রাশিদ রিয়াজ : যুক্তরাষ্ট্রে প্রতিশ্রুতি অনুযায়ী ১০৫ মিলিয়ন ডলার দিয়ে লেবাননের সামরিক যান, অস্ত্র ও গোলাবারুদ কেনার কথা ছিল। লেবাননে দুর্নীতি প্রতিরোধ ও কর্মসংস্থানের দাবিতে সরকারের বিরুদ্ধে বিক্ষোভ ও প্রতিবাদ জোরালো হওয়ার এক পর্যায়ে দেশটির প্রধানমন্ত্রী সাদ হারিরি পদত্যাগ করেন। এরপর দুই সিনিয়র ডেমোক্রেটস এক চিঠিতে হোয়াইয়ট হাউসে এই সহায়তা সম্পর্কে জনপ্রতিনিধিরা অবহিত নন বলে আপত্তি জানান এবং তা বাতিলের অনুরোধ জানান। মার্কিন পররাষ্ট্র দফতরের সিনিয়র কূটনীতিক ডেভিড হেল লেবাননকে দেয়া সহায়তা আটকে দেয়ার বিষয়টি স্বীকার করেন। মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের বিরুদ্ধে ইমপিচমেন্ট তদন্তের সময় লেবাননকে দেয়া এ সহায়তা স্থগিত করা হল। এনডিটিভি/স্টারইউকে/ফ্রান্স২৪
এদিকে ইউক্রেনে সামরিক সহায়তা নিয়ে প্রশ্ন তুললে ডেভিড হেল জানান, লেবাননকে দেয়া সহায়তার মত ইউক্রেনের বিষয়টি অজানা নয়। তবে কংগ্রেসের অনুমোদন ছাড়া লেবানন কিংবা ইউক্রেনকে দেয়া এধরনের সহায়তা হোয়াইট হাউস কেন ছাড় দিয়েছিল এমন প্রশ্নের জবাবে হেল বলেন এধরনের সহায়তা নিয়ে বিরোধিতা ঠিকই ছিল। ট্রাম্প প্রশাসন লেবাননে সহায়তা আটকে দেয়ার ব্যাপারে কোনো ব্যাখ্যা না দিলেও দেশটিতে হিজবুল্লাহর উপস্থিতি আরো শক্তিশালী হওয়ার বিষয়টি কার্যত এর প্রধান কারণ বলে মনে করা হচ্ছে।
কিন্তু এর আগে মার্কিন হাউস ফরেইন এ্যাফেয়ার্স কমিটির চেয়ারম্যান এলিয়ন এঞ্জেল ও মধ্যাপ্রাচ্য বিষয়ক উপকমিটির প্রধান টেড ডিউচ ট্রাম্প প্রশাসনকে লেখা একটি চিঠিতে আইএসআইএস, আলকায়েদা ও হিজবুল্লার মত সংগঠনগুলোর মোকাবেলায় লেবাননের সেনাবাহিনীকে শক্তিশালী অবস্থানে নেয়ার জন্যেই ওই ১০৫ মিলিয়ন ডলারের সহায়তা দেয়ার কথা বলেছিলেন। তারা এও লেখেন লেবাননের যথেষ্ট শক্তিশালী সেনাবাহিনী বরং ওই অঞ্চলে মার্কিন স্বার্থকেই রক্ষা করবে।
আপনার মতামত লিখুন :