শিরোনাম
◈ আদালত থেকে জঙ্গি ছিনতাই মামলার তদন্ত প্রতিবেদন জমা দেয়ার নতুন তারিখ ৮ মে ◈ সেনা গোয়েন্দাসংস্থার বিরুদ্ধে ৬ পাক বিচারপতির ভয় দেখানোর অভিযোগ ◈ নিরস্ত্র ফিলিস্তিনিরা সাদা পতাকা উড়াচ্ছিল, তাদের বূলডোজার দিয়ে মাটি চাপা দিল ইসরায়েলী সেনারা ◈ ইসরায়েলের ওপর অস্ত্র নিষেধাজ্ঞা দ্রুত আরোপ করুন: জাতিসংঘ বিশেষজ্ঞ ◈ যুক্তরাষ্ট্রে পুলিশের গুলিতে বাংলাদেশি তরুণ নিহত ◈ বাংলাদেশে পূর্ণাঙ্গ ও মুক্ত গণতন্ত্র বাস্তবায়নে কাজ করে যাবে যুক্তরাষ্ট্র: ম্যাথিউ মিলার ◈ ঈদের পর কমপক্ষে ২৩ ডিসি’র রদবদল হতে পারে ◈ ৫ থেকে ১৪ এপ্রিলের মধ্যে কর্মদিবস একদিন ◈ চাঁদপুরে পিকআপ ভ্যান ও অটোরিকশার মুখোমুখি সংঘর্ষে ২ জন নিহত ◈ ভারত থেকে আসবে ৫০ হাজার মেট্রিক টন পেঁয়াজ 

প্রকাশিত : ২১ নভেম্বর, ২০১৯, ১০:০৮ দুপুর
আপডেট : ২১ নভেম্বর, ২০১৯, ১০:০৮ দুপুর

প্রতিবেদক : নিউজ ডেস্ক

প্রক্রিয়া মেনে সড়ক আইনের অসঙ্গতি দূর করার কথা জানালেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী

সুজন কৈরী : সড়কে চলাচলরত গাড়ির চালক, হেলপার, পথচারীসহ সাধারণ মানুষের দায়িত্ব, করণীয় ও বর্জনীয় সম্পর্কে সচেতন করতে ডিএমপির উদ্যোগে শুরু হয়েছে ট্রাফিক সচেতনতা পক্ষ ২০১৯। ১৫ দিনব্যাপী এই সচেতনতা অনুষ্ঠান চলবে আগামী ৫ ডিসেম্বর পর্যন্ত।

বৃহস্পতিবার সকালে রাজারবাগ পুলিশ লাইন্সে বাংলাদেশ পুলিশ অডিটোরিয়াম এক অনাড়ম্বর অনুষ্ঠানের মধ্যদিয়ে এ কর্মসূচীর উদ্বোধন করেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান। অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন আইজিপি ড. মোহাম্মদ জাবেদ পাটোয়ারী, ডিএমপি কমিশনার মোহা. শফিকুল ইসলাম, বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন মালিক সমিতির মহাসচিব খন্দকার এনায়েত উল্লাহসহ ডিএমপির ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা।

স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, সড়কে চলাচলে পরিবহন মালিক-শ্রমিক ও পথচারী সড়কে আইন মেনে চললে অনেকখানী সফল হবো উল্লেখ করে করে বলেন, আমরা কেউ আইন মানতে চাই না, আইন মেনে চললে সম্মানবোধ হয় এবং সম্মানিত হওয়া যায়। ২০১৮ সালে আমরা সড়ক পরিবহন আইন পাশ করেছিলাম যেটা বাস্তবায়ন করার সময় কয়েকটি যৌক্তিক জটিলতা দেখা দিয়েছিল। সমস্যা সমাধানে বুধববার মালিক শ্রমিক নেতাদের সঙ্গে বৈঠক হয়েছে। সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে, যেসব গাড়ির চালক লাইটের লাইসেন্স নিয়ে মিডিয়াম, মিডিয়ামের লাইসেন্স নিয়ে হেভি গাড়ি চালাচ্ছেন তাদের লাইসেন্স আপডেট করতে আগামী ৩০ জুন পর্যন্ত সময় দেয়া হয়েছে।

প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশক্রমে দূরপাল্লার ট্রাক, লরির চালকের জন্য বিশ্রামাগার তৈরি হচ্ছে। আমরা চাই সকলে নিরাপদ থাকুন। যারা বিশ্রাম ছাড়া গাড়ি চালান তাদের দিয়ে দুর্ঘটনা হয়। এই আইনের কয়েকটি ব্যাপারে পরিবহন নেতৃবৃন্দের আপত্তি ছিল। তারা আমাদের কাছে ৯ দফা দাবি উত্থাপন করেছেন। বাকীগুলো যুগোপযোগি হিসেবে তারা সমর্থন জানিয়েছেন। আমরা প্রস্তাব আকারে ৯ দফা দাবি যোগাযোগ মন্ত্রণালয়ে পাঠাবো। সড়ক ও সেতু মন্ত্রী এ বিষয়ে যৌক্তিক ব্যবস্থা নিবেন। কোথাও অসঙ্গতি থাকলে যাচাই-বাছাই করে দেখা হবে। সড়ক নিরাপদ রাখতে কি কি করা যায় তা নিয়ে প্রধানমন্ত্রী চিন্তা করছেন। রাস্তায় চলতে কার কি দায়িত্ব ও করণীয়-বর্জনীয় সে বিষয়ে সচেতন করতে ট্রাফিক পক্ষ করা হচ্ছে। আমরা মনে করি আইন যথাযথভাবে মানলে সড়ক দুর্ঘটনা অনেকাংশে কমে যাবে।

আইজিপি বলেন, ডিএমপি খুব গুরুত্বপূর্ণ একটি সময়ে ট্রাফিক সচেতনতামূলক পক্ষ পালন করতে যাচ্ছে। বিশ্বের উন্নত শহরগুলোতে ট্রাফিক একটি অন্যতম বড় সমস্যা। অনেক কারণে ঢাকা শহরে ট্রাফিক প্রকট আকার ধারণ করছে। ট্রাফিকের ক্ষেত্রে প্রধানত ট্রাফিক ইঞ্জিনিয়ারিং, ট্রাফিক এডুকেশন, ট্রাফিক ইনভারমেন্ট ও ট্রাফিক ইনফোর্সমেন্ট গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখে। পুলিশ ট্রাফিক ইনফোর্সমেন্টের একটি অংশ পালন করে থাকে। সড়কে কোন কিছু হলে আমরা ট্রাফিক পুলিশকে দোষারোপ করি। আমরা যারা রাস্তা ব্যবহার করি, আমাদেরও কিছু দায়িত্ব রয়েছে। আমাদের সকলের মধ্যে যেন আইন না মানার সংস্কৃতি কাজ করে।

তিনি আরো বলেন, আইন প্রয়োগের কারণে আমার কোনো অফিসার বদলী হবেন না। তবে আইন প্রয়োগের সময় অবশ্যই তাকে বিনয়ী হতে হবে। আন্তর্জাতিক নিয়মানুযায়ী একটি দেশের মোট আয়তনের ২৫ ভাগ রাস্তা থাকার দরকার। সেখানে আমাদের দেশে রয়েছে মাত্র ৮ ভাগ। ড্রাইভার, মালিক-শ্রমিক ও পথচারী সকলকে আইন মেনে চলতে হবে। বর্তমানে সারা বাংলাদেশের পেট্রোল পাম্পগুলো নো হেলমেট, নো ফুয়েল নীতি পালন করছে। আমরা চাই সড়কে একটি জীবন যেন হানী না হয়, প্রতিটি জীবনই অমুল্য। আমাদের মনে রাখতে হবে একটি জাতিকে চেনা যায় তার ট্রাফিক শৃঙ্খলা দেখে। আসুন আমরা ট্রাফিক শঙ্খলা বজায় রাখি।

সভাপতির বক্তব্যে ডিএমপি কমিশনার বলেন, সড়কের শঙ্খলা ফেরাতে সড়ক পরিবহন আইনটি করা হয়েছে। জরিমানা আদায় করা সরকার বা ট্রাফিক পুলিশের উদ্দেশ্য নয়। সড়কে যদি শৃঙ্খলা থাকে, সবাই ট্রাফিক আইন মেনে চলেন তাহলে ট্রাফিক পুলিশের মামলা করার কোনো প্রয়োজন নাই। রাস্তায় যে গাড়িটি অচল হয়েছে সেটি রেকারিং হবে অথবা যে গাড়িটি রাস্তায় ড্রাইভার ছাড়া দীর্ঘ সময় অবস্থান করে যানজটের কারণ হচ্ছে সেই গাড়িটি রেকারিং করা হবে। এর বাহিরে কোনো রেকারিং করা হবে না।

খন্দকার এনায়েত উল্লাহ বলেন, আগামী ২০২০ সালের ৩০ জুন পর্যন্ত গাড়ির চালকদের যার যার যে বৈধ লাইসেন্স আছে তা দিয়ে গাড়ি চালাতে পারবেন। তবে এই সময়ের মধ্যে নিজেদের ড্রাইভিং লাইসেন্স আপডেট করে নিতে হবে। এটাই শেষ সুযোগ, এরপর কোনো আপত্তি চলবে না। তিনি সংশ্লিষ্ট সবাইকে সারাদেশে গাড়ি চলাচল স্বাভাবিক রাখার অনুরোধ জানান।

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়