব্যাপী এই আন্তর্জাতিক সম্মেলনে সাতদেশের প্রতিনিধিরা আলোচনা ও প্রবন্ধ উপস্থাপন করবেন। ভারত, ইতালি, তুরস্ক, কম্বোডিয়া,বাংলাদেশ, মিয়ানমার, যুক্তরাজ্য থেকে ৫০ জন বিশেষজ্ঞ গবেষক এতে যোগ দিয়েছেন।
আপনার মতামত লিখুন :