মাজহারুল ইসলাম : আগামীকাল উপমহাদেশের প্রথম দিবারাত্রির টেষ্ট ম্যাচ শুরু হচ্ছে কলকাতার ইডেন গার্ডেন্সে। এ উপলক্ষে নতুন সাজে সেজেছে এই শহর। এই ম্যাচটি দেখতে আসবেন বিশিষ্ট অতিথিগন। এর জন্য কিছুটা সাজগোজও করা হয়েছে। গোলাপি রঙে সেজেছে শহরের অসংখ্য দেয়াল।
ইডেন টেস্টে খেলা হবে গোলাপি বলে। এই গোলাপি বল নামবে আকাশ থেকে। মাঝ আকাশে বিমান থেকে ঝাঁপ দিয়ে প্যারাস্যুটে ইডেন গার্ডেন্সে নেমে আসবেন ভারতীয় সেনাকর্মীরা।
দুপুর দেড়টায় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার হাত দিয়ে শুরু হবে বাংলাদেশ ও ভারতের মধ্যকার ঐতিহাসিক দিবারাত্রির টেস্ট ম্যাচ। এই উপলক্ষে কলকাতায় যাবেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। ঐতিহাসিক এই টেস্ট দেখতে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে আমন্ত্রণ জানিয়েছেন ভারতীয় ক্রিকেট বোর্ডের (বিসিসিআই) প্রেসিডেন্ট সৌরভ গাঙ্গুলী। উপস্থিত থাকবেন পশ্চিমবঙ্গের মূখ্যমন্ত্রী মমতা ব্যানার্জিও।
ইতোমধ্যে ইন্দোর থেকে কলকাতায় এসেছেন বাংলাদেশ ও ভারতের ক্রিকেটাররা। মুমিনুল হক ও বিরাট কোহলিদের বরণ করে নেয়ার মধ্য দিয়েই উৎসবের নগরীতে পরিণত হয়েছে কলকাতা। মাঠে বসে ঐতিহাসিক এই দিবারাত্রির টেস্ট ম্যাচ উপভোগ করতে টিকিট প্রত্যাশীর ভিড় লেগেই আছে। এ ব্যাপারে সৌরভ গাঙ্গুলী বলেছেন, দুই প্রতিবেশী দেশের মধ্যকার দিবারাত্রির টেস্ট ম্যাচটি ঘিরে উন্মাদনার সৃষ্টি হয়েছে। যা আগে কখনও দেখা যায়নি। ইডেনের পিচ কিউরেটর সুজন মুখার্জিও রোমাঞ্চিত হয়েছেন এই ভেবে যে, দিবারাত্রির এই টেস্ট ম্যাচের পিচ গড়েছেন তিনি।
গোলাপি বলে দিবারাত্রির টেস্ট ম্যাচ বাংলাদেশ বা ভারতের কেউই এর আগে খেলেনি। দুই দলের জন্যই নতুন অভিজ্ঞতা দেবে কলকাতা টেস্ট। এই ম্যাচে ভারত জিতলে দুই ম্যাচের সিরিজও নিশ্চিত হবে স্বাগতিকদের। টেস্টে হোয়াইটওয়াশ হয়ে দেশে ফিরতে হবে টাইগারদের। মুমিনুলরা এই তেতো স্বাদ নিয়ে দেশে ফিরতে চান না। লড়াই করে ৫ দিনই ভালো ক্রিকেট খেলে ম্যাচটি জিততে চান তারা। কারণ, কোহলিদের চেয়েও দিবারাত্রির টেস্ট ম্যাচ ঘিরে বেশি আবেগ থাকবে টাইগার শিবিরে। আর তাই বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রীও মাঠে বসে খেলা দেখবেন।
সৌরভ গাঙ্গুলীর চাওয়াতেই কলকাতা টেস্ট ম্যাচটি দিবারাত্রির করা হয়েছে। বোর্ড অব ক্রিকেট কন্ট্রোল ফর ক্রিকেট ইন ইন্ডিয়া (বিসিসিআই) সভাপতি হওয়ার পর উৎসবের একটা উপলক্ষ খুঁজছিলেন তিনি। দিবারাত্রির টেস্ট ম্যাচ সে উপলক্ষ করে দিয়েছে। এই ম্যাচ ঘিরে উৎসবের মহা আয়োজন করেছে সিএবি। আর্মি বিমান থেকে নিচে নেমে আসবে। তারা বল তুলে দেবেন প্রধানমন্ত্রী, মুখ্যমন্ত্রী ও অধিনায়কদের হাতে। বেল বাজানো হবে। লাঞ্চের সময়ে শচীন, গাভাস্কার, কপিল, রাহুল, অনিল সবার উপস্থিতিতে এটা টক শো হবে। চা বিরতির সময় গলফ কার্টে করে সাবেক অধিনায়করা মাঠ প্রদক্ষিণ করবেন। মিউজিক পারফরম্যান্স থাকবে। দিন শেষে থাকবে দুই দল, সাবেক অধিনায়করা, প্রধানমন্ত্রী, মুখ্যমন্ত্রী, রুনা লায়লা, জিৎ গাঙ্গুলী, সৌমেন্দ্র, সৌরজিতের পারফরম্যান্স। সম্পাদনা: ইয়াসিন আরাফাত
আপনার মতামত লিখুন :