সওগাত আলী সাগর : পেঁয়াজের দাম বেড়ে যাওয়ায় বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার বাসায় পেঁয়াজ ছাড়া রান্না হয়েছে- স্বয়ং প্রধানমন্ত্রীকে উদ্ধৃত করে এমন একটা খবর প্রকাশিত হয়েছে মিডিয়ায়। এই খবরটায় মোটেও আনন্দিত হতে পারলাম না। বরং অস্বস্থি হলো। দেশে কোনো কিছুর অভাব দেখা দিলে এ ধরনের সিদ্ধান্ত বা ঘোষণার একটা তাৎপর্য থাকে। পেঁয়াজের সংকটটা যতোটা না অভাবের, তার চেয়ে বেশি বাজার ব্যবস্থাপনায় খামখেয়ালিপনার।
যদ্দুর মনে পড়ে, প্রধানমন্ত্রী সর্বশেষ ভারত সফরকালেও ‘পেঁয়াজছাড়া রান্নার’ কথা বলেছিলেন। এখন আবার বললেন। ওই যে ভারত সফরের সময় প্রধানমন্ত্রী ‘পেঁয়াজ ছাড়া তার বাসায় রান্নার’ কথা বলেছিলেন, ওই সময় থেকেই কি প্রধানমন্ত্রীর বাসায় প্রতিদিনই পেঁয়াজ ছাড়া রান্না হয়েছে? মনে হয় না। খবরে সেরকম কোনো তথ্য নাই। সম্ভবত তখন একবার পেঁয়াজ ছাড়া রান্না হয়েছিলো, এখন আবার হলো। মাঝখানে পেঁয়াজ দিয়েই রান্না হয়েছে।
সেই সময়ই যদি প্রধানমন্ত্রী পেঁয়াজের বাজার ব্যবস্থাপনার ব্যাপারে একটু খোঁজখবর করতেন- তা হলে সংকট এতোটা তীব্র নাও হতে পারতো। আমাদের মন্ত্রীরা তো আবার প্রধানমন্ত্রী না বলা পর্যন্ত কিচ্ছুই করেন না। প্রধানমন্ত্রী যদি পেঁয়াজের সংকটের সমাধানের কথা বলতেন- তাহলে হয়তো মন্ত্রীরা, প্রশাসনও একটু দৌড়ঝাপ করতো। ‘প্রধানমন্ত্রীর বাসায় পেঁয়াজ ছাড়া রান্না হচ্ছে’- এই তথ্য জানার পর মন্ত্রীদের সম্ভবত ধারণা হয়েছে- এটা ভাববার মতো কোনো বিষয় নয়। তারা এ নিয়ে ভাবেনওনি।
বাংলাদেশের মানুষের দুর্ভাগ্য, সংকটের সময় তাদের নেতারা এমন সব কথাবার্তা বলেন- যা আসলে পরিহাসের মতো শোনায়। নাগরিকদের কষ্ট নিয়ে তারা কোনো সহানুভূতি প্রকাশ করেন না, সমস্যা সমাধানের ব্যাপারে ইতিবাচক কোনো চিন্তার কথা তারা বলেন না। বরং পরিহাস করেন! ফেসবুক থেকে
আপনার মতামত লিখুন :