মঈন উদ্দীন: রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের ফাইন্যান্স বিভাগের সোহরাব মিয়া নামের এক শিক্ষার্থীকে ছাত্রলীগ কর্মীদের মারধরের ঘটনাটি তদন্ত করার জন্য চার সদস্যের একটি কমিটি করেছে শাখা ছাত্রলীগ। কিন্তু কমিটিতে যাদের রাখা হয়েছে তাদের কেউ বিতর্কিত, কেউ আবার অছাত্র। বিভিন্ন সময়ে অপকর্মের অভিযোগও রয়েছে তাদের বিরুদ্ধে। তাই এই কমিটি কতোটুকু স্বচ্ছ তদন্ত করতে পারবে বা করবে সেই প্রশ্ন শিক্ষার্থীদের।
গত শুক্রবার মধ্যরাতে শহীদ ড. শামসুজ্জোহা হলের ছাদ থেকে ডেকে নিয়ে গিয়ে সোহরাবকে বেধড়ক মারধর করে ছাত্রলীগকর্মী আসিফ ও নাহিদ। মারধরে সোহরাবের মাথা ফেটে যায় ও বাম হাতের কনুইয়ের নিচে ও উপরের হাড় ভেঙে যায়। সে রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের ৩১ নম্বর ওয়ার্ডে ভর্তি আছেন।
এরই প্রেক্ষিতে ঘটনাটি খতিয়ে দেখার জন্য শনিবার দুপুরে চার সদস্যের তদন্ত কমিটি গঠন করে শাখা ছাত্রলীগ। সেখানে সদস্য করা হয় শাখা ছাত্রলীগের সহ-সভাপতি মাহফুজ আল আমিন, সুরঞ্জিত প্রসাদ বৃত্ত, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মো. সাব্বির হোসেন এবং সাংগঠনিক সম্পাদক মেহেদী হাসান মিশু। আগামী ২৪ ঘণ্টার মধ্যে তাদেরকে তদন্ত রিপোর্ট জমা দিতে নির্দেশ দিয়েছে শাখা ছাত্রলীগ।
বিতর্কিত ও অছাত্ররা যেখানে নিজেরাই অনিয়মের মধ্যে ডুবে আছে, যাদের কাছে অনিয়মটাই নিয়ম তাদের দ্বারা সোহরাবকে মারধরের তদন্ত কতটুকু স্বচ্ছ হবে তা নিয়ে সংশয়ে বিশবিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা। তারা বলছেন, যারা বিভিন্ন সময়ে সন্ত্রাসী কার্যক্রমসহ নানান অপকর্মে জড়িত তাদেরকে দেওয়া হয়েছে তদন্তের দায়িত্ব। এর মাধ্যমে ছাত্রলীগ শিক্ষার্থীদের সঙ্গে তামাশা করছে।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে শাখা ছাত্রলীগের সভাপতি গোলাম কিবরিয়া বলেন, যাদেরকে তদন্তভার দেওয়া হয়েছে তাদের সংগঠনের জন্য অনেক অবদান রয়েছে। বিগত সময়গুলোতে তারা বিভিন্নভাবে সংগঠনের জন্য সর্বাত্মক সহযোগিতা করে গেছেন। আমরা আশাবাদী অবশ্যই তারা নিরপেক্ষ ও স্বচ্ছ রিপোর্ট জমা দেবেন। সম্পাদনা : এইজ
আপনার মতামত লিখুন :