শাহীন খন্দকার: চলতি বছর ডেঙ্গু আক্রান্ত ভর্তি রোগী ১৫ অক্টোবর পর্যন্ত ৯৮,৫০০ জন মোট ছাড়প্রাপ্ত রোগী ৯৭,৬২৬ জন। বর্তমানে দেশের বিভিন্নসরকারি ও বেসরকারি হাসপাতালে মোট ভর্তিরোগী ৬২৩ জন। এছাড়া রাজধানীর ৪১টি সরকারি ও বেসরকারি হাসপাতালে ডেঙ্গু আক্রান্ত ভর্তিরাগী ২৭৬ জন। রাজধানীর বাইরের বিভাগে মোট ভর্তিরোগী ৩৪৭ জন। এদিকে গত ২৪ ঘন্টায় (১৪ নভেম্বর সকাল ৮টা থেকে ১৫ নভেম্বর সকাল ৮টা পর্যন্ত) নতুন ভর্তিরোগী ৯৭ জন। রাজধানীতে নতুন ভর্তিরোগী ৩৪ জন। ঢাকার বাইরে নতুন ভর্তিরোগী ৬৩ জন।
রোগতত্ত্ব, রোগ নিয়ন্ত্রণ ও গবেষণা ইন্সটিটিউটে (আইইডিসিআর) প্রেরিত তথ্যে হয়েছে ডেঙ্গু সন্দেহে ২৫১ টি মৃত্যুর, তন্মধ্যে আইইডিসিআর ১৭৯ টি মৃত্যু পর্যালোচনা সমাপ্ত করে ১১২ টি মৃত্যু ডেঙ্গু আক্রান্ত জনিত বলে নিশ্চিত করেছে। স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের হেলথ্ ইমার্জেন্সী অপারেশন সেন্টার ও কন্ট্রোল রুম এর সহকারী পরিচালক ডা. আয়শা আক্তার জানান, সর্বশেষ ডেঙ্গু পরিস্থিতি (১৫ নভেম্বর পর্যন্ত) ২৪ ঘন্টায় নতুন আক্রান্ত ডেঙ্গু রোগী ৩৫.৩% কমেছে। নতুন ভর্তিও ছাড়পত্রপ্রাপ্ত রোগীর সংখ্যা রাজধানীতে ৯৭ রাজধানীর বাহিরে ১৫২ জন। রাজধানীতে নতুন ভর্তিও ছাড়পত্রপ্রাপ্ত রোগীর সংখ্যা ৩৪ ও ভর্তি ৬৫ জন । রাজধানীর বাইরে নতুন ভর্তি ৬৩জন ছাড়পত্রপ্রাপ্ত রোগীর সংখ্যা ৮৭ জন। সারা দেশে ছাড়পত্র প্রাপ্ত রোগীর সংখ্যা ৯৯.১% এদিকে চট্রগ্রামে গত ২৪ ঘন্টায় বাংলাদেশ ইনস্টিটিউট অব ট্রপিক্যাল অ্যান্ড ইনফেকশাস ডিজিজেস (বিআইটিআইডি) হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন ৯ জন ডেঙ্গুজ¦রে আক্রান্ত রোগী। বিআইটিআইডি সূত্রে জানা গেছে, ঘূর্ণিঝড় বুলবুল পরবর্তী ডেঙ্গু আক্রান্তের সংখ্যা বেড়েছে। গত ছয় দিনে এ হাসপাতালে ২৯ জন রোগী ভর্তি হয়েছেন। সব রোগীই ৯ নম্বর উত্তর পাহাড়তলী ওয়ার্ডের বিশ্ব কলোনী এলাকার।
বিআইটিআইডি’র ক্লিনিক্যাল ট্রপিক্যাল মেডিসিন বিভাগের প্রধান ডা. মামনুর রশিদ জানান, ‘চট্টগ্রামে ডেঙ্গু আক্রান্ত সংখ্যা কমে আসলেও ঘূর্ণিঝড় বুলবুল পরবর্তী গত কয়েকদিনে রোগীর সংখ্যা বেড়েছে। অবাক হলেও সত্য সবগুলো রোগীই চট্টগ্রামের নির্দিষ্ট একটি এলাকার।
তিনি আরও বলেন, এ বছর বিআইটিআইডি’তে ভর্তি হয়ে চিকিৎসা নিয়েছেন ১৪৬ জন রোগী। তাছাড়া বহির্বিভাগে চিকিৎসা নিয়েছেন ২০জন। তবে সম্প্রতি এ সংখ্যা আবারও ঊর্ধ্বমুখী হয়েছে।
৯ নম্বর উত্তর পাহাড়তলী ওয়ার্ডের ডেঙ্গু পরিস্থিতি সম্পর্কে ওয়ার্ড কাউন্সিলর জহিরুল আলম জসিম বলেন, ঘূর্ণিঝড় শুরু হওয়ার পূর্বে ওয়ার্ডের প্রতিটি মহল্লায় ডেঙ্গু প্রতিরোধ সচেতনতা মূলক কার্যক্রম পরিচালনা হয়েছে। সর্বশেষ কবে নাগাদ মশক নিধন কর্মসূচি পালিত হয় সপ্তাহখানেক আগে প্রতিটি মহল্লার বাড়ীতে বাড়ীতে মশা নাশক ওষুধ ছিটানো হয়েছে।
আপনার মতামত লিখুন :