ড. তুহিন মালিক : ‘যে ব্যক্তি স্বেচ্ছায় কোনো ঈমানদারকে হত্যা করবে তার শাস্তি জাহান্নাম, সে চিরকাল সেখানেই থাকবে। আল্লাহ তার প্রতি ক্ষুব্ধ হয়েছেন, তাকে অভিসম্পাত করেছেন এবং তার জন্য কঠোর শাস্তি প্রস্তুত রেখেছেন।’ (সূরা নিসা, আয়াত ৯৩) এখানে হত্যাকারীর শাস্তি জাহান্নামের কথা বলা হয়েছে। তার অর্থ হলো সে যদি তওবা না করে তাহলে তার শাস্তি এটাই হবে। তওবা না করা অবস্থায় চিরস্থায়ী জাহান্নামী হওয়ার অর্থ হলো তাতে সুদীর্ঘকাল অবস্থান করতে হবে।
কারণ কাফের ও মুশরিকরাই কেবল জাহান্নামে চিরস্থায়ী হবে। তাছাড়া হত্যার সম্পর্ক যদিও বান্দার অধিকারের সঙ্গে সম্পর্কিত। যা আল্লাহর কাছে তওবার মাধ্যমে দায়িত্বমুক্ত হওয়া যায় না। কিন্তু তা সত্ত্বেও মহান আল্লাহতায়ালা তাঁর স্বীয় কৃপা ও অনুগ্রহে সেটা এমনভাবে নিষ্পত্তি করতে পারেন যে, নিহত ব্যক্তিও প্রতিদান পেয়ে যাবে এবং হত্যাকারীরও মাফ পেয়ে যাবে। (ইবনে কাসীর ও ফাতহুল কাদিরের তাফসির মতে) রাসূলুল্লাহ (সা.) বলেন, ‘একজন মুমিন ব্যক্তি তার দ্বীনের ব্যাপারে মুক্তির সুযোগের মধ্যে ততোক্ষণ থাকে, যতোক্ষণ সে কোনো ব্যক্তিকে অবৈধভাবে হত্যা না করে।’ (বুখারী : ৬৮৬২) রাসূলুল্লাহ (সা.) আরও বলেন, ‘কেয়ামতের দিন প্রথম বিচার অনুষ্ঠিত হবে মানুষের রক্তক্ষরণ তথা হত্যার ব্যাপারে।’ (বুখারী : ৬৮৬৪, মুসলিম : ১৬৭৮)
অন্য হাদিসে এসেছে, রাসূলুল্লাহ (সা.) বলেন, ‘হত্যাকারী কেয়ামতের দিন এমনভাবে উপস্থিত হবে যে, হত্যাকৃত ব্যক্তি হত্যাকারীর মাথা ধরে রাখবে এবং বলবে, হে রব! আপনি একে প্রশ্ন করুন, কেন আমাকে হত্যা করেছে?’ (ইবন মাজাহ : ২৬২১, মুসনাদে আহমাদ : ১/২৪০)। লেখক : আইন বিশেষজ্ঞ
আপনার মতামত লিখুন :