যুগান্তর : আজ বাংলাদেশ রোড ট্রান্সপোর্ট অথরিটি (বিআরটিএ) কার্যালয়ের সামনে অবস্থান নেয়ার ঘোষণা দিয়েছে একটি পরিবহন সংগঠন। অপরদিকে আইন সংশোধন নিয়ে করণীয় নির্ধারণ বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন শ্রমিক ফেডারেশন ২১ ও ২২ নভেম্বর বর্ধিত সভা ডেকেছে। ওই সভায় নতুন কর্মসূচি আসতে পারে বলে আভাস পাওয়া গেছে।
এদিকে তফসিলভুক্ত না হওয়ায় সড়ক পরিবহন আইন কার্যকরে মোবাইল কোর্ট চালাতে পারছে না বিআরটিএ। সংস্থাটি আশা করছে, দু-এক দিনের মধ্যে এ সংক্রান্ত গেজেট প্রকাশের পর মোবাইল কোর্ট শুরু করা যাবে। এ বিষয়ে বিআরটিএর চেয়ারম্যান ড. কামরুল ইসলাম বলেন, `রোববার বা সোমবার স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় থেকে মোবাইল কোর্ট তফসিলভুক্ত করে গেজেট জারি হতে পারে। আশা করছি, বিধিমালার গেজেট প্রকাশ হতে বেশি সময় লাগবে না।
একাধিক পরিবহন শ্রমিক নেতা বলেন, ‘দুর্ঘটনার মামলা জামিনযোগ্যসহ সড়ক আইনের কয়েকটি ধারায় সংশোধন চান শ্রমিকরা। সরকারের বিভিন্ন দফতরে বারবার অনুরোধ সত্ত্বেও আইনটি সংশোধন ছাড়াই বাস্তবায়নের ঘোষণা দেয়া হয়। এতে শ্রমিকদের মধ্যে উত্তেজনা সৃষ্টি হয়েছে। এনিয়ে ২১ ও ২২ নভেম্বর শ্রমিক ফেডারেশন বর্ধিত সভা ডেকেছে। ওই সভার এজেন্ডাগুলোর মধ্যে এক নম্বরে আছে সড়ক পরিবহন আইন সম্পর্কে আলোচনা ও সিদ্ধান্ত গ্রহণ।
এদিকে ঢাকা ও চট্টগ্রাম জেলা সিএনজি অটোরিকশা শ্রমিক ঐক্য পরিষদের সাধারণ সম্পাদক সাখাওয়াত হোসেন দুলাল বলেন, সড়ক আইনের কয়েকটি ধারায় সংশোধনী চেয়েছি। ওই সংশোধনী ছাড়া আইনটি যাতে কার্যকর করা না হয় সেজন্য বিআরটিএর সামনে অবস্থান ধর্মঘট করব। পরে স্মারকলিপি পেশ করব।
বগুড়া থেকে হঠাৎ কয়েকটি রুটে বাস বন্ধ : বগুড়া ব্যুরো জানায়, বগুড়ায় পরিবহন শ্রমিকরা গতকাল শনিবার সকাল থেকে হঠাৎ করেই বেশ কয়েকটি রুটে বাস চলাচল বন্ধ করে দেন। এতে বগুড়া থেকে ঢাকা, চট্টগ্রাম, রংপুর, দিনাজপুর, রাজশাহী, নাটোর, নওগাঁ, ময়মনসিংহ, টাঙ্গাইল, নগরবাড়িসহ উত্তর ও দক্ষিণাঞ্চলে বাস চলাচল বন্ধ হয়ে যায়। ফলে শত শত যাত্রী দুর্ভোগে পড়েন। মালিক-শ্রমিক নেতারা বলছেন, নতুন সড়ক পরিবহন আইন কার্যকরের প্রতিবাদে ফিটনেস ও ড্রাইভিং লাইসেন্স ছাড়া বাস শ্রমিকরা শাস্তির ভয়ে বাস বন্ধ করে দিয়েছেন।
জেলার বাস শ্রমিক ইউনিয়নের সভাপতি মাহাবুবুল হক জানান, জেলায় যত বাস আছে তার ৫০ ভাগ গাড়ির সঠিক কাগজপত্র নেই। সব বাসেরই সমস্যা আছে। এছাড়া ৫০ ভাগ চালকের ড্রাইভিং লাইসেন্স নবায়ন করা নেই।
আন্দোলনকারী বাস চালকরা বলেন, নতুন পরিবহন আইনে কোনো কারনে দুর্ঘটনায় কেউ মারা গেলে নতুন আইনে চালকদের মৃত্যুদণ্ড এবং আহত হলে ৫ লাখ টাকা দিতে হবে। আমাদের এত টাকা দেয়ার সামর্থ্য নেই এবং বাস চালিয়ে আমরা জেলখানায় যেতে চাই না। অনুলিখন : তন্নীমা আক্তার, সম্পাদনা : সালেহ্ বিপ্লব
আপনার মতামত লিখুন :