শিরোনাম
◈ থাইল্যান্ডের রাজা-রাণীর সঙ্গে প্রধানমন্ত্রীর সৌজন্য সাক্ষাৎ ◈ রাষ্ট্রধর্ম ইসলাম সংবিধানবিরোধী নয়, হাইকোর্টের রায় ◈ শিক্ষক নিয়োগ: ১৪ লাখ টাকায় চুক্তি, ঢাবি শিক্ষার্থীসহ গ্রেপ্তার ৫ ◈ বিদ্যুৎ-গ্যাস কর্তৃপক্ষের ছাড়পত্র ছাড়া ঋণ মিলবে না ◈ রোববার খুলছে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান  ◈ নতুন করে আরও ৭২ ঘণ্টার তাপ প্রবাহের সতর্কতা জারি ◈ উপজেলা নির্বাচন সুষ্ঠু করতে ব্যর্থ হলে গণতান্ত্রিক ধারাবাহিকতা ক্ষুণ্ন হতে পারে: সিইসি ◈ ভারতের রপ্তানি করা খাদ্যদ্রব্যে ক্যান্সার সৃষ্টিকারী রাসায়নিক পেয়েছে ইইউ ◈ ৯৫ বিলিয়ন ডলারের সহায়তা বিলে জো বাইডেনের স্বাক্ষর ◈ মিয়ানমার সেনাসহ ২৮৮ জনকে ফেরত পাঠালো বিজিবি

প্রকাশিত : ১৮ নভেম্বর, ২০১৯, ১২:৩৯ দুপুর
আপডেট : ১৮ নভেম্বর, ২০১৯, ১২:৩৯ দুপুর

প্রতিবেদক : নিউজ ডেস্ক

মৃত্যুর আগে ফোনে মায়ের সঙ্গে শেষ কথা, মা আমাকে নিয়ে যাও ওরা আমাকে মেরে ফেলবে

রফিকুল ইসলাম, গাইবান্ধা : মা আমাকে নিয়ে যাও, ওরা আমাকে মেরে ফেলবে, আমি পরীক্ষা দিবো, ওরা পরীক্ষা দিতে দিবে না। ওরা আমাকে তিন বেলা খেতেও দিচ্ছে না এভাবে কথাগুলো মৃত্যুর একদিন আগে মোবাইল ফোনে মায়ের সঙ্গে বলেছিলো নিহত ফাতেমা।

ফাতেমার ইচ্ছে ছিলো বড় ভাইয়ের মত আইন বিষয়ে পড়াশুনা করে বিচারক হওয়ার কিন্তু তার স্বপ্ন পূরণ হলো না অধরাই থেকে গেলো । এভাবে কেঁদে কেঁদেই নিহত ফাতেমার মা আত্মহারা হয়ে যায়। মেয়ের মৃত্যুটাকে সহজে মেনে নিতে পারছেন না। শুধু মা না পরিবারের সকলেই হত বিহবল হয়ে পড়েছে।এমন হৃদয় বিদারক ঘটনাটি ঘটেছে গাইবান্ধার সাঘাটা উপজেলার দূর্গমচর দক্ষিণ দিঘলকান্দি গ্রামে।
ঐ গ্রামে নিহত ফাতেমার লাশ দেখে কেউ মেনে নিতে পারছে না এটি হত্যা না আত্মহত্যা । নিহত ফাতেমার পরিবার সূত্র জানায় পাশ্ববর্তী দক্ষিণ দিঘলকান্দি গ্রামের সুরাহকের পুত্র আব্দুল মমিনের সাথে উত্তর দিঘলকান্দি গ্রামের মুক্তিযোদ্ধা আব্দুর রশিদের কন্যা ফাতেমা আক্তারের মোবাইল ফোনের মাধ্যমে পরিচয় হয় এবং প্রেমের সম্পর্ক গড়ে ওঠে।

পরবর্তীতে গত ২৬.০৮.২০১৯ইং তারিখে অজানার উদ্দেশ্যে পাড়ি জমায়। পরে কোর্ট এ্যাভিডেভিটের মাধ্যমে বিয়ে করে মমিনের বাড়িতে স্ত্রী হিসাবে নিয়ে এসে সংসার জীবন শুরু করে। এর পর সংসার নামক জীবনে নেমে আসে ঘোর অনামিশার অন্ধকার । দেড় মাসের সংসার জীবনে মানসিক ও শারিরীক নির্যাতন শুরু করে তার স্বামী, শাশুড়িসহ পরিবারের অনেকে।

ঘটনার এক দিন আগে ১২ নভেম্বর মঙ্গলবার শশুরবাড়ির নির্যাতন সহ্য করতে না পেরে ফাতেমা তার মাকে মোবাইল করলে বড় বোন ছালমা ঐ বাড়িতে যায়। বড় বোনের সামনে ফাতেমার স্বামী মারপিট করে। এ দৃশ্য দেখে বোন তারাতারি বাড়িতে চলে এসে পরিবারের সবাইকে জানায়। ফাতেমার পরিবার বিচার সালিশের জন্য সময় ঠিক করলেও পরের দিন বুধবার মেয়েকে স্বামীর শয়ন ঘরের ধর্ন্যার সাথে গলায় ওড়না পেঁচানো মেয়ের লাশ দেখতে পায় বাবা। ফাতেমার পরিবার ও এলাকাবাসি মেনে নিতে পারেনি এ রকম অপমৃত্য।

এলাকাবাসির মধ্যে কৌতুহলের সৃষ্টি হয়েছে। এত সুন্দর মেয়ে এরকম কাজ করতে পারে না । নিহতের পরিবার ও এলাকাবাসির অনেকেই মন্তব্য করেছেন এটি পরিকল্পিত হত্যা । খুনিদের বাঁচাতে সাজানো হয়েছে আতœহত্যার ঘটনা।

ঘটনার দিন বুধবার ফাতেমার লাশ উদ্ধার করে ময়না তদন্তের জন্য গাইবান্ধা মর্গে প্রেরণ করে। বৃহস্পতিবার ময়না তদন্ত শেষে পরিবারের কাছে লাশ হস্তান্তর করে ও দাফন সম্পন্ন করা হয়।
এলাকার আশরাফ,নাসির,নওসাদ বলেন খুন না আত্মহত্যা আমরা বলতে পারি না। তবে তার বড় ভাই হামিদুর রহমান বলেন তার শরীরে ক্ষত চিহ্ন রয়েছে। তদন্তকারী কর্র্মকর্তা এসআই অনিমেশ চন্দ্র জানান প্রাথমিক ভাবে আত্মহত্যার আলামত পাওয়া গেছে। এ ঘটনায় সাঘাটা থানায় একটি আত্মহত্যা প্ররোরচনা ও সহায়তার কারনে ৩০৬ ধারায় একটি মামলা দায়ের করা হয়। মামলা নং-১০।

এ ব্যাপারে সাঘাটার থানার ওসি বেলাল হোসেন জানান,প্রাথমিক ভাবে গলায় ফাসঁ দিয়ে আত্মহত্যা তথ্য মিলেছে। তবে পিএম রির্পোট না পাওয়া পর্যন্ত কিছু বলা যাচ্ছে না । আসামিদের গ্রেপ্তার করার ব্যাপারে তৎপর রয়েছে পুলিশ। সম্পাদনা: জেরিন মাশফিক

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়