শিরোনাম
◈ জাতীয় পতাকার নকশাকার শিব নারায়ণ দাস মারা গেছেন ◈ ইরানের ইস্পাহান ও তাব্রিজে ইসরায়েলের ড্রোন হামলা, ৩টি ভূপাতিত (ভিডিও) ◈ ভেটোর তীব্র নিন্দা,মার্কিন নীতি আন্তর্জাতিক আইনের নির্লজ্জ লংঘন : ফিলিস্তিন ◈ স্কুল পর্যায়ের শিক্ষার্থীদের গল্প-প্রবন্ধ নিয়ে সাময়িকী প্রকাশনা করবে বাংলা একাডেমি ◈ দক্ষিণ ভারতে ইন্ডিয়া জোটের কাছে গো-হারা হারবে বিজেপি: রেভান্ত রেড্ডি ◈ ভারতের পররাষ্ট্র সচিব বিনয় মোহন কোয়াত্রার ঢাকা সফর স্থগিত ◈ চিকিৎসকদের সুরক্ষা নিশ্চিত করতে সংসদে আইন পাশ করব: স্বাস্থ্যমন্ত্রী ◈ ব্রিটিশ হাইকমিশনারের সঙ্গে বিএনপি নেতাদের বৈঠক ◈ উপজেলা নির্বাচন: মন্ত্রী-এমপিদের আত্মীয়দের সরে দাঁড়ানোর নির্দেশ আওয়ামী লীগের ◈ বোতলজাত সয়াবিনের দাম লিটারে ৪ টাকা বাড়লো

প্রকাশিত : ২০ নভেম্বর, ২০১৯, ০৭:৩৯ সকাল
আপডেট : ২০ নভেম্বর, ২০১৯, ০৭:৩৯ সকাল

প্রতিবেদক : নিউজ ডেস্ক

মওলানা ভাসানী ও লতিফ সিদ্দিকী

 

জাকির তালুকদার : লতিফ সিদ্দিকী তার ‘নান্দনিক প্রকাশনী’র লেখকদের প্রতি বছর বইমেলার পরে রয়্যালটি দিতেন বাড়িতে একটি ঘরোয়া অনুষ্ঠানের মাধ্যমে। কার কয় কপি বই বিক্রি হয়েছে সেটি বিবেচ্য নয়। তিনি একটি থোক টাকা দিতেন প্রত্যেক লেখককে। সেই বছর যাদের বই বের হয়েছে তার প্রকাশনী থেকে, তারা প্রত্যেকেই টাকা পেতেন। সাধারণত মার্চ মাসে কোনো এক সন্ধ্যায় আয়োজিত হতো এটি। প্রত্যেক লেখককে নিজের হাতে প্লেটে খাবার তুলে দিতেন লতিফ সিদ্দিকী। আর চলতো গল্পগাছা। প্রবীণ কবির হাতে, প্রবীণ ছড়াকারের হাতে খামবন্দি এক লাখ টাকাও তুলে দিতে দেখেছি আমি। অন্যরা কেউ ত্রিশ হাজার, কেউ পঞ্চাশ হাজার টাকাও পেতেন। আড়ালে হেসে বলতাম আপনি তো আসলে টাকা ছড়াচ্ছেন। তিনিও হেসে বলতেন, ছড়াচ্ছি। তবে ভালো জায়গাতে। কারণ লেখকদের সম্মান এবং টাকা দিতে আমার ভালো লাগে।

এইরকম একদিন বিভিন্ন বিষয় নিয়ে কথা বলতে বলতে মওলানা ভাসানীর কথা উঠলো। নির্মলেন্দু গুণসহ অনেকেই উপস্থিত ছিলেন সেখানে। তখন বঙ্গবন্ধুর অসমাপ্ত আত্মজীবনী সদ্য বেরিয়েছে। যেহেতু মওলানা সম্পর্কে বঙ্গবন্ধু খারাপ মন্তব্য করেছেন বইতে, তাই তার সঙ্গে সুর মিলিয়ে একজন আমলা ছড়াকার বলে উঠলেন, মওলানা লোকটা সুবিধার আছিলো না। অন্যরা কেউ প্রতিবাদ বা আপত্তি করছেন না। আমি কথা শুরু করতে চাইলাম।

লতিফ সিদ্দিকী ইশারায় আমাকে চুপ থাকতে বললেন। তারপর আমলা-ছড়াকারকে বললেন, তুমি মওলানা সম্পর্কে কতোটুকু জানো? লোকটা তখনো বঙ্গবন্ধুর সুরে সুর মেলানোর আনন্দে বিভোর। খাবার চিবাতে চিবাতে বললেন, যা জানছি, ভালো তেমন কিছু না। লতিফ সিদ্দিকী রেগে বুড়ো আঙুল দেখিয়ে বললেন, তুমি জানো আমার এইডা। তোমার মতোন লোক মওলানারে মাপতে চায় কোন সাহসে? তুমি কি জানো, মওলানা চাইলে ভারতের কেন্দ্রিয় মন্ত্রী হতে পারতেন? জানো কি চাইলেই তিনি আসামের মুখ্যমন্ত্রী হতে পারতেন? তারপরে তিনি বলে চললেন মওলানা ভাসানীর বিভিন্ন বৈশিষ্ট্যের কথা। অনেক ব্যক্তিগত গল্প। বললেন, তুমি মিয়া কিসের কবি? মসনদ দিয়া মানুষকে চিনে তো ভোঁতা লোকেরা। তুমিও যদি সেই দলেই নাম লেখাও, তাইলে আর নিজেরে কবি বইলো না। ফেসবুক থেকে

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়