নিজস্ব প্রতিবেদক : যশোর শহরতলীর উপশহর ট্রাকস্ট্যান্ড সংলগ্ন ট্যাক্সি স্ট্রান্ডে একজন চালকের বিরুদ্ধে পেশার আড়ালে অবৈধ ব্যবসার অভিযোগ উঠেছে। প্রকাশ্যে তিনি ট্যাক্সি চালালেও আড়ালে মাদক ও অস্ত্র ব্যবসার সাথে জড়িত। ট্যাক্সিস্ট্যান্ডের একাধিক সূত্র জানায়, সাদা রঙের একটি প্রবক্স ট্যাক্সি (ঢাকা মেট্রো-খ ১২-৬৩৮২)
প্রকাশ্যে দিনের বেলায় ভাড়া খাটলেও রাতের আধারে গোপনে অস্ত্র ও মাদকের চালান আনা নেয়া করে। ওই ট্যাক্সি চালকের বাড়ি উপশহর সাত নম্বর সেক্টরে। তিনি কাউকে থোড়ায় কেয়ার করেন না। স্ট্যান্ডে তিনি একক আধিপত্য বিস্তার করে চলেন। তার র্দুব্যবহারে অন্যান্য চালকরা অতিষ্ঠ।
সূত্রটি জানায়, কোতয়ালি থানাসহ জেলার বেশ কয়েকটি থানায় ওই চালকের বিরুদ্ধে একাধিক অভিযোগ রয়েছে। ৬/৭ বছর আগে শিক্ষা বোর্ডের অফিসার মফিজুর রহমানকে অপহরন করেছিল ওই চালক। ওই সময় তার বিরুদ্ধে মামলা হয়। বেশ কিছুদিন জেল কেটে জামিনে ছাড়া পায়। কিন্তু তারপরও তিনি অপরাধ জগত থেকে বেরিয়ে আসতে পারেননি। প্রকাশ্যে তিনি ট্যাক্সি চালালেও এর আড়ালে রাতের আধারে অস্ত্র ও মাদকের চালান আনা নেয়া করে। উপশহর এলাকার একটি সন্ত্রাসী গ্রুপের সাথে ওই ট্যাক্সি চালকের ওঠাবসা রয়েছে বলে সূত্র গুলি জানিয়েছে। যে কারণে তিনি এলাকায় দাপটের সাথে চলাফেরা করেন। উপশহর ফাঁড়ির এস আই ফারুকের কাছে জানতে চাওয়া হলে তিনি এবিষয়ে কিছু জানেন না বলে জানান।
এদিকে ওই ট্যাক্সি চালক যে গাড়িটি চালিয়ে ভাড়া খাটেন সেটিও অবৈধ ভাবে। নিয়ম রয়েছে বানিজ্যিক ক্ষেত্রে গাড়ি ব্যবহার করতে হলে নিদিষ্ট নিয়ম মেনে চলতে হবে। যেমনঃ ভাড়াখাটা গাড়ির নাম্বার প্লেট হবে সবুজ রঙের। নাম্বারের সিরিয়াল হবে প। গাড়ির রঙ হবে নীল অথবা হলুদ। গাড়িতে ট্যাক্সি ক্যাব লেখা থাকবে। অথচ ওই চালক যে গাড়িটি চালিয়ে ভাড়া খাটেন সেটি প্রাইভেট হিসেবে ব্যবহার হয়। যা সম্পূর্ন আইন বর্হিভূত। এব্যাপারে ট্যাফিকের (সদর) ইন্সপেক্টর শুভেন্দু জানান, নতুন আইনে ওই গাড়ির বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
আপনার মতামত লিখুন :