নাজনীন মুন্নী
বাণিজ্যমন্ত্রী টিপু মুনশি রাজনীতিবিদ হিসেবে যতোটা পরিচিতি পেয়েছেন তার চেয়ে বেশি পরিচিতি পেয়েছেন গার্মেন্টস ব্যবসায়ীদের নেতা হিসেবে। যিনি নিজে ব্যবসায়ী তিনি ব্যবসায়ীদের জন্য কঠোর হবেন ভাবাটাই ভয়াবহ অন্যায়। বাণিজ্য মন্ত্রণালয় ভীষণই যোগ-বিয়োগ বোঝার খেলা। কতো আপনার আছে কতো আনতে হবেÑ কে আনবে সব স্পষ্ট অঙ্ক। সেই অঙ্ক কি বোঝেন মন্ত্রী? নাকি রেখেছেন সেই খবর? দুই মাস ধরে সংকট চলার কথা নয়। ভারত যে কোনোদিন পেঁয়াজ ছেড়ে দেবে এই ভয় ব্যবসায়ীদেরকে ধরিয়েছে? আমদানিকারকদের কি এই নিশ্চয়তা দেয়ার সুযোগ ছিলো না ভারত ছাড়লেও তাদের পেঁয়াজ ভর্তুকী দিয়েই তাদের কেনা দামে কিনবে সরকার? পাঁচজন আমদানিকারকে সঙ্গে সেই আলোচনা দেয়া যেতো বৈকি। টিসিবির মাধ্যমে কি আরও পেঁয়াজ এনে বাজার সয়লাব করা যেতো না? অল্প পেঁয়াজ এনে রসগোল্লা বিলানোর প্যানিক নেয়ার কি কারণ? বাইরের দেশগুলোতে পেঁয়াজের দাম কতো তাও কি জানেন বাণিজ্যমন্ত্রী? বাণিজ্যমন্ত্রী দেশের বাইরে আছেন দেশের এই সুসময়ে। এ দেশের চাল, পেঁয়াজ...সবজি কোথায় তা তিনি থোড়াই কেয়ার করেন। এ পর্যন্ত ব্যবসায়ীদের নিয়ে তিনি একটি সভা ডেকেছেন। সেই সভায় তিনি উপস্থিতও থাকেননি এবং বলে গেছেন ব্যবসায়ীদের নাড়ানো যাবে না। মাননীয় মন্ত্রী, এ দেশে কেবল জনগণকে নাড়াচাড়া করে ভর্তা বানানো যায়। এ দেশে সব কিছুর দাম আছে, কেবল জনতার নেই। ফেসবুক থেকে
আপনার মতামত লিখুন :