শিউলী আক্তার : কলকাতার শহরকে বলা হয় ‘সিটি অব জয়’। কিন্তু গত কয়েক দিনে কলকাতা দেখলে নাম পরিবর্তন করতে চাইবে অনেকেই। মনের অগোচরে এসে যাবে নতুন নাম। আর সেটি হবে ‘সিটি অব পিঙ্ক’। কেননা কলকাতা যে সেজেছে এখন ভিন্ন রুপে। পুরো শহরজুড়ে গোলাপি আবির্ভাবে সেজেছে ‘সিটি অব কলকাতা’।
আগামীকাল ইডেন গার্ডেন্সে শুরু হবে গোলাপি বল দিয়ে দিবা-রাত্রির টেস্ট। প্রথমবারের মতো গোলাপি বল দিয়ে খেলতে নামবে দুই দল। আর এই টেস্টের সাক্ষী হচ্ছে কলকাতার ইডেন গার্ডেন্স। ঐতিহাসিক এদিনটিকে স্মরনীয় করে রাখতে পুরা কলকাতা শহরকে গোলাপি রঙ্গে সাজিয়েছেন ভারতীয় ক্রিকেট বোর্ডের নতুন সভাপতি সৌরভ গাঙ্গুলি।
এই টেস্টকে কেন্দ্র করে এসপ্ল্যানেড থেকে ভিক্টোরিয়া মেমোরিয়াল, রবীন্দ্র সদন থেকে বিরলা তারামণ্ডল, কিংবা মাথা উঁচু করলেই ফোরটিটু বিল্ডিং। ইডেন গার্ডেন্সের প্রাঙ্গণ তো আছেই, শহর কলকাতার গুরুত্বপূর্ণ স্থাপনায় রাতকে আলোকিত করে জ্বলছে গোলাপি বাতি। মোড়ে মোড়ে ঝুলছে টেস্ট ম্যাচের কথা। বাসে, ট্রামে, ট্রেনেও গোলাপি বলের টেস্ট নিয়ে চলছে আলাপ, টিকেট নিয়ে শোনা যাচ্ছে হাহাকারও।
ইডেনের মূল ফটকে দুই দলের অধিনায়কের ছবি, মাসকট ঘিরে আনা হয়েছে গোলাপি রঙের আভা। তবে সবচেয়ে নজর কেড়েছে টাটা’র ৪২ তলা ভবন। গোলাপি বলের টেস্টের জন্যই এই ভবন সাজানো হয়েছে বিশেষভাবে। ফোরটিটু বিল্ডিং নামে পরিচিত এই ভবনের উপরের তেরোতলার পুরোটাতেই জ্বলছে গোলাপি আলো।
একদিকে ধর্মতলা থেকে তাকালেও দেখা যাচ্ছে এই ভবনের গোলাপি আলো। আবার নন্দন রবীন্দ্র সদন প্রাঙ্গণ থেকে দেখা মিলছে গোলাপি আলোর ঝলকানি। উপলক্ষ একটাই। বাংলাদেশ-ভারত গোলাপি বলের টেস্ট।
শুধু তা-ই নয়। হুগলি নদীতে (গঙ্গায়) চলছে একটি বিশেষ লঞ্চ, গোলাপি আলোয় সাজানো লঞ্চটি টেস্ট ম্যাচ শুরু হওয়া পর্যন্ত হাওড়া ব্রিজ থেকে বিদ্যাসাগর সেতু পর্যন্ত নদীতে ভাসবে ।
বিসিসিআই সোশ্যাল মিডিয়ায় শহর কলকাতার এমন গোলাপি রংয়ে ঢেকে যাওয়ার ভিডিও পোস্ট করেছে। বোর্ড প্রেসিডেন্ট সৌরভ গাঙ্গুলিও নিজের অফিসিয়ার টুইটার অ্যাকাউন্টে শহরের গোলাপি সাজে শহরের একাধিক ছবি পোস্ট করেন এবং লেখেন, ‘গোলাপি টেস্টের জন্য গোলাপি হয়ে উঠেছে শহর। ওয়েল ডান বিসিসিআই ও সিএবি’।
আপনার মতামত লিখুন :