জান্নাত জুঁই : বাংলাদেশের বাজারে পেঁয়াজের দাম অস্বাভাবিকভাবে বাড়ায় সংকট দেখা দিয়েছে। ফলে, এ সংকট দূরীকরণের জন্য কার্গো বিমানে দ্রুত বিদেশ থেকে পেঁয়াজ আমদানি করা হচ্ছে বলে জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। বিবিসি
বেশিরভাগ পেঁয়াজ মূলত আমদানি করা হয় ভারত থেকে কিন্তু ভারতে পেঁয়াজের সংকটের কারণে রপ্তানির উপর নিশেধাজ্ঞা দেখা দেয়ায় দেশের বাজারে ঘাটতি দেখা দেয়।
মৌলভীবাজারের পাইকারী ব্যবসায়ী হাজী মোহাম্মদ আবুল হাসেম বলেন, দ্রব্যমূল্য বাড়ার পিছনের কারণ হলো চাহিদার চেয়ে সরবরাহ কম হলে দ্রব্যমূল্য বাড়ে। এজন্য পেঁয়াজের দাম এর আগেও বেড়েছিলো। দেশীয় উৎপাদনে চাহিদা মেটে না, সে ক্ষেত্রে সরকারের পক্ষ থেকে আমাদের সংরক্ষণ করার কোনো ব্যবস্থা নেই। দেশি পেঁয়াজের যখন সিজন থাকে তখন কিন্তু অনেক পেঁয়াজ পচেও যায়। এছাড়া, কৃষকের উৎপাদনের দামের চেয়ে তাদের বাজারে কম দামে বিক্রি করতে হয়। ভারত থেকে প্রচুর মাল চলে আসে। যারা আমদানির ব্যবসা করে তারা আমদানি করতেই থাকে। আমাদের এখানে সঠিক পরিসংখ্যনের অভাব রয়েছে। এক্ষেত্রে সঠিক পরিসংখ্যন করতে হবে।
চাহিদার কথা উল্লেখ করে তিনি আরো বলেন, আমাদের দেশে চাহিদার চেয়ে পেঁয়াজ সরবরাহ কম আছে তাহলে ভারতের বিকল্প খুঁজতে হবে। অন্য দেশ থেকে কিভাবে খুব দ্রুত পণ্য আনা যায়, সেদিকে খেয়াল রাখতে হবে। এখানে ব্যবসায়ীরা নিজের ঝুঁকিতে সম্পূর্ণভাবে আমদানি করে থাকে। এই আমদানির পরেও দাম কমে যায় তাহলে লোকসান দিয়ে তাদের পুঁজিহারা হতে হয়। সেক্ষেত্রে তাদের কোনো নিরাপত্তা থাকে না। কারণ, সরকারের নীতি এবং কৌশলের অভাব ছিলো। যার জন্য এরকম একটি পরিস্থিতি তৈরি হয়েছে। সময় বুঝে সিদ্ধান্ত নেয়া হলে এমন বেহাল পরিস্থিতিতে পড়তে হতো না। ব্যবসায়ীদের ব্যবসা করার প্রবণতা অনৈতিক। একজন ব্যবসায়ী পেঁয়াজ কিনছে কত দামে, কত দামে বিক্রি করবে সব বিষয় বুঝতে হবে এবং জানতে হবে। শুধু যদি বলে দেয়া হয় দাম বাড়ানো হচ্ছে তাহলে এটি সঠিক হবে না। সম্পাদনা : রাশিদুল
আপনার মতামত লিখুন :