লাইজুল ইসলাম : প্রতিদিনের রান্নায় পেঁয়াজ একটি অপরিহার্য উপাদান কিন্তু এখন বেশ বিপাকে পরতে হয় রান্না করতে গিয়ে। চাহিদা মতো পেঁয়াজ ব্যবহার করা যায় না। অতিরিক্ত দামের কারণে পেঁয়াজ কেনা কমিয়ে দিয়েছি। সকালে কারওয়ান বাজারে এক গৃহিণীএমটাই জানিয়েছেন। তিনি বলেন, বাজারের ওপর কারোই কোনো হস্তক্ষেপ নাই। যার কারনে দাম বেড়েই চলছে। যতোই দাম বাড়বে ততোই পেঁয়াজ খাওয়া কমিয়ে দেয়ার কথা বলেন তিনি।
গত চার মাসে ২৫ টাকার পেঁয়াজের দাম ধাপে ধাপে বেড়ে দাড়িয়েছে ২৫০ টাকায়। দাম বৃদ্ধির এই চক্রে পরে প্রথম দিকে বেশ বিপাকেই ছিলো দেশবাসী। পেঁয়াজ সমস্যার সহজ সমাধান খুঁজে নিয়েছেন তারাই। শনিবার প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা নিজেই বলেছেন, তার বাসায় পেঁয়াজ ছাড়া রান্না হয়। বেশ কয়েক দিন আগে তিনিই বলেছিলেন, পেঁয়াজ খাওয়া কমাতে। আর শনিবার বললেন, পেঁয়াজ ছাড়া রান্না করতে।
কারওয়ান বাজারের খুচরা ও পাইকারী আরতে পেঁয়াজের কমতি নেই কিন্ত সেই তুলনায় দাম কমেনি বলে জানান এক ক্রেতা। আড়াই’শ গ্রাম পেঁয়াজ কিনেছেন।
তিনি বলেন, আপাতত পেঁয়াজ কম কিনেছি ও খাচ্ছি। বাজারে এসেছেন দুই ভাই। তারা ব্যাচেলর বাসায় থাকেন। পেঁয়াজের কথা বলতেই তেলে বেগুনে জ্বলে উঠে বলেন, কোনো কিছুই কাজ হচ্ছে না। ভ্রাম্যমাণ আদালত চালিয়েও পেঁয়াজের দাম কমাতে পারেনি সরকার। এখন আমরাই পথ বেছে নিয়েছি। যতো দিন দাম না কমবে প্রয়োজনে পেঁয়াজ খাবো না।
এসব কথার মধ্যে কারওয়ান বাজারের খুচরা ব্যবসায়ী বলেন, ‘মামা পেঁয়াজ গেলো কয়েকদিন ধরে বিক্রি হচ্ছে কম। যারা পাঁচ কেজি পেঁয়াজ নিতেন, তারা এখন আধাকেজি পেঁয়াজ কিনছেন। তিনি হাস্যরস করে বলেন, পেঁয়াজ ছাড়া কি তরকারি রান্না হবে।’
তবে রান্না হোক আর না হোক, বেশি দাম দিয়ে পেঁয়াজ কিনতে রাজিনন দেশবাসী। এদিকে, পেঁয়াজ বিক্রি না হওয়ায় অনেকাংশে বিপাকে আছেন দেশের মুনাফা লোভী পেঁয়াজ ব্যবসায়ীরা।
আপনার মতামত লিখুন :