ইয়াসিন আরাফাত: শুক্রবার রাতে পুলিশের গাড়ি লক্ষ্য করে এই বোমা বিস্ফোরণ ঘটানো হয়েছে। এই ঘটনায় বেশ কয়েকজনের মৃত্যুর পাশাপাশি বহু মানুষ হতাহতের আশঙ্কা করা হচ্ছে। আহতদের মধ্যে কয়েকজনের অবস্থা আশঙ্কাজনক বলে জানিয়েছে দেশটির বেশ কিছু সংবাদমাধ্যম। আহত স্থানীয় হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়েছে বলেও জানিয়েছে তারা। চাঞ্চল্যকর এই ঘটনার পরেই পাকিস্তানে জারি করা হয়েছে হাই-অ্যালার্ট। ঘটনাকে কেন্দ্র করে ইতোমধ্যে শুরু হয়েছে ব্যাপক তল্লাশি। ইন্ডিয়া টুডে
পাকিস্তানের সংবাদমাধ্যমগুলোর মাধমে জানা যায়, জঙ্গিরা পুলিশের গাড়িকে টার্গেট করে এই বিস্ফোরণ ঘটানা ঘটায়। তবে পাকিস্তানের সাধারণ মানুষই তাদের টার্গেট ছিলো। স্থানীয়রা জানিয়েছে, বিস্ফোরণের তীব্রতা এতটাই ছিল যে বহুদূর পর্যন্ত এর আওয়াজ শোনা যায়। শুধু তাই নয়, ঘটনার পর কালো ধোঁয়াতে পুরো আকাশ ঢেকে যায়।
ঘটনার পরপরই পাকিস্তানের পুলিশ প্রশাসনের পাশাপাশি বিস্ফোরিত এলাকার দখল নিয়েছে ফ্রন্টিয়ার কর্পোসের কর্মকর্তারা। ইতিমধ্যে ঘটনাস্থলে পৌঁছে গিয়েছেন বিস্ফোরণ বিশেষজ্ঞরা। ঘটনাস্থল থেকে নমুনা সংগ্রহ করছেন তারা। কীভাবে এই বিস্ফোরণ ঘটলো তা খতিয়েও দেখছেন তারা। পুলিশ প্রশাসনের পক্ষ থেকে জানানো হয়, কারা এই বিস্ফোরণের ঘটনা ঘটিয়েছে পুলিশের কাছে এখনও পর্যন্ত তা স্পষ্ট নয়। কোনও জঙ্গি গোষ্ঠীও এখন পর্যন্ত এই বিস্ফোরণের কোন দায় স্বীকার করেনি।
প্রসঙ্গত, গত সাতদিনের মধ্যে পাকিস্তানের মাটিতে এটি দ্বিতীয় বিস্ফোরণ। গত সোমবারও কোয়েটাতেও বিস্ফোরণের ঘটনা ঘটে। যদিও সেটা তেমন তীব্র ছিলো না। সম্পাদনা : খালিদ আহমেদ
আপনার মতামত লিখুন :