শিরোনাম
◈ উন্নয়ন সহযোগীদের একক প্ল্যাটফর্মে আসা প্রয়োজন: পরিবেশমন্ত্রী ◈ জিয়াউর রহমানের সময়ই দেশে বিভেদের রাজনীতির গোড়াপত্তন হয়: ওবায়দুল কাদের  ◈ এলডিসি উত্তরণের পর সর্বোচ্চ সুবিধা পাওয়ার প্রস্তুতি নিতে প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশ ◈ ড. ইউনূসকে নিয়ে শিক্ষামন্ত্রীর বক্তব্য দুঃখজনক: আইনজীবী  ◈ ত্রিশালে বাসের ধাক্কায় বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রসহ অটোরিকশার ৩ যাত্রী নিহত ◈ জলদস্যুদের হাতে জিম্মি জাহাজ মুক্ত করার বিষয়ে  সরকার অনেক দূর এগিয়েছে: পররাষ্ট্রমন্ত্রী  ◈ এসএসসি পরীক্ষায় আমূল পরিবর্তন, বদলে যেতে পারে পরীক্ষার নামও ◈ পঞ্চম দিনের মতো কর্মবিরতিতে ট্রেইনি ও ইন্টার্ন চিকিৎসকরা ◈ অর্থাভাবে পার্লামেন্ট নির্বাচনে লড়বেন না ভারতের অর্থমন্ত্রী ◈ কখন কাকে ধরে নিয়ে যায় কোনো নিশ্চয়তা নেই: ফখরুল

প্রকাশিত : ১৯ নভেম্বর, ২০১৯, ১২:৩৬ দুপুর
আপডেট : ১৯ নভেম্বর, ২০১৯, ১২:৩৬ দুপুর

প্রতিবেদক : নিউজ ডেস্ক

পাইকারি বাজারে কমেছে পেঁয়াজের দাম

লাইজুল ইসলাম : রাজধানীসহ দেশের পাইকারি ও খুচরা বাজারে পেঁয়াজের দাম কমতে শুরু করেছে। বিক্রেতারা কেজি প্রতি ২০০ টাকার কমে পেঁয়াজ বিক্রি করতে শুরু করেছেন। তবে ক্রেতা না থাকায় অলস সময় পার করতেও দেখা গেছে ব্যবসায়ীদের। বিপরীতে অতিরিক্ত দামে কেনা পেঁয়াজ মজুদ করে মুনাফা লোভি কতিপয় ব্যবসায়ীরা পড়েছেন বিপাকে।

২৯ সেপ্টেম্বর ভারত পেঁয়াজ রপ্তানি বন্ধ করলে অস্থির হয়ে ওঠে দেশের পেঁয়াজের বাজার। কেজি প্রতি প্রায় অর্ধশত টাকার পেঁয়াজ লাফ দিয়ে শতক ছাড়ায়। এরপরই দেশের পাইকারী ও খুচরা বাজারে হু হু করে দাম বাড়তে থাকে পঁচনশীল দব্য পেঁয়াজের। এছাড়া ঘূর্ণিঝড় বুলবুলের কারণেও বাড়ে পেঁয়াজেন দাম। একপর্যায়ে দাম গিয়ে দাড়ায় প্রায় ৩০০ টাকায়।

আজ সকালে রাজধানীর মগবাজার ও তেজগাঁও কলোনীবাজার এলাকা ঘুরে ২১০ থেকে ২২০ টাকায় প্রতি কেজি পেঁয়াজ বিক্রি করতে দেখা গেছে। মগবাজারের মুদি দোকানী সোহেল মিয়া বলেন, কেনা দামের চেয়ে কিছু বেশিতে পেঁয়াজ বিক্রি করছি। এখন আর কেজি দরে কেউ পেঁয়াজ কেনে না। অল্প করে কিনে। মাহফুজ হোসেন নামের একজন ক্রেতা বলেন, সরকারের কথা ঠিক থাকলে আগামী কয়েকদিনের মধ্যেই পেঁয়াজের দাম কমে যাবে।

কলনী বাজারের ব্যবাসয়ীরা বলেন, চড়া দামের কারণে পেঁয়াজের ব্যবহার কমেছে। আর সরবরাহ আসার খবর ও বিভিন্ন বাজারে ম্যাজিস্ট্রেটের অভিযানের পর দাম আরো কিছুটা কমেছে।

রাজধানীর অন্যতম পাইকারি বাজার কারওয়ানবাজারে প্রতি কেজি দেশি পেঁয়াজ ১৮০ থেকে ২০০ টাকা দরে বিক্রি হচ্ছে। মিসর ও মিয়ানমারের পেঁয়াজের দাম আগের চেয়ে আরো কমে কেজি প্রতি ১৭০ থেকে ১৮০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। কিন্তু এখনো কতিপয় অসাধু ব্যবসায়ীরা বোর্ডে বেশি দাম লিখে রেখেছেন।

ব্যবসায়ীরা বলছেন, কেনা দামের চেয়ে একটু বেশি লিখে রেখেছি। যার কাছে যা বিক্রি করতে পারি। তবে এখনতো ক্রেতাই নাই। পেঁয়াজ পঁচে যাওয়ার চিন্তায় আছি। তারা বলেন, কয়েকদিনের মধ্যেই দাম আরো কমবে।

কারওয়ান বাজারে প্রায় একযুগের বেশি সময় ধরে নিয়োজিত পেঁয়াজ ব্যবসায়ী সহিদুল ইসলাম বলেন, শ্যামবাজরে দাম বাড়ার পর গ্রামের হাঁট থেকে পেঁয়াজ কেনেন কেজি প্রতি ২০০ টাকায়। এখন বাজারে দাম কমতে শুরু করায় বোর্ডে ২০ টাকা বেশি লেখা রয়েছে। কিন্তু ক্রেতা সঙ্কটে ১৯০ টাকায়ও পেঁয়াজ বিক্রি করতে পারছি না।

সাদ্দাম নামের অপর ব্যবসায়ী জানান, তিনি চায়না পেঁয়াজ বিক্রি করছেন। মজুদ প্রায় শেষের দিকে হলেও আজ সকাল থেকে দুপুর পর্যন্ত ক্রেতা না থাকায় এক কেজি পেঁয়াজও বিক্রি করতে পারেননি।

এদিকে পাইকারী বিক্রির জন্য খ্যাত পুরান ঢাকার শ্যামবাজারে পেঁয়াজের দাম আরো কমেছে। গতকাল কেজি প্রতি দেশি পেঁয়াজ বিক্রি হয় ১৭৫ টাকায়। আর মিয়ানমারের ভালো মানের পেঁয়াজ বিক্রি হয় ১৬০-১৭০ টাকা কেজি দরে।

আড়তদাররা বলেন, ভোক্তারা খাওয়া কমানো ও কার্গো বিমানে করে আসায় পাইকারি বাজারে পেঁয়াজের দাম কমেছে।

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়