দেবদুলাল মুন্না: আগামীকাল সর্বজনীন শিশু দিবস। এদিনে শিশুদের অধিকারচর্চার গুরুত্ব সবার কাছে তুলে ধরা হয়। এ দিবসটি প্রথমবার তুরস্কে পালিত হয়েছিল সাল ১৯২০ সালের ২৩ এপ্রিল। পরে বিশ্ব শিশু দিবস ২০ নভেম্বর পালন করা হয়। এবার জাগো ফাউন্ডেশন ‘ভলান্টিয়ার ফর বাংলাদেশ’ দেশের বিভিন্ন জেলায় অনুষ্ঠান করছে।
শিশুশ্রম নিরুৎসাহিত করা হলেও বিশ্বের অনেক দেশে তা চলছে। ব্রিটেনভিত্তিক গবেষণা সংস্থা ভেরিস্ক ম্যাপলক্রফট ২০১৯ সালের প্রতিবেদনে শিশুশ্রমে সবচেয়ে এগিয়ে থাকা ২৭টি দেশের তালিকা করেছে। এ তালিকায় উত্তর কোরিয়া রয়েছে সবার ওপরে। প্রথম দশ দেশের তালিকার মধ্যে আফ্রিকারই সাত দেশ রয়েছে। বাংলাদেশ এ তালিকায় রয়েছে ২৬তম স্থানে। বাংলাদেশের এ অবস্থানে প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, দেশটিতে সরকার শিশুশ্রম রোধে ক্রমশ সফল হচ্ছে। শিশুশ্রম কমছে।
প্রতিবেদন অনুযায়ী, তালিকার প্রথম দেশ এশিয়ার মধ্যে উত্তর কোরিয়া। শিশুদের অবস্থাই সবচেয়ে খারাপ। দুই নাম্বারে রয়েছে আফ্রিকার সোমালিয়া।খেয়ে-পরে বেঁচে থাকার জন্য সে দেশের অনেক শিশুকে মাইন তোলা এবং নির্মাণ কাজে সহায়তা করতে হয় তৃতীয় স্থানে রয়েছে সাউথ সুদান। এটিও সুদানে অবস্থিত।পাঁচবছর ধরে গৃহযুদ্ধ চলছে এখানে। এখানে শিশুরা গুহনির্শাণ কাজের সঙ্গে জড়িত। আফ্রিকার ইরিত্রিয়ায় একই অবস্থা।এই দেশেরও অনেক শিশু কৃষিক্ষেত এবং সোনার খনিতে কাজ করে। সেখানে শিশুপাচারও নিত্য দিনের ঘটনা। সেন্ট্রাল আফ্রিকান রিপাবলিক দেশটি পঞ্চমে আছে। এ দেশেও যুদ্ধ, হানাহানি লেগেই আছে। বিদ্রোহী সংগঠনগুলো শিশুদের যুদ্ধে অংশ নিতে বাধ্য করে। এরপর রয়েছে সুদান। আফ্রিকার এই দেশে শিশুশ্রমের হার দেখে আন্তর্জাতিক শ্রম সংস্থা আইএলও-ও উদ্বেগ প্রকাশ করেছে।
প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, সুদানের ৪৭ ভাগ শিশুই ঝুঁকিপূর্ণ কাজ করতে বাধ্য হয়। দক্ষিণ আমেরিকার ভ্যানিজুয়েলাতে শিশুদের গৃহশ্রমে নিয়োজিত হতে বাধ্য করানো হয়। এমনকি শিশুদের কলম্বিয়ায় দেহব্যবসার জন্য পাচার করা হয়। আট নম্বরে রয়েছে এশিয়া প্যাসিফিক অঞ্চলের পাপুয়া নিউগিনি। শিশুশ্রম বন্ধ করার চেষ্টা করছে সে দেশের সরকার। তবে এখনও খুব একটা সাফল্য আসেনি। নবম স্থান দখল করে রয়েছে আবারো আফ্রিকার দেশ চাদ। এদেশে শিশুদের খনি থেকে তেল উত্তোলন কাজে বাধ্য করা হয়। এবং এ কাজ করতে গিয়ে প্রতিদিন গড়ে এক শিশু মারা যায়। দশমস্থানে আফ্রিকারই দেশ মোজাম্বিক।
আপনার মতামত লিখুন :