সাবিহা জামান: বুধবার তুরস্কের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী সুলেমান সয়লু বলেন, জুলাইয়ের প্রথম থেকে ১ লাখ সিরিয়া নাগরিক অনুমোদন ছাড়র ইস্তাম্বুল ছেড়ে যায়। যখন দেশটির সরকার শহরে অনিবন্ধিত সিরিয়ানদের অন্যান্য প্রদেশে যাওয়ার সময়সীমা নির্ধারণ করেছিলো। ইয়ন
তুরস্কে প্রায় ৩৬ লাখ শরণার্থী রয়েছে যারা ৮ বছরের পুরানো গৃহযুদ্ধ থেকে পালিয়ে এসেছিলো। যেটি যেকোন দেশের চেয়ে বেশি। ইস্তাম্বুলে সিরিয়ানদের জনসংখ্যা প্রায় দেড় লাখ। যেটি অন্য তুরস্কের অন্য কোনও শহরের তুলনায় এটি বেশি।
স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী সুলায়মান সোয়েলু সংসদে বলেন, অন্য শহরগুলোর নিবন্ধিত সিরিয়া নাগরিক ইস্তাম্বুলে এসেছিলো।
তিনি বলেন, ১২ জুলইয়ের পর থেকে প্রায় ১ লাখ সিরিয়ান প্রদেশগুলোয় ফিরে যায় যেগুলোয় তারা নিবন্ধনভুক্ত রয়েছে। তিনি আরো বলেন, মোট ২ লাখ অভিবাসী শহর ত্যাগ করেছে। তুরস্ক মধ্য প্রাচ্য এবং আফ্রিকান দেশের অভিবাসীদেরও আশ্রয় দেয়।
শুক্রবার ইস্তাম্বুলের গভর্নর অফিস জানায় জুলাইয়ের প্রথম থেকে ইস্তাম্বুলে ৬ হাজার এর বেশি সিরীয়ান অভিবাসীদের অন্যান্য প্রদেশের অস্থায়ী আবাসন কেন্দ্রগুলোয় প্রেরণ করা হয়েছে।
গত মাসে কুর্দি ওয়াইপিজি মিলিশিয়াদের বিরুদ্ধে আক্রমণ শুরু করার পরে আঙ্কারা উত্তর-পূর্ব সিরিয়ায় নিয়ন্ত্রণাধীন কিছু ভূখণ্ডে কিছু সিরিয়ান শরণার্থীদের বসতি স্থাপন করতে চায়।
গত মাসে প্রকাশিত অ্যামনেস্টি ইন্টারন্যাশনাল এবং হিউম্যান রাইটস ওয়াচের প্রতিবেদন প্রকাশ করে যে তুরস্ক জোর করে সিরিয়ার শরণার্থীদের উত্তর সিরিয়ায় পাঠাচ্ছে। তুরস্কের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় এই প্রতিবেদনে দাবিকে "মিথ্যা ও কাল্পনিক" বলে অভিহিত করেছিলো। সম্পাদন:রাশিদ
আপনার মতামত লিখুন :