শিরোনাম
◈ দক্ষিণ ভারতে ইন্ডিয়া জোটের কাছে গো-হারা হারবে বিজেপি: রেভান্ত রেড্ডি ◈ ইরানের ওপর মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র ও যুক্তরাজ্যের নতুন নিষেধাজ্ঞা ◈ আবারও বাড়লো স্বর্ণের দাম  ◈ ভারতের পররাষ্ট্র সচিব বিনয় মোহন কোয়াত্রার ঢাকা সফর স্থগিত ◈ বিএনপি নেতাকর্মীদের জামিন না দেওয়াকে কর্মসূচিতে পরিণত করেছে সরকার: মির্জা ফখরুল ◈ ব্রিটিশ হাইকমিশনারের সঙ্গে বিএনপি নেতাদের বৈঠক ◈ মিয়ানমার সেনার ওপর নিষেধাজ্ঞা থাকায় তাদের সঙ্গে সরাসরি যোগাযোগ করা সম্ভব হচ্ছে না: সেনা প্রধান ◈ উপজেলা নির্বাচন: মন্ত্রী-এমপিদের আত্মীয়দের সরে দাঁড়ানোর নির্দেশ আওয়ামী লীগের ◈ বোতলজাত সয়াবিনের দাম লিটারে ৪ টাকা বাড়লো ◈ রেকর্ড বন্যায় প্লাবিত দুবাই, ওমানে ১৮ জনের প্রাণহানি

প্রকাশিত : ২২ নভেম্বর, ২০১৯, ১২:১৪ দুপুর
আপডেট : ২২ নভেম্বর, ২০১৯, ১২:১৪ দুপুর

প্রতিবেদক : নিউজ ডেস্ক

অতিথি পাখি এসেছে জাবিতে, জানুয়ারিতে পাখিমেলা

সমকাল : অস্থিতিশীল পরিস্থিতির কারণে জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের (জাবি) আবাসিক হলগুলো অনির্দিষ্টকালের জন্য বন্ধ রয়েছে। শিক্ষার্থীদের অনুপস্থিতিতে গোটা ক্যাম্পাসই এখন নির্জন। সন্ধ্যার অন্ধকারে বিশ্ববিদ্যালয়ের রাস্তায় হাঁটতে গেলে গা ছমছম করে। তবে অতিথি পাখির আগমনে এই নির্জন ক্যাম্পাসের জলাশয়গুলো এরই মধ্যে প্রাণচঞ্চল হয়ে উঠেছে। পাখির কলতানে দিনভর মুখর থাকে এসব জলাশয়। গত কয়েক বছরের তুলনায় এবার সবচেয়ে বেশি পাখি এসেছে ক্যাম্পাসে।

বিশ্ববিদ্যালয়ে ছোট-বড় ১২টি জলাশয় রয়েছে। এর মধ্যে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রশাসনিক ভবনের সামনের জলাশয়, জাহানারা ইমাম ও প্রীতিলতা হল সংলগ্ন জলাশয়, ওয়াইল্ড লাইফ রেসকিউ সেন্টারের ভেতরের জলাশয় এবং সুইমিংপুল এলাকার জলাশয়ে অতিথি পাখির আধিক্য দেখা যায়। এই জলাশয়গুলো অতিথি পাখির জন্য উন্মুক্ত করে রাখা হয়।
অতিথি পাখির মধ্যে রয়েছে- সরালি, পিচার্ড, গার্গেনি, মুরগ্যাধি, মানিকজোড়, কলাই, নাকতা, জলপিপি, ফ্লাইপেচার, পাতারি, চিতা টুপি ও লাল গুড়গুটি। এসব পাখির অধিকাংশই ছোট হাঁসজাতীয়। প্রাণিবিদ্যা বিভাগ সূত্রে জানা যায়, ১৯৮৬ সালে সর্বপ্রথম জাবিতে অতিথি পাখি আসা শুরু করে। এই ক্যাম্পাস এলাকায় ১২৬টি দেশীয় ও ৬৯টি বিদেশি প্রজাতি মিলিয়ে মোট ১৯৫ প্রজাতির অতিথি পাখি রয়েছে। তবে এদের মধ্যে দেশীয় ৭৮ প্রজাতির পাখি ক্যাম্পাসে নিয়মিত বাসা বাঁধে।

সেপ্টেম্বরের শুরু থেকেই কিছু অতিথি পাখি জলাশয়ের আশপাশের গাছগাছালির ডালপালায় ও কিছু পাখি জলাশয়ের পানিতে আশ্রয় নেয়। ডিসেম্বরের মাঝামাঝি থেকে মধ্য জানুয়ারি পর্যন্ত সবচেয়ে বেশি পাখি আসে। সাইবেরিয়া, চীনের জিনজিয়াং, মঙ্গোলিয়া ও নেপালে প্রচুর তুষারপাত থাকায় নিরাপদ আশ্রয়স্থল হিসেবে কম শীতল এলাকা বাংলাদেশের বিভিন্ন এলাকায় পাড়ি জমায়।

এদিকে, প্রতিবছর জনসচেতনতা বাড়ানোর লক্ষ্যে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রাণিবিদ্যা বিভাগের উদ্যোগে পাখি মেলার আয়োজন করা হয়। বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রাণিবিদ্যা বিভাগের শিক্ষক ও পাখি বিশেষজ্ঞ অধ্যাপক মো. কামরুল ইসলাম বলেন, সেপ্টেম্বরের শুরুতে অতিথি পাখি আসতে শুরু করেছে। প্রতিবছরের মতো এবারও অতিথি পাখির আবাসস্থল নিরাপদ রাখতে জলাশয়গুলো পরিস্কার ও তীরগুলো সংস্কার করা হয়েছে। পাখি সংরক্ষণে সচেতনতা বাড়াতে আমরা কাজ করে যাচ্ছি। এই ক্যাম্পাসটি পাখিদের জন্য একটি নিরাপদ আবাসস্থল হিসেবে পরিচিত।' অনুলিখন : ওয়ালি উল্লাহ, সম্পাদনা : সালেহ্ বিপ্লব

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়