শিরোনাম
◈ চট্টগ্রামে জুতার কারখানায় আগুন, নিয়ন্ত্রণে ৮ ইউনিট ◈ জিয়াও কখনো স্বাধীনতার ঘোষক দাবি করেনি, বিএনপি নেতারা যেভাবে করছে: ড. হাছান মাহমুদ ◈ আওয়ামী লীগ সবচেয়ে বড় ভারতীয় পণ্য: গয়েশ্বর ◈ সন্ত্রাসীদের ওপর ভর করে দেশ চালাচ্ছে সরকার: রিজভী ◈ ইফতার পার্টিতে আওয়ামী লীগের চরিত্রহনন করছে বিএনপি: কাদের ◈ বাংলাদেশে কারাবন্দী পোশাক শ্রমিকদের মুক্তির আহ্বান যুক্তরাষ্ট্রের ফ্যাশন লবি’র ◈ দক্ষিণ আফ্রিকায় সেতু থেকে তীর্থ যাত্রীবাহী বাস খাদে, নিহত ৪৫ ◈ ২২ এপ্রিল ঢাকায় আসছেন কাতারের আমির, ১০ চুক্তির সম্ভাবনা ◈ ইর্ন্টান চিকিৎসকদের দাবি নিয়ে প্রধানমন্ত্রী’র সঙ্গে কথা বলেছি: স্বাস্থ্যমন্ত্রী ◈ উন্নয়ন সহযোগীদের একক প্ল্যাটফর্মে আসা প্রয়োজন: পরিবেশমন্ত্রী

প্রকাশিত : ১৭ নভেম্বর, ২০১৯, ০৫:০০ সকাল
আপডেট : ১৭ নভেম্বর, ২০১৯, ০৫:০০ সকাল

প্রতিবেদক : নিউজ ডেস্ক

যে দেশ মধ্যআয়ের দেশ হতে যাচ্ছে, সেদেশ থেকে কেন মেয়েদের গৃহকর্মী হিসেবে বিদেশে পাঠাবো?

 

রাশেদা রওনক খান : মধ্যম আয়ের দেশ হিসেবে এই মুহূর্তে বহির্বিশ্বে আমাদের দেশের যে ইমেজ, তার সঙ্গে বাংলাদেশি নারীদের গৃহকর্মী বা দাসী হিসেবে সৌদি আরব গমনের বিষয়টি খুবই বেমানান ও একইসঙ্গে অসম্মানের। আমাদের বিউটি, নাজমা জেসমিন, সুমিÑ তাদের অর্জিত বৈদেশিক মুদ্রা দিয়ে আমাদের দেশের অর্থনীতির চাকা ঘুরছে, অথচ আমরা জেনেও না জানার ভাণ করে আছি যে, এই অর্থ উপার্জন করতে তাদের কতোটা নির্যাতন, অবহেলা ও নিপীড়নের শিকার হতে হয়? এই নির্যাতন নিপীড়নের সঙ্গে না আছে দেশের সম্মান জড়িত না আছে ব্যক্তি মানুষের মান ইজ্জত। তবে কেন এই পথে যাওয়া? এর কোনো সহজ সরল উত্তর নেই। আমাদের যা আছে, যতোটুকু আছে সেই দিয়ে যদি আমরা আমাদের দেশেই চেষ্টা করি আত্মকর্মসংস্থানের, তাহলে কি অনেক বড় চাওয়া হয়ে যাবে? আমাদের গ্রামগুলোতে এমনকি শহরে মানুষ কেবল বিদেশ পাড়ি দিতে চায় শ্রমিক হিসেবে, আমরা এমন এক জাতি যে প্লেনের চাকায় করেও বিদেশ পাড়ি দিতে চাই কেবল সংসারের অন্য সদস্যদের মুখে হাসি ফোটাতে... কিন্তু এই অমানবিক শ্রম, অমানুষিক নির্যাতন সহ্য করে যে টাকা উপার্জন করা যায়, তার চেয়ে অনেক কম কষ্ট করেও কিন্তু আমরা আমাদের দেশে থেকে, নিজের গ্রামে থেকে, নিজের পরিবারের সঙ্গে থেকে উপার্জন করতে পারি, দরকার কিছু উদ্ভাবনী চিন্তা, কাজ করার সুযোগ ও পুঁজি। এই তিনটা যদি আমাদের রাষ্ট্র ও সমাজ আমাদের দিতে পারে অনেকটাই এই সমস্যার সমাধান হবে। সমাজের এগিয়ে থাকা মানুষগুলো যদি পিছিয়ে থাকাদের একটু সাহায্য করে, তাহলেই অনেক সমস্যার সমাধান হয়ে যেতে পারে, অন্তত বিদেশ পাড়ি দিয়ে এতোটা অমানবিক নির্যাতন ও কষ্ট সহ্য করতে হবে না আমাদের মেয়েদের। তার মানে আমি বলছি না, মেয়েরা চাইলে কাজ করতে বিদেশ যাবে না, অবশ্যই বিদেশে যাবে। কিন্তু গৃহকর্মী হিসেবে নয়, বরং দক্ষ শ্রমিক হয়ে যেমন নার্স, কেয়ারগিভার, পোশাক শ্রমিক বা অন্য যে কোনো পেশায়। এজন্য রাষ্ট্রকে বিশেষ করে সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয়গুলোকে প্রয়োজনীয় প্রশিক্ষণ দিয়ে দক্ষ শ্রমিক হিসেবে গড়ে তোলা এবং পাঠানোর ব্যাপারে দায়িত্বশীল ও সতর্ক হতে হবে। আরেকটি বিষয়, আমাদের দেশ যেখানে মধ্য আয়ের দেশ হতে যাচ্ছে সেই দেশ থেকে আমরা কেন আমাদের মেয়েদের গৃহকর্মী বা দাসী হিসেবে পাঠাবো? সেটা আমাদের জন্য সম্মানজনক নয়, আমাদের দেশের এখন বহির্বিশ্বে যে ইমেজ তার সঙ্গে গৃহকর্মী বা দাসী পাঠানোর বিষয়টি খুবই বেমানান। আমাদের অর্থনীতির ভাগ্যলক্ষ্মীরা যেভাবে প্রতিনিয়ত মধ্যপ্রাচ্যে নির্যাতনের শিকার হচ্ছে, তার জন্য এখন রাষ্ট্রকেও নতুন করে ভাবতে হবে। বহির্বিশ্বে আমাদের সম্মান ও মর্যাদাও জড়িত। বুঝলাম, অনেকেই বলবেন যারা যাচ্ছেন নারী শ্রমিক, তার মাঝে কম হলেও ৯০ শতাংশ ফেরত আসছে না (যদিও ৯৯ শতাংশ ফিরছেন না বলে দাবি অনেকের), কিন্তু ১০ শতাংশের দায় আমাদের নিতে হবে না? আমরা আমাদের এক শতাংশকেও কেন নির্যাতনের শিকার হতে দেবো? আমরা অর্থনীতিতে অগ্রসর হচ্ছি, কিন্তু এর জন্য যদি অনেক বেশি আমাদের আত্মত্যাগ করতে হয়, আত্মসম্মান ভূলুন্ঠিত হয়, সেটাও আমাদের কাম্য হওয়া উচিত নয়। ফেসবুক থেকে

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়