মুনশি জাকির হোসেন : বাকশাল প্রবর্তিত নির্বাচনী কাঠামো না আনা পর্যন্ত এই দেশে তৃণমূলে গণতান্ত্রিক সমাজ বিনির্মাণ সম্ভব নয়, নির্বাচনের কালো টাকার প্রভাব কমানো সম্ভব নয়। চলমান কাঠামোতে পুঁজির প্রভাবিত এই তথাকথিত নির্বাচন দুর্বৃত্তায়িত সমাজ তৈরি করছে। এই অশুভ চক্রের ঘূর্ণিপাকে দেশের রাজনীতি এবং সমাজ দুর্নীতিবাজ পুঁজিপতিদের হাতে চলে যাচ্ছে। যেসব পুঁজিপতির আবির্ভাব ঘটেছে সন্ত্রাস, চাঁদাবাজ, চোরাই কারবার, খুন, দখল কায়েমের মধ্য থেকে। ইউনিয়নের মেম্বর থেকে শুরু করে সংসদ সদস্য পর্যন্ত এই অশুভ চক্রের বিস্তার ঘঠেছে, এটি দেশের জন্য এক ভয়ানক মরণ ব্যাধি। বাকশালে বলা ছিলো, নির্বাচনের সব খরচ সরকার-নির্বাচন কমিশন বহন করবে।
নির্বাচনী ক্যাম্পেইন নির্বাচন কমিশন কতৃক নিয়ন্ত্রিত হবে, যেকোনো মানুষের নির্বাচন করার ক্ষমতা থাকবে। বর্তমান কাঠামোতে ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান নির্বাচনে খরচ পনেরো থেকে বিশ লাখ, মেয়র নির্বাচনে বিশ থেকে ত্রিশ লাখ, সিটি কর্পোরেশনে ত্রিশ থেকে পঞ্চাশ লাখ, এমপি নির্বাচনে কোটি টাকার উপরে। এখানে প্রশ্ন হলো এই যে লাখ লাখ, কোটি কোটি টাকা খরচ করে নির্বাচন করছে, এই টাকার উৎস কী? কেন, কী উদ্দেশ্যে এতো টাকা খরচ করছে? এটি মূলত বিনিয়োগ, এখানে প্রফিট মার্জিন কয়েকশত গুণ বেশি। সামান্য কিছু জনপ্রতিনিধি আছেন যারা এই অশুভ চক্রের বাইরে। কিন্তু তাদের সংখ্যা এতোটাই কম যে উল্লেখ করার মতো নয়। আওয়ামী লীগ, ছাত্রলীগের উচিত হবে বাকশাল প্রবর্তিত নির্বাচনী কাঠামো ফিরিয়ে আনার জন্য রাজনৈতিক কর্মসূচি হাতে নেয়া। এটি না হলে জনগণের সমাজ গঠন সম্ভব নয়। ফেসবুক থেকে
আপনার মতামত লিখুন :