দৈনিক ইত্তেফাক : এমনই দাবি তুলে তারা দেশের পরিবহন সেক্টরে ধর্মঘটের ডাক দিয়েছে। গত বছর আইনটি পাস হলেও তা কার্যকর হয় গত ১ নভেম্বর। এরপর ২ সপ্তাহেরও বেশি সময় দিয়ে গত রোববার থেকে এই আইনে মামলা-জরিমানা করা শুরু করে সরকার। এমন পরিস্থিতিতে গত সোমবার পূর্ব ঘোষণা ছাড়াই দেশের বেশ কয়েকটি জেলায় বাস ধর্মঘট শুরু করেন পরিবহন মালিক-শ্রমিকরা। এর একদিন পরই পণ্য পরিবহন বন্ধের ডাক দিয়েছে ট্রাক-কাভার্ডভ্যান মালিক-শ্রমিক ঐক্য পরিষদ।
এদিকে রাজশাহী ও খুলনা বিভাগে বাস ধর্মঘটের প্রভাব পড়েছে সারাদেশে। দেশের প্রায় সকল পণ্য ট্রাকে পরিবহন করা হয়। ট্রাক-কাভার্ডভ্যানে পণ্য পরিবহন বন্ধ হয়ে গেলে এর প্রভাব সরাসরি নিত্যপ্রয়োজনীয় জিনিসপত্রের ওপর পড়বে। বাজারে নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্যের দাম লাগামহীনভাবে বেড়ে যাবে। বিশেষ করে সবজির বাজারে সবচেয়ে বেশি নেতিবাচক প্রভাব পড়বে। কারণ দেশের বিভিন্ন স্থান থেকে ট্রাকে করে সবজি রাজধানীতে নিয়ে আসা হয়।
গতকাল মঙ্গলবার ট্রাক-কাভার্ডভ্যান মালিক সমিতির তেজগাঁও কার্যালয়ে সংবাদ সম্মেলন করে সড়ক পরিবহন আইন-২০১৮ স্থগিত করে তা সংশোধনসহ ৯দফা দাবিতে অনির্দিষ্টকালের জন্য পণ্য পরিবহন বন্ধের ঘোষণা দিয়েছে বাংলাদেশ ট্রাক কাভার্ডভ্যান পণ্য পরিবহন মালিক-শ্রমিক ঐক্য পরিষদ। আজ বুধবার সকাল ৬ থেকে তারা আর পণ্য পরিবহন করবে না বলে ঘোষণা দিয়েছে। সংবাদ সম্মেলনের পরই পরিবহন শ্রকিকরা তেজগাঁও সাতরাস্তা থেকে রেলগেট পর্যন্ত সড়ক অবরোধ করে বিক্ষোভ মিছিল করে।
জানা গেছে, আইনটি পাশ হওয়ার পর বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন মালিক সমিতির নেতৃবৃন্দ একে স্বাগত জানিয়েছিলেন। তবে এ ব্যাপারে রুস্তম আলী খান বলেন, আমরা স্বাগত জানাইনি। আমরা শুরু থেকেই এই আইনের কিছু ধারা সংশোধনের দাবি করেছি, যা সংবাদ সম্মেলনেও জানিয়েছি।
তবে ট্রাক শ্রমিকদের কর্মবিরতির ব্যাপারে বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন শ্রমিক ফেডারেশনের সাধারণ সম্পাদক ওসমান আলী জানিয়েছেন, এ আন্দোলনের সঙ্গে আমাদের কোন সম্পৃক্ততা নেই। ২১ ও ২২ নভেম্বর ফেডারেশনের বৈঠক হবে। সেখান থেকেই আমাদের কর্মসূচি কী হবে জানিয়ে দেয়া হবে। অনুলিখন : তন্নীমা আক্তার, সম্পাদনা : মাজহারুল ইসলাম
আপনার মতামত লিখুন :