স্বপন দেব, মৌলভীবাজার: মৌলভীবাজার জেলা সদরের চারদিনের আয়কর মেলা শেষে জেলার কুলাউড়া সার্কেলের দুদিনের আয়কর মেলা সহকারী কর কমিশনার মো. হাবিবুর রহমান ও মৌলভীবাজার কর অফিসের কর কর্মকর্তাদের সার্বিক সহায়তায় ফলপ্রসূ হয়ে ওঠে।
সোমবার শুরু হওয়া কুলাউড়া উপজেলা আয়কর অফিসে জনবল সংকটে কিছুটা মেলায় আসা করদাতাদের কিছুটা অসুবিধা হলেও দ্বিতীয় দিনে মৌলভীবাজারের কর কমিশনারের প্রত্যক্ষ সহায়তায় আয়কর মেলাটি প্রাণবন্ত হয়ে ওঠেছিলো। শ’ শ’ আয়কর দাতা তাদের আয়কর জমা ও রিটার্ন দাখিলে হেল্প ডেক্সে সহায়তা নিয়ে কোন ভোগান্তি ছাড়াই স্ব স্ব রিটার্ন দাখিল ও করের টাকা জমা দিতে পেরে আনন্দ চিত্তে বাড়ি ফিরে যেতে পেরেছেন।
মেলায় আসা কুলাউড়ার সূর্যে হাসি ক্লিনিকের একজন মহিলা চিকিৎসককে সহকারী কর কমিশনার নিজেই কর ও রিটার্ন দাখিলে সহায়তা করায় উক্ত চিকিৎসক বলেন, আয়কর রিটার্ন দাখিল করা নিয়ে ভীষণ দুঃশচিন্তায় ছিলাম। মেলায় এসে যে সহায়তা পেলাম তাতে আমার করদানের ভীতি কেটে গেছে। সত্যিই কর কর্মকর্তা একজন দক্ষ ও সেবাদানকারী কর্মকর্তা মতোই আচরণ করেছেন।
শ্রীপুর ফাজিল মাদ্রাসার বাংলার প্রভাষক মৌলানা মুহিবুর রহমান বলেন গত ৩-৪ বছর মৌলভীবাজারে গিয়ে আয়কর রিটার্ন দাখিলে নানা ভোগান্তি ও কয়েক হাজার টাকা খরচ করতে হয়েছিলো। এবার কুলাউড়ায় কর মেলা হওয়ায় ও কর কমিশনার হাবিবুর রহমান সাহেবের সহায়তায় নির্বিঘ্নে রিটার্ন দাখিল করতে পারলাম। এভাবে অনেক মহিলা করদাতা কর মেলার সহায়তায় অতি সহজেই তাদের আয়কর ও রিটার্ন জমা দিতে পেওে খুশি হয়েছেন।
মৌলভীবাজার জেলা উপকর কমিশনারের কার্যালয়ের সার্কেল-১৫ (কুলাউড়া), কর অঞ্চল সিলেটের দায়িত্ব প্রাপ্ত সহকারি কর কমিশনার এ প্রতিনিধিকে মঙ্গলবার বিকেলে জানান, আমরা স্বল্প জনবল নিয়েও সরকারের নির্দেশনা মতো সর্বোত্তম সেবা দেয়ার চেষ্ঠা চালিয়ে যাচ্ছি। আর তাই এখন সন্মানীত করদাতা কোন ঝামেলা ছাড়াই তাদের সকল কাজ মেলায় এসে করতে পারছেন।
তিনি আরও জানান, কুলাউড়ার আয়কর মেলা-২০১৯ এসে সেবা গ্রহণ করেছেন - ১২৫০ জন করদাতা, আর আয়কর রিটার্ন দাখিল হয়েছেন- ৮০৯ টি, ই-টিআইএন গ্রহণ করেছেন – ৪৬ জন, মেলায় মোট কর আদায় হয়েছে ১৩ লাখ ৭১ হাজার ৪৬২ টাকা।
কুলাউড়ার আয়কর মেলার শেষ হলেও আগামী ৩০ নভেম্বর পর্যন্ত করদাতারা কুলাউড়া অফিসে তাদের আয়কর ও রিটার্ন দাখিল করতে পারবেন। সম্পাদনা: জেরিন মাশফিক
আপনার মতামত লিখুন :