শিরোনাম
◈ জাতীয় পতাকার নকশাকার শিব নারায়ণ দাস মারা গেছেন ◈ ইরানের ইস্পাহান ও তাব্রিজে ইসরায়েলের ড্রোন হামলা, ৩টি ভূপাতিত (ভিডিও) ◈ জাতিসংঘে সদস্যপদ প্রস্তাবে মার্কিন ভেটোর নিন্দা ফিলিস্তিনের, লজ্জাজনক বলল তুরস্ক ◈ স্কুল পর্যায়ের শিক্ষার্থীদের গল্প-প্রবন্ধ নিয়ে সাময়িকী প্রকাশনা করবে বাংলা একাডেমি ◈ দক্ষিণ ভারতে ইন্ডিয়া জোটের কাছে গো-হারা হারবে বিজেপি: রেভান্ত রেড্ডি ◈ আবারও বাড়লো স্বর্ণের দাম  ◈ ভারতের পররাষ্ট্র সচিব বিনয় মোহন কোয়াত্রার ঢাকা সফর স্থগিত ◈ চিকিৎসকদের সুরক্ষা নিশ্চিত করতে সংসদে আইন পাশ করব: স্বাস্থ্যমন্ত্রী ◈ বিএনপি নেতাকর্মীদের জামিন না দেওয়াকে কর্মসূচিতে পরিণত করেছে সরকার: মির্জা ফখরুল ◈ ব্রিটিশ হাইকমিশনারের সঙ্গে বিএনপি নেতাদের বৈঠক

প্রকাশিত : ১৯ নভেম্বর, ২০১৯, ০৭:৫৫ সকাল
আপডেট : ১৯ নভেম্বর, ২০১৯, ০৭:৫৫ সকাল

প্রতিবেদক : নিউজ ডেস্ক

এখনও শোকে পাথর পাথরঘাটার বড়ুয়া ভবন, বিস্ফোরণের কারণ জানতে চায় স্থানীয়রা

চট্টগ্রাম প্রতিদিন : পাথরঘাটা ব্রিকফিল্ড রোডে গ্যাসলাইনে পাঁচতলাবিশিষ্ট বড়ুয়া ভবনটি নিস্তব্ধ, নীরব হয়ে একটি বিস্ফোরণ ট্রাজেডির প্রমাণ হিসেবে দাঁড়িয়ে আছে। পথচারীরা সেই ভবনের সামনে দিয়ে হেঁটে যাওয়ার সময় দীর্ঘনিঃশ্বাস ফেলেন। সবার চোখে শোকের ছায়া।

ভিডিও কলের মাধ্যমে কেউ বা তাদের স্বজনদের ভবনটি দেখিয়ে দুর্ঘটনার বর্ণনা দেন। আবার অনেকে ভবনের একপাশে জট পাকিয়ে দুর্ঘটনা নিয়ে মন্তব্য, বিশ্লেষণ করায় ব্যস্ত। ভবনের সামনের রাস্তায় কয়েকজন পুলিশ হাঁটাহাঁটি করছে। ভবনের দেয়ালে সাঁটানো হয়েছে ‘ঝুঁকিপূর্ণ ভবন” লেখা ব্যানার।

দুইদিন আগেও যে ভবনটি আলোয় ভরা ছিলো, ভিতরে ছিলো প্রাণের সঞ্চার, বাচ্চাদের হইচই, মায়ের বকাবকি, সকালে কারো অফিস যাওয়ার তাড়া, কারো কারো বাজারে যাওয়ার তাড়া, আবার কারো স্কুল, কলেজ, বিশ্ববিদ্যালয়ের বা কোচিংয়ে যাওয়ার তাড়া ছিলো কিন্তু আজ সেই ভবনে এসব কিছুই নেই। জনশূন্য ভবনটি নিরব হয়ে দাঁড়িয়ে আছে। নেই কোনো কোলাহল।

ভবনের দিকে একপলকে তাকিয়ে কি হয়ে গেলো! বলে আফসোস করতে থাকে বৃদ্ধা গীতা চক্রবর্তী। বিড়বিড় করে বলতে থাকেন- মুহুর্তে সব শেষ। কারো স্ত্রী, সন্তান, স্বামী, কারো বাবাকে কেড়ে নিলো এই ভবনের দেয়াল।

স্থানীয় বাসিন্দা রাজেসের চোখে পানি টলমল করছে। তিনি বলেন, এতোগুলো নিরীহ মানুষ এই দুর্ঘটনার শিকার হয়েছে ভাবতেই কেমন জানি গা শিহরিত হয়ে উঠে। এই পথ দিয়ে আমি প্রতিদিন ৫/৬ বার আসা যাওয়া করি। সে দিন যে ৭জন মারা গেছেন তাদের একজন হয়তো আমি হতে পারতাম। হয়তো আজ আমার পরিবারেও শোকের মাতম ওঠতো।

তিনি বলেন, ঘটনার পর থেকে নিজের মনকে কোনোভাবে মানাতে পারছি না। যারা মারা গেছেন তাদের স্বজনরা এই মৃত্যু কিভাবে মেনে নিবে? ৭ বছরের নিষ্পাপ ছেলেটিও মারা গেলো, সঙ্গে তার মাও। হয়তো এই পরিবারের স্বপ্ন ছিলো ছেলে বড় হয়ে ডাক্তার বা ইঞ্জিনিয়ার কিংবা বাবার মতো বড় কোনো আইনজীবী হবে কিন্তু সব কিছুর সমাধি হলো দেয়াল চাপায়। তাছাড়া, শিক্ষক অ্যানি বড়ুয়ার দুই সন্তান মা হারা হয়েছে। এই ছেলে দুটির ভবিষ্যৎ কি হবে?

এলাকায় সকলের মুখে মুখে একটাই প্রশ্ন- বিষ্ফোরণটা আসলে কিভাবে হলো? একেক জনের মুখে একেক রকম মন্তব্য কিন্তু আসল কারণ কি কেউ জানেন না।

স্থানীয়রা বলেন, বিস্ফোরণের আসল কারণ আমরা জানতে চাই। কেউ বলছেন গ্যাসলাইন বিস্ফোরণ, কেউ বলছেন দিয়াশলাই জ্বালানোর সঙ্গে সঙ্গেই আগুনের সূত্রপাত ঘটেছে, আবার শোনা যাচ্ছে সেপটিক ট্যাংকের গ্যাস থেকে হতে পারে এ দুর্ঘটনা। একেক সময় একেক কথা শুনে আসছি কিন্তু আসল কারণটি আমরা কেউ জানি না।

উল্লেখ্য, রোববার সকালে ঘটে যাওয়া বিস্ফোরণের দুর্ঘটনায় চট্টগ্রাম জেলা প্রসাশন, চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশন, সিএমপি, কর্ণফুলী গ্যাস বিতরণ কোম্পানি লিমিটেডের (কেজিডিসিএল) এর পক্ষ থেকে মোট চারটি তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে। সম্পাদনা : এইচ

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়