শিরোনাম
◈ সরকারের অব্যবস্থাপনার কারণেই সড়ক দুর্ঘটনার মাত্রা বৃদ্ধি পেয়েছে: মির্জা ফখরুল ◈ বাংলাদেশের রাজনীতির অবনতি দুঃখজনক: পিটার হাস ◈ সয়াবিন তেলের দাম লিটারে বাড়লো ১০ টাকা  ◈ নির্বাচনি ইশতেহারের আলোকে প্রণীত কর্মপরিকল্পনা দ্রুত বাস্তবায়নের আহবান শিল্পমন্ত্রীর  ◈ প্রচণ্ড গরম থেকেই ঘটতে পারে মানবদেহের নানা রকম স্বাস্থ্য ঝুঁকি ◈ অবশেষে রাজধানীতে স্বস্তির বৃষ্টি  ◈ ইসরায়েল পাল্টা হামলা করলে কয়েক সেকেন্ডের মধ্যে জবাব দেবে ইরান: উপপররাষ্ট্রমন্ত্রী ◈ মিয়ানমারের আরও ১৫ সেনা সদস্য বিজিবির আশ্রয়ে ◈ সয়াবিনের দাম বাড়ানোর সুযোগ নেই: বাণিজ্য প্রতিমন্ত্রী ◈ উপজেলা নির্বাচন বর্জনের সিদ্ধান্ত বিএনপির

প্রকাশিত : ২১ নভেম্বর, ২০১৯, ০২:৩০ রাত
আপডেট : ২১ নভেম্বর, ২০১৯, ০২:৩০ রাত

প্রতিবেদক : নিউজ ডেস্ক

রাজধানীতে মশার উৎপাত, বৃহস্পতিবার থেকে নতুন করে অভিযান

সুজিৎ নন্দী: ঢাকার দুই সিটি করপোরেশনের পর্যাপ্ত লোকবল, ফগার ও হুইলব্যারোসহ অন্যান্য মেশিন-যন্ত্রপাতির সংকটের কারণে মশক নিধন কার্যক্রম ঝিমিয়ে পড়েছে। ডেঙ্গু নিয়ন্ত্রণে রাখতে বছরজুড়ে কাজ করার ঘোষণা থাকলেও দুই-তিন মাসের ব্যবধানে তাদের কার্যক্রমের গতি কমে এসেছে। শুধু ভিআইপি এলাকা ছাড়া কোথাও অভিযান চোখে পড়ে না। আসন্ন ডেঙ্গু মৌসুমে এবার ভয়াবহ আকার ধারণ করবে।অন্যদিকে একাধিক সূত্র জানায়, প্রতিদিনই শতাধিক ডেঙ্গু রোগী হাসপাতালে ভর্তি হচ্ছে।

ডিএনসিসি মেয়র আতিকুল ইসলাম বলেন, ঢাকা উত্তরে মশা নিধনের জন্য বৃহষ্পতিবার থেকে আবারো নতুন করে অভিযান শুরু হবে। এছাড়াও প্রতিটি ওয়ার্ডের কাউন্সিলররা নিজ নিজ ওয়ার্ডের মশক নিয়ন্ত্রণ, পরিছন্নতাসহ যে কোনো বিষয়ে দায়ী থাকবে।যার যার কৃতকর্মের জন্য তাকেই জবাবদিহিতা করতে হবে।যেখানে কাউন্সিলরের উপস্থিতি নেয় সেখানে বিকল্প ব্যবস্থা নেয়া হবে।

ডিএনসিসির সংশ্লিষ্ট বিভাগ জানায়, কিউলেক্স মশা ও ডেঙ্গু রোগের জীবাণুবাহক এডিস মশা নিয়ন্ত্রণ কার্যক্রম বিষয়ক পরিচালনা পর্ষদ গঠন করা হয়েছে।মশা নিয়ন্ত্রণে প্রত্যক্ষ ও পরোক্ষ প্রয়োজনীয় ব্যক্তিদের নিয়ে এই পর্ষদ গঠিত হয়েছে।প্রতি তিন মাস অন্তর এ পর্ষদের সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে।কিউলেক্স মশা নিয়ন্ত্রণে গত ৭ অক্টোবর থেকে কিউলেক্স মশার প্রজননস্থাল অর্থাৎ হট স্পট চিহ্নিত করার জন্য দুইজন কীট বিশেষজ্ঞ এবং ১০ জন শিক্ষানবিশ নিয়োজিত করা হয়েছে।তারা ইতোমধ্যে গবেষণা করে হট স্পট অর্থাৎ কোনো এলাকায় কিউলেক্স মশার তীব্রতা কত তা নির্ধারণ করেছেন।

একাধিক সূত্র জানায়, দুই সিটির মোট চাহিদার ৪৫ ভাগ জনবল নিয়ে কাজ করছে। এ কারণে প্রতিটি সেবা সংক্রান্ত কার্যক্রমেই হিমশিম খেতে হচ্ছে সংস্থা দুটিকে। সিটি করপোরেশন বিভক্ত হওয়ার পর নতুন করে ১৬টি ইউনিয়ন যুক্ত হওয়ায় সংস্থা দুটির আয়তন বেড়েছে কিন্তু জনবল বাড়েনি। বরং বিভক্ত হওয়ার সময় দুই ভাগ হয়েছে আগের জনবল। এজন্য যথাযথ নাগরিক সেবা পাচ্ছে না নগরবাসী। ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের স্বাস্থ্য বিভাগ জানায়, এ পর্যন্ত দুই লাখ ১৫ হাজার ৮৪৩ বাড়ি পরিদর্শন করে এক হাজার ৪৯৩ বাড়িতে লার্ভা পেয়েছে। মশক নিধনে আমাদের কার্যক্রম চলছে।

ডিএনসিসির স্বাস্থ্য বিভাগ জানায়, প্রতি বছর এই সময় মশার উৎপাত বাড়তে থাকে, তাই আমাদের উচিত আরও বেশি কার্যকর পদক্ষেপ নেওয়া। আসলে প্রতিটি ওয়ার্ডে যত সংখ্যক মশক নিধন কর্মী প্রয়োজন সেই তুলনায় আমাকের লোকবল কম। এর মধ্যও আমরা আমাদের সর্বোচ্চ চেষ্টা করে যাচ্ছি। সিটি করপোরেশনের পক্ষ থেকেও অনেক পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে, এর সঙ্গে নগরবাসীকেও সচেতন হতে হবে।

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়