সাইফুর রহমান : ভারতের স্ট্র্যাটেজিক ফোর্সেস কমান্ড রাতের বেলায় স্বল্প থেকে মাঝারি পাল্লার পারমাণবিক ক্ষমতাসম্পন্ন ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্রের এই পরীক্ষা চালিয়েছে। ভারতীয় সেনাবাহিনী বার্ষিক প্রশিক্ষণ মহড়ার অংশ হিসেবে এই পরীক্ষা চালায়। দেশটির উড়িষ্যা রাজ্যের উপকূলে বঙ্গোপসাগরের ড. আব্দুল কালাম দ্বীপে অবস্থিত ইন্টিগ্রেটেড টেস্ট রেঞ্জ থেকে ১৬ নভেম্বর রাতে দু’টি পৃথ্বি-২ ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্রের পরীক্ষা চালানো হয়। সেনাবাহিনীর একটি সূত্রের বরাত দিয়ে ভারতীয় গণমাধ্যম এই তথ্য জানায়। দি ডিপ্লোমেট, টাইমস অব ইন্ডিয়া
প্রতিবেদনে বলা হয়, বালাসোরের হুইলার দ্বীপের আইসি-৪ প্যাড থেকে ক্ষেপণাস্ত্রগুলো উৎক্ষেপণ করা হয়েছে। এই প্রথমবারের মতো রাতের বেলা পৃথ্বি-২ ক্ষেপণাস্ত্রের সফল পরীক্ষা চালানো হলো। এর আগে ২০০৯ সালে একবার এটির পরীক্ষা চালানো হলেও তা ব্যর্থ হয়। ভারতের স্থলভিত্তিক পারমাণবিক প্রতিরোধ সক্ষমতার মেরুদণ্ডই হলো পৃথ্বি-২ ক্ষেপণাস্ত্র। এর সর্বোচ্চ পাল্লা ২০০০ থেকে ৩০০০ কিলোমিটারের মাঝামাঝি। এটা ১০০০ কেজি পর্যন্ত কনভেনশনাল বা পারমাণবিক ওয়্যারহেড বহনে সক্ষম। ২০০৪ সালে প্রথমবারের মতো এটি মোতায়েন করা হয়।
চলতি মাসের শুরুর দিকে ভারতের ডিফেন্স রিসার্চ অ্যান্ড ডেভলপমেন্ট অর্গানাইজেশান কে-৪ মাঝারি পাল্লার পারমাণবিক সক্ষমতাসম্পন্ন সাবমেরিন থেকে উৎক্ষেপণযোগ্য ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্রের পরীক্ষা চালানোর কথা থাকলেও এখন পর্যন্ত তা চালানো হয় নি। কে-৪ সর্বোচ্চ ৩৫০০ কিলোমিটার দূরত্ব পর্যন্ত আঘাত হানতে সক্ষম এবং এটি ২০০০ কেজি পর্যন্ত পারমাণবিক ওয়্যারহেড বহনে সক্ষম। ভারতীয় সেনাবাহিনী চলতি মাসেই পৃথ্বি-৩ ও ব্রাহ্মস মিসাইলের পরীক্ষা চালাবে বলেও ধারণা করা হচ্ছে। উল্লেখ্য, পাকিস্তানের সামরিক বাহিনী ১৮ নভেম্বর মাঝারি পাল্লার ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্র শাহীন-১ এর পরীক্ষা চালিয়েছে। ভারতের সাম্প্রতিক এই ক্ষেপণাস্ত্রের পরীক্ষাকে এর প্রতিক্রিয়া হিসেবেই দেখছেন কূটনৈতিক বিশেষজ্ঞরা।
আপনার মতামত লিখুন :