শিরোনাম
◈ ফরিদপুরে বাস-পিকআপ মুখোমুখি সংঘর্ষ, নিহত ১২  ◈ ইরানের হামলার জবাব দেবে ইসরায়েল: সেনাপ্রধান ◈ সৌদিতে কোরবানি ঈদের সম্ভাব্য তারিখ ঘোষণা ◈ শ্রম আইন লঙ্ঘনের সাজাপ্রাপ্ত মামলায় স্থায়ী জামিন চাইবেন ড. ইউনূস ◈ ছুটি শেষে ঢাকায় ফিরছে কর্মজীবী মানুষ ◈ স্বাস্থ্যখাতে নতুন অশনি সংকেত অ্যান্টিবায়োটিক রেজিস্ট্যান্স: স্বাস্থ্যমন্ত্রী  ◈ কৃষি খাতে ১০ শতাংশ প্রবৃদ্ধির লক্ষ্যে তিন  বছরে সাড়ে ৩৮ হাজার কোটি টাকা বরাদ্দ ◈ বাংলাদেশের জিডিপি প্রবৃদ্ধি ৬.১ শতাংশ: এডিবি ◈ বাংলাদেশে পালিয়ে এসেছে বিজিপির ১৪ সদস্য ◈ ৬০ লাখ নেতা-কর্মীর বিরুদ্ধে মামলার তালিকা প্রকাশ করুন: মির্জা ফখরুলকে ওবায়দুল কাদের

প্রকাশিত : ২১ নভেম্বর, ২০১৯, ১১:৪৪ দুপুর
আপডেট : ২১ নভেম্বর, ২০১৯, ১১:৪৪ দুপুর

প্রতিবেদক : নিউজ ডেস্ক

সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমের বিজ্ঞাপন থেকে সরকার রাজস্ব পাচ্ছে না, বললেন তথ্যমন্ত্রী

আবদুল অদুদ : দেশের ক্যাবল অপারেটররা বড় সিন্ডিকেট বলে উল্লেখ করে আওয়ামী লীগের প্রচার ও প্রকাশনা সম্পাদক এবং তথ্যমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ বলেন, ক্যাবল অপারেটরদের কাছে টেলিভিশন চ্যানেলগুলো অনেক ক্ষেত্রেই জিম্মি থাকতো। কয়েক মাসের মধ্যে সিরিয়াল মেনে টেলিভিশন চ্যানেলগুলো প্রদর্শন করা হচ্ছে।-বাংলানিউজ

‘বিশ্ব টেলিভিশন দিবস’ উপলক্ষ্যে বৃহস্পতিবার দুপুরে তেজগাঁও বেঙ্গল স্টুডিওতে ‘কেমন আছে দেশের টেলিভিশন’ শিরোনামে আয়োজিত আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি একথা বলেন।

তথ্যমন্ত্রী বলেন, দেশের টেলিভিশনগুলো বিজ্ঞাপনের ওপর নির্ভরশীল। কিন্তু বাংলাদেশি পণ্যের বিজ্ঞাপন বিদেশি টিভি চ্যানেলে চলে যেতো। আমি দায়িত্ব নেয়ার পর বিদেশি চ্যানেলে বিজ্ঞাপন প্রদর্শন বন্ধ করেছি। আইন অনুযায়ী বিদেশি টেলিভিশন চ্যানেলগুলো আমাদের দেশে প্রচার করতে পারে না।
হাছান মাহমুদ বলেন, দেশের টেলিভিশন চ্যানেলগুলো নিজেদের মধ্যে প্রতিযোগিতার ফলে বিজ্ঞাপনের দাম কমেছে। মিডিয়া এখন বিভিন্ন ভাগে ভাগ হয়ে যাওয়ায় বিজ্ঞাপনও ভাগ হয়ে গেছে। বিজ্ঞাপন সোশ্যাল মিডিয়াতেও চলে যাচ্ছে। দেশের চলমান টেলিভিশন প্রসঙ্গে তিনি আরও বলেন, বাংলাদেশে প্রায় সাড়ে তিন কোটি মানুষ ফেসবুক ব্যবহার করেন। লাখ লাখ মানুষ ইউটিউব ও নেটফ্লিক্স দেখে। এসব সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমের বিজ্ঞাপনের রেট অনেক কম। সেইসঙ্গে দর্শকও অনেক বেশি। টেলিকমিউনিকেশন মন্ত্রণালয় ফেসবুকের সঙ্গে আলোচনা করেছেন। ফেসবুক বাংলাদেশে অফিস চালু করার জন্য ইচ্ছা প্রকাশ করেছে।

সংবাদ মাধ্যমে চাকরিরতদের সুরক্ষা প্রসঙ্গে তথ্যমন্ত্রী বলেন, টেলিভিশনে যারা কাজ করেন, তাদের চাকরির কোনো নিশ্চয়তা নেই। তাদের চাকরির আইনি সুরক্ষা দেয়া প্রয়োজন। আগামী কয়েক মাসের মধ্যে সবার সঙ্গে আলোচনা করে টেলিভিশন কর্মীদের আইনি সুরক্ষা দেয়ার বিষয়ে পদক্ষেপ নিতে পারবো।

চ্যানেলগুলোর গুরুত্ব উল্লেখ করে মন্ত্রী বলেন, টেলিভিশন এমন একটি গণমাধ্যম, যা পুরো জনগোষ্ঠীর ওপর ব্যাপক প্রভাব বিস্তার করে। এ গণমাধ্যমকে আমরা জাতি গঠনে কাজে লাগাতে পারি। ভবিষ্যৎ প্রজন্মের মেধা-মনন গঠনে আমরা এ মাধ্যমকে ব্যবহার করতে পারি। সভায় মূল বক্তব্য উপস্থাপন করেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের টেলিভিশন অ্যান্ড ফিল্ম স্টাডিজ বিভাগের প্রতিষ্ঠাতা চেয়ারম্যান অধ্যাপক ড. শফিউল আলম ভূঁইয়া।

এ সময় আরও উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশ প্রতিদিন সম্পাদক নঈম নিজাম, একাত্তর টেলিভিশনের এডিটর ইন চিফ ও ব্যবস্থাপনা পরিচালক মোজাম্মেল হক বাবু, জিটিভির প্রধান নির্বাহী সম্পাদক সৈয়দ ইশতিয়াক রেজা, আরটিভির প্রধান নিবার্হী কর্মকর্তা সৈয়দ আশিক রহমান, নিউজ টোয়েন্টিফোরের হেড অব নিউজ রাহুল রাহা, বেসরকারি টেলিভিশন সাংবাদিকদের সংগঠন ব্রডকাস্ট জার্নালিস্ট সেন্টারের (বিজেসি) চেয়ারম্যান রেজওয়ানুল হক রাজা, সদস্য সচিব শাকিল আহমেদ, একাত্তর টেলিভিশনের প্রধান পরিকল্পনা সম্পাদক নূর সাফা জুলহাস প্রমুখ। সম্পাদনা : ভিকটর কে রোজারিও

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়