হাসনাত কুশল : বাংলাদেশের স্যানিটেশন খাতে অগ্রগতি দৃশ্যমান হলেও এ খাতকে যারা অগ্রগতির পথে নিয়ে গেছে, ঠিক তারাই যেন অবহেলিত এবং বঞ্চিত রয়েছে। এ খাতের কর্মীরা যাপন করছে এক মানবেতর জীবন। দারিদ্র্যের কঠিন বাস্তবতায় তারা বেছে নিতে বাধ্য হচ্ছেন নিম্নমূখী জীবন। স্যানিটেশন খাতের কর্মীদের এমন মানবেতর জীবনের ওপর গত সপ্তাহে একটি প্রতিবেদন প্রকাশ করেছে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা।
এ প্রতিবেদনে উঠে এসেছে, তাদের কম বেতন, আর্থিক প্রণোদনার অভাব এবং সামাজিক অবরোধের বিষয়গুলো। স্যানিটেশন কর্মীদের স্বাস্থ্য, নিরাপত্তা ও মর্যাদা প্রাথমিক মূল্যায়ন শীর্ষক এ প্রতিবেদনে আরও বলা হয়, তাদের কোনো দৃশ্যমান জীবনমান উন্নয়ন হয় নি। ঋণ অথবা ভিন্ন কোনো পেশা বেছে নিতে গিয়ে এদেশে তারা প্রায়ই বৈষম্যের শিকার হয়ে থাকেন। খবর ডেইলি স্টারের
প্রতিবেদনটিতে বলা হয়, তাদের মধ্যে মদ্যপান ও মাদকাসক্তি নিত্যনৈমিত্তিক একটি ব্যাপার। এ প্রতিবেদনটি ভারত, বাংলাদেশ, বলিভিয়া, বুরকিনা ফাসো, হাইতি, কেনিয়া, সেনেগাল, দক্ষিণ আফ্রিকা ও উগান্ডা নয়টি দেশের নিম্ন ও মধ্যবিত্ত শ্রেণির আয়কে কেন্দ্র করে তৈরি করা হয়েছে এবং এ প্রতিবেদন ইন্টারন্যাশনাল লেবার অরগানাইজেশন (আইএলও), ওয়াটারএইড, বিশ্বব্যাংক ও বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা যৌথভাবে তৈরি করে। এ প্রতিবেদনে উঠে আসে বাংলাদেশে বসবাসকারী ১৫ লাখ হরিজনের কথা এবং তাদের বেশিরভাগই এ ধরনের স্যানিটেশন পেশার সঙ্গে যুক্ত বলেও জানানো হয়।
আরও বলা হয়, তারা স্বাস্থ্য, দুর্ঘটনা এবং এমনকি মৃত্যুর ঝুঁকিতে আছেন। বাংলাদেশ হরিজন ঐক্য পরিষদের সাধারণ সম্পাদক নির্মল চন্দ্র দাস বলেন, দিন দিন তাদের মধ্যে বৈষম্য বেড়েই চলেছে।
বাংলাদেশ অকুপেশনাল সেফটি, হেলথ এন্ড এনভাইরনমেন্ট ফাউন্ডেশনের কমিউনিকেশন অফিসার রিয়াদ আরিফ জানান, এ পেশার সঙ্গে যারা যুক্ত আছেন তারা দিনমজুরের জীবনযাপন করে থাকেন। তারা সব ধরনের মৌলিক অধিকার থেকে বঞ্চিত যা শ্রমিক আইন অনুযায়ী নিশ্চিত করা সরকারের দায়িত্ব। সম্পাদনা : রাশিদ রিয়াজ
আপনার মতামত লিখুন :