মাসুদ রানা : জামায়াতে ইসলামী দলটি দার্শনিকভাবে চূড়ান্ত বিচারে গণতন্ত্রবিরোধী। কারণ তারা মানুষের সার্বভৌমত্বে এবং মানুষের তৈরি আইনে বিশ্বাস করে না। কিন্তু দলটি তার নেতৃত্ব নির্বাচিত করে গণতান্ত্রিকভাবে। বিপরীতে যারা মানুষের সার্বভৌমত্ব বিশ্বাস করে, তাদের নেতৃত্ব নির্বাচিত হয় বংশ ধারায়, যেখানে একটি বিশেষ পরিবারের সদস্য বা সদস্যা হওয়া ছাড়া অন্য কারও পক্ষে শীর্ষে নেতৃত্ব নির্বাচিত হওয়া সম্ভব নয়। উপরের দু’প্রকারের বাইরে আরেক প্রকারের দল আছে, যারা গণতন্ত্র ও সমাজতন্ত্রের কথা বলে, কিন্তু তাদের মধ্যে একবার যিনি নেতা হয়ছেন, তারা আমৃত্যু নেতা থাকেন অন্যের কোনো সুযোগই থাকে না নেতা হওয়ার। সম্প্রতি ফেসবুকের একটি পোস্টে দেখলাম, জামায়াতে ইসলামী নাকি সদস্যদের গোপন ব্যালটের মাধ্যমে তার শীর্ষ নেতা নির্বাচিত করেছে। তো আমি ভাবছি স্বঘোষিত প্রগতিশীলেরা কী জামায়াতের নেতৃত্ব নির্বাচনের এই পদ্ধতিটিকে ‘মধ্যযুগীয় বর্বরতা’ হিসেবে ধিকৃত করবেন? আমরা ইচ্ছা করলে চোখ বন্ধ করে থাকতে পারি। কিংবা অনারামদায়ক ঘটনা দেখেও না দেখার ভাণ করতে পারি। কিন্তু এতে আমাদের দুর্বলতা দূর হবে কী? অবশ্য আমাদের দুর্বলতার সঙ্গে যদি উপায়হীনতা থাকে, আমরা নিঃসন্দেহে অনারামদায়ক সত্যকে মিথ্যা উড়িয়ে দিতে এবং এর নির্দেশকারীকে কষে গালাগাল করতে পারি। তাতে মনের ভার খানিকটা লাঘব হলে হতে পারে। ফেসবুক থেকে
আপনার মতামত লিখুন :