শিরোনাম
◈ দক্ষিণ ভারতে ইন্ডিয়া জোটের কাছে গো-হারা হারবে বিজেপি: রেভান্ত রেড্ডি ◈ ইরানের ওপর মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র ও যুক্তরাজ্যের নতুন নিষেধাজ্ঞা ◈ আবারও বাড়লো স্বর্ণের দাম  ◈ ভারতের পররাষ্ট্র সচিব বিনয় মোহন কোয়াত্রার ঢাকা সফর স্থগিত ◈ বিএনপি নেতাকর্মীদের জামিন না দেওয়াকে কর্মসূচিতে পরিণত করেছে সরকার: মির্জা ফখরুল ◈ ব্রিটিশ হাইকমিশনারের সঙ্গে বিএনপি নেতাদের বৈঠক ◈ মিয়ানমার সেনার ওপর নিষেধাজ্ঞা থাকায় তাদের সঙ্গে সরাসরি যোগাযোগ করা সম্ভব হচ্ছে না: সেনা প্রধান ◈ উপজেলা নির্বাচন: মন্ত্রী-এমপিদের আত্মীয়দের সরে দাঁড়ানোর নির্দেশ আওয়ামী লীগের ◈ বোতলজাত সয়াবিনের দাম লিটারে ৪ টাকা বাড়লো ◈ রেকর্ড বন্যায় প্লাবিত দুবাই, ওমানে ১৮ জনের প্রাণহানি

প্রকাশিত : ২১ নভেম্বর, ২০১৯, ০৭:০১ সকাল
আপডেট : ২১ নভেম্বর, ২০১৯, ০৭:০১ সকাল

প্রতিবেদক : নিউজ ডেস্ক

খাদ্য নিরাপত্তাহীন আতঙ্কগ্রস্ত মানুষের মনে গুজবের জন্ম নেবেই

 

ড. তুহিন মালিক : মানুষ যখন দেখে, দুই মাস পেরিয়ে গেলেও পেঁয়াজের দাম কমাতে পারে না প্রবল ক্ষমতাধর মহাকাশ জয়ী একটা সরকার। যেখানে দেড় মাস আগে খোদ প্রধানমন্ত্রী পর্যন্ত ভারতে গিয়ে হিন্দি ভাষায় পেঁয়াজের জন্য এতো আকুতি জানানোর পরও বন্ধুপ্রতীম দেশ থেকে পেঁয়াজের একটি কোয়াও পাওয়া যায় না। যখন রাষ্ট্রের সর্বময় ক্ষমতাশালী ব্যাক্তিটি হতাশ হয়ে বলেন, ‘গণভবনে পেঁয়াজ দিয়ে রান্না হয় না’। তিনিই যখন হাল ছেড়ে দিয়ে বলেন, ‘আমি পেঁয়াজ খাওয়া ছেড়ে দিয়েছি’। তখন নিত্যদিন জীবনযুদ্ধে খেটে খাওয়া সাধারণ মানুষের মনে চরম ভয় ও আতঙ্কের জন্ম নেয়াটাই তো স্বাভাবিক। সাধারণ মানুষ নিজের পরিবারের খাদ্য নিরাপত্তাহীনতার ভয়ে তখন আর কাউকেই বিশ্বাস করতে চায় না। দেশের এই সাধারণ মানুষগুলোর কাছে ২০০-২৭০ টাকায় এক কেজি পেঁয়াজ কিনতে পারাটা যখন দুঃস্বপ্নের মতো, ঠিক তখনই যদি তাদের একথা শুনতে হয়, ‘সাতশ টাকায় মাংস খেতে পারেন, ২৭০ টাকায় পেঁয়াজ খেতে সমস্যা কোথায়?’ তখন মানুষের দুঃখ-কষ্টের সঙ্গে তামাশাকারীদের উপর সাধারণ মানুষের আস্থা বলতে বিন্দুমাত্র কিছুই আর অবশিষ্ট থাকে না।

গণমানুষের বিশ্বাস ও আস্থাহীনতার সঙ্গে মানুষের ঘৃণা ও ক্ষোভ তখন দ্রুতবেগে বেড়ে যায়। যখন রাষ্ট্রের কর্তাবাবুরা বলে বেড়ান ‘পেঁয়াজ ছাড়াই ২২ পদের রান্না জানি’। ‘বাজারে পেঁয়াজের দাম সম্পূর্ণ নিয়ন্ত্রণে আছে’। ‘আর কোনো চিন্তা নেই, পেঁয়াজ বিমানে উঠে গেছে’। কিন্তু দিন পেরিয়ে যায়। সেই বিমান আর আসে না। সেই পেঁয়াজেরও আর দেখা মেলে না। যতোই তারা বলে বেড়ায় যে, ‘দুয়েক দিনের মধ্যেই পেঁয়াজের দাম স্বাভাবিক হয়ে আসবে।’ মানুষ এসব কথা তখন আর একেবারেই বিশ্বাস করতে চায় না। এই ‘দুয়েক দিন’ আর আসে না। মাস পেরিয়ে যায়। আট সপ্তাহে দুই মাস পার হয়। এদিকে দিন বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে পেঁয়াজের মূল্যই শুধু বাড়ে না, মানুষের হতাশাও বাড়তে থাকে সমানুপাতে। আর এই হতাশাগ্রস্ত মানুষগুলো যখন দেখে, ‘এক কেজি পেঁয়াজের জন্য শত শত মানুষ কীভাবে ট্রাকের সামনে দাঁড়িয়ে লড়ে যাচ্ছে।’ যখন খবরে পড়ে, ‘পেঁয়াজ কিনতে গিয়ে ধাক্কাধাক্কি, পুশের ‘মিস ফায়ারে’... ২।’ তখন মানুষ প্রচ- ভয় পায়। এই ‘মুখপোড়া’ মানুষগুলো তখন লবণের মূল্য বৃদ্ধির গুজবে ‘মুখ পোড়াতেও’ কোনো আপত্তি করে না। কারণ তখন আর তারা কারও কথায় কোনো বিশ্বাস রাখতে পারে না। গুজব তখন ডালপালা মেলে প্রসারিত হতে থাকে দ্রুতবেগে। যেমনটা সাধারণ মানুষের আস্থাহীনতা ও গণমানুষের ঘৃণার বিস্তৃতি ঘটে ছাপ্পান্ন হাজারের বর্গমাইলে।
লেখক : আইনজ্ঞ ও সংবিধান বিশেষজ্ঞ

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়