রবিউল আলম : অবৈধ দখলদার উচ্ছেদ, মাদকমুক্ত সমাজ, শুদ্ধি অভিযান, তেল, লবণ, পেঁয়াজ। বিতর্কের যেন শেষ নেই। নূর হোসেনের আত্মদান এই গণতান্ত্রিক অধিকার আজ হুজুগে চলছে। জাতির কল্যাণে পদ্মাসেতু, মেট্রোরেল, কর্ণফুলী টানেল, পায়রা বন্দর, রূপপুর পারমাণবিক বিদ্যুৎকেন্দ্র, এলএনজি স্টেশন, নদী শাসনসহ একাধিক উন্নয়ন প্রকল্প বাস্তবায়ন। সব দায়িত্ব পালন করতে হবে শুধু শেখ হাসিনা সরকারকে। এ যেন এক অভূতপূর্ব বিষয় জাতির সামনে। সরকারকে সহযোগিতায় কে এবং কারা এগিয়ে আসছেন? সরকারকে ভুল পথে নেয়ার মানুষের অভাব নেই, কিন্তু সহযোগিতার মানুষিকতার মানুষ কজন আছেন? নিরাপদ সড়কের নামে অনিরাপদ মানুষের জীবন হতে পারে না। পরিবহনের মালিক, চালক, শ্রমিকরা জনগণের বাইরে কোনো অংশ নয়। একই নিয়ম দুভাবে বাস্তবায়ন হতে পারে না। ৭ লাখ ড্রাইভিং লাইন্সেসের অভাব রেখে শক্ত আইন বাস্তবায়ন হতে পারে না। দুর্ঘটনার জন্য মৃত্যুদ- তখনই বাস্তবায়ন হবে, যখন চালক দায়ী হবে,
তবে কেন চালক জামিন পাবে না? প্রতিটি চালকের শিক্ষাগত যোগ্যতা থাকতে হবে। আমি দ্বিমত নই। শিক্ষিত জাতি কে না চায়। আমরা কি জাতির জন্য পরিপূর্ণ শিক্ষার ব্যবস্থা করতে পেরেছি? শিক্ষার জন্য বেসরকারি প্রতিষ্ঠানে যাদের দায়িত্ব দেয়া হয়েছে, তারা তো শিক্ষাকে ব্যবসা হিসেবে গ্রহণ করেছে। একজন পরিবহন শ্রমিকের জন্য কি সরকার কোনো আলাদা ব্যবস্থা গ্রহণ করেছে, না কোনো ব্যবস্থার পরিকল্পনা আছে? ড্রাইভিং লাইন্সেসের সহজ উপায় নেই, শিক্ষার ও প্রশিক্ষণের ব্যবস্থা নেই, জীবনের নিশ্চয়তা নেই। তবু চলছে জীবন ধুঁকে ধুঁকে। একজন আমলা, এমপি-মন্ত্রীর পুকুর চুরি, ডাকাতি আর শ্রমিকের বাঁচার জন্য চুরিকে এক কাতারে ফেলে মৃত্যুদ- কীভাবে গ্রহণ করবে জাতি? আমি বলছি না শ্রমিক কোনো অন্যায় করে না, তাদের সাজা হবে না। তবে সাজার আগে অপরাধ কেন করে থাকে ক্ষতিয়ে দেখা হয়েছে। লেখক : মহাসচিব বাংলাদেশ মাংস ব্যবসায়ী সমিতি
আপনার মতামত লিখুন :