মুনশি জাকির হোসেন : অর্ধ সত্য, বিকৃত সত্য মিথ্যা থেকেও বেশি বিষাক্ত। ডিজিটাল প্লাটফর্মের কারণে বিশ্বে কোথায় পেঁয়াজের দাম কতো ডলার, কোথায় কতো ইউরো, কোথায় কতো পাউন্ড, কোথায় কতো রুপি তার একটি তালিকা এতোক্ষণে বাংলার আকাশে-বাতাসে ভেসে বেড়াচ্ছে। পেঁয়াজ বিপ্লবীরা যে অংশ প্রকাশ করেনি সেটি পেঁয়াজ বাজারের ৭৫ শতাংশ। যেমন বিদেশে কতো ধরনের পেঁয়াজ কিনতে পাওয়া যায়? এর তালিকা করলে কমপক্ষে একডজন তালিকা করা সম্ভব। ফ্রোজেন পেঁয়াজ, ফ্রেশ পেঁয়াজ, অর্গানিক পেঁয়াজ, ছেলো পেঁয়াজ। পেঁয়াজ (যেটি বাংলাদেশে ব্যবহৃত হয়)।
লুজ পেঁয়াজ, ড্রাই পেঁয়াজ, ফ্রাইড পেঁয়াজ, পেঁয়াজের পেস্ট (লং লাইফ) পেঁয়াজের পেস্ট(ফ্রোজেন), পেঁয়াজোর পেস্ট (ফ্রেশ), রেড পেঁয়াজ, ব্রাউন পেঁয়াজ, পেঁয়াজের পাওডার, পেঁয়াজের পিকল, এ রকম তালিকা করলে আরও কিছু যোগ করা সম্ভব।এখন প্রশ্ন হলো পেঁয়াজ বিপ্লবীরা সরকারের চৌদ্দগুষ্টি উদ্ধার করছে, বিষয়টি সংসদেও আলোচনা হচ্ছে। কিন্তু কেউ বলছে না কৃষিকে শিল্পায়ন করে পেঁয়াজ সংরক্ষণের নতুন নতুন পন্থা বের করতে হবে। কেউই বলছে না অফ সিজনে ফ্রেশ পেঁয়াজের ব্যবহার কমাতে হবে। এরা মূলত ঘেউ ঘেউ করার জন্য মৌসুম, সুযোগ খুঁজে। এরা জানে সমস্যার সমাধান হলে ঘেউ ঘেউ করা যাবে না। এই কারণে এরা সমাধানের সূত্র নিয়ে কথা বলে না। এরা কারণে, অকারণে, বিনা কারণে ঘেউ ঘেউ করে। আরেকটি সহজ উপায় নিজে কিছু পেঁয়াজ সংরক্ষণ করা। নিজ বাড়িতে ২ মণ পেঁয়াজ রেখে দিতে কি ফ্ল্যাট বিক্রি করা লাগে? নাকি জমি বিক্রি করা লাগে। ফেসবুক থেকে
আপনার মতামত লিখুন :