শিরোনাম
◈ দেশের ৯২ শতাংশ মানুষ দ্বিতীয় কোনো ভাষা জানেন না, সময় এসেছে তৃতীয় ভাষার ◈ ভুটানের রাজার সঙ্গে থিম্পু পৌঁছেছেন তথ্য প্রতিমন্ত্রী ◈ চট্টগ্রামের জুতার কারখানার আগুন নিয়ন্ত্রণে ◈ জিয়াও কখনো স্বাধীনতার ঘোষক দাবি করেনি, বিএনপি নেতারা যেভাবে করছে: ড. হাছান মাহমুদ ◈ আওয়ামী লীগ সবচেয়ে বড় ভারতীয় পণ্য: গয়েশ্বর ◈ সন্ত্রাসীদের ওপর ভর করে দেশ চালাচ্ছে সরকার: রিজভী ◈ ইফতার পার্টিতে আওয়ামী লীগের চরিত্রহনন করছে বিএনপি: কাদের ◈ বাংলাদেশে কারাবন্দী পোশাক শ্রমিকদের মুক্তির আহ্বান যুক্তরাষ্ট্রের ফ্যাশন লবি’র ◈ দক্ষিণ আফ্রিকায় সেতু থেকে তীর্থ যাত্রীবাহী বাস খাদে, নিহত ৪৫ ◈ ২২ এপ্রিল ঢাকায় আসছেন কাতারের আমির, ১০ চুক্তির সম্ভাবনা

প্রকাশিত : ১৮ নভেম্বর, ২০১৯, ০৭:২৮ সকাল
আপডেট : ১৮ নভেম্বর, ২০১৯, ০৭:২৮ সকাল

প্রতিবেদক : নিউজ ডেস্ক

বুড়িগঙ্গা তীরে গড়ে ওঠা হাসপাতালসহ ২৭ প্রতিষ্ঠান বন্ধ করে দেওয়ার নির্দেশ হাইকোর্টের

সাবিহা জামান: রাজধানীর সদরঘাট থেকে শ্যামপুর পর্যন্ত বুড়িগঙ্গা নদীর উত্তর পাড়ে গড়ে ওঠা পরিবেশগত ছাড়পত্র নেই এমন ২৭টি প্রতিষ্ঠান বন্ধ করতে পরিবেশ অধিদফতরকে নির্দেশ দিয়েছেন হাইকোর্ট। আগামী ১৫ দিনের মধ্যে নির্দেশ বাস্তবায়ন করতে বলা হয়েছে। ঢাকা ট্রিবিউন

এই ২৭টি প্রতিষ্ঠান হচ্ছে হলো— মেডিকেয়ার ডায়াগনস্টিক অ্যান্ড হাসপাতাল ও রিভারসাইট হাসপাতাল লিমিটেড, চাঁদনি টেক্সটাইল মিলস, কদমতলী ডায়িং অ্যান্ড প্রিন্টিং, টিপিআই টেক্সটাইল প্রসেসিং ইন্ডাস্ট্রি, নুরানি টেক্সটাইল মিলস, এ মজিদ অ্যান্ড সন্স ডায়িং, খাদিজা টেক্সটাইল প্রসেসিং অ্যান্ড প্রিন্টিং, অগ্রণী ডায়িং অ্যান্ড প্রিন্টিং, সুবর্ণা ডায়িং অ্যান্ড প্রিন্টিং, মাসুদ টেক্সটাইল, সোনিয়া ডায়িং অ্যান্ড প্রিন্টিং, জেদ্দা ডায়িং, সেবা টেক্সটাইল প্রসেসিং লিমিটেড, মলিনা টেক্সটাইল লিমিটেড, শামস ডায়িং, এম জে ডায়িং, রাফসান ডায়িং, আজিজ মেটাল, আলিফ মেটাল, এনএক্স করপোরেশন, অগ্রণী মল্ডিং, মতলব আয়রন, পারফেক্ট ওয়্যার, এসএস ইলেক্ট্রোপ্লেটিং ওয়ার্কস, খান রেডিমিক্স ও মোহাম্মদীয়া পাইপ।

বিচারপতি গোবিন্দ চন্দ্র ঠাকুর ও বিচারপতি মোহাম্মদ উল্লাহের সমন্বয়ে গঠিত হাইকোর্ট বেঞ্চ রোববার এ আদেশ দেন। আদালতে রিট আবেদনের পক্ষে শুনানি করেন অ্যাডভোকেট মনজিল মোরসেদ। বিআইডবিøউটিএ’র পক্ষে ছিলেন আইনজীবী সৈয়দ মফিজুর রহমান। আর ওয়াসার পক্ষে শুনানিতে ছিলেন ব্যারিস্টার এ এম মাছুম।

মামলার শুনানিতে ওয়াসার প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়, বুড়িগঙ্গায় ওয়াসার কোনও সুয়ারেজ লাইন নেই। তবে পরিবেশ অধিদফতরের পৃথক এক প্রতিবেদনে ওয়াসার অনেক সুয়ারেজ লাইন নদীতে গেছে বলে পাল্টা তথ্য আসে। সেক্ষেত্রে আদালতের আদেশ অমান্য করা এবং মিথ্যা তথ্য দেওয়ায় কেন আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে না তা জানতে চেয়ে ওয়াসার ব্যবস্থাপনা পরিচালককে শোকজ করেন হাইকোর্ট। তাকে ১৫ দিনের মধ্যে এর জবাব দিতে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।

এর আগে হিউম্যান রাইটস অ্যান্ড পিস ফর বাংলাদেশের (এইচআরপিবি) পক্ষে দায়ের হওয়া এক রিটের শুনানি নিয়ে ২০১১ সালে হাইকোর্টের এক রায়ে বুড়িগঙ্গা নদীর তীর থেকে সব অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদের নির্দেশ দেওয়া হয়। এছাড়া নদীর পানি যেন দূষিত না হয় সেজন্য সব ধরনের বর্জ্য ফেলা বন্ধের নির্দেশ দেওয়া হয়। তবে পুনরায় এক সম্পূরক আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে হাইকোর্ট বুড়িগঙ্গার তীরের ২৭টি প্রতিষ্ঠান বন্ধের নির্দেশ দিলেন।

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়